1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খুলনার মেয়রের ডিজিটাল মামলা

২১ এপ্রিল ২০২১

কাগজে-কলমে একটি আইন না মানা প্রতিষ্ঠানের এমডি থেকে গেলেও খুলনার মেয়রের দাবি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই৷ ওই প্রতিষ্ঠানের শুল্ক ফাঁকি ও অর্থদণ্ড নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে সাংবাদিক আবু তৈয়ব মুন্সী এখন কারাগারে৷

Abu Tayab Munshi, Journalist aus Khulna, Bangladesch
ছবি: BD News

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির ব্যুরোপ্রধান জনাব মুন্সীকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতারের পর বুধবার সকালে আদালতে হাজির করে পুলিশ৷ খুলনার ভারপ্রাপ্ত  মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) সুমী আহমেদের ভার্চুয়াল আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন৷ আবু তৈয়বের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক৷

মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক আবু তৈয়বের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন৷ ওই মামলার মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে খুলনা থানা পুলিশ নগরীর নূরনগর এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে৷

এই মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়ে সাংবাদিক আবু তৈয়বের ছেলে মাশুক ইফতেখারের কাছে জানতে চাইলে ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, "বাবার কাজ নিয়ে আমাদের খুব বেশি জানাশোনা নেই৷ ফলে এই বিষয়ে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা এখনেই কিছু বলতে পারছি না৷”

তালুকদার আব্দুল খালেক

This browser does not support the audio element.

কেন এই মামলা করলেন? জানতে চাইলে তালুকদার আব্দুল খালেক ডয়চে ভেলেকে বলেন, "উনি ২০১৮ সাল থেকেই একটা বিষয় নিয়ে আমার পেছনে লেগে আছেন৷ আমি যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০১৭ সালে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি, সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে লিখে যাচ্ছেন৷ আমি উনাকে কয়েকবার এ বিষয়ে বলেছি৷ আমি রাজনীতি করি, আমার একটা অবস্থান আছে৷ এই ধরনের লেখালেখিতে আমার কর্মী সমর্থকেরা মনে করতে পারেন, আমি হয়তো এই ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত৷ তাই আমি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছি৷ আমি শেষ পর্যন্ত লড়ব৷ প্রমান করে ছাড়ব আমি ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই৷”

কী লিখেছেন আবু তৈয়ব? ফেসবুকে সেই লেখাটি এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না৷ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী লেখাটি ব্লক করে দিয়েছে৷ তবে খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মোল্লা ডয়চে ভেলেকে সেই লেখাটি পাঠিয়েছেন৷ সেখানে আবু তৈয়ব লিখেছেন, তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রতিষ্ঠান মুনষ্টার পলিমার এক্সপোর্ট লি: শুল্ক ফাঁকি দেয়ার জন্য আড়াই কোটি টাকা অর্থদণ্ডসহ বন্ড লাইসেন্স বাতিল করে সাড়ে পাচঁ কোটি ৫৩ লাখ টাকা দাবি নামা দিয়েছে মংলা কাস্টমস হাউস কর্তপক্ষ ৷ যদিও পোস্টেও তিনি উল্লেখ করেছেন, খুলনা সিটি মেয়র এই প্রতিষ্ঠানের সাথে আগে জড়িত ছিলেন বর্তমানে যুক্ত নন বলে দাবি করেছেন৷ তবে বন্ড লাইসেন্সে ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসাবে সিটি মেয়রের নাম ও স্বাক্ষর রয়েছে ৷ শুল্ক বিভাগ দণ্ড ও অর্থ আদেশে এই প্রতিষ্ঠানটির আইন না মানা ও বেপরোয়া আচরণ সরকারি রাজস্ব নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরুপ বলে উল্লেখ করেছে৷ কীভাবে এই শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত পোস্টে লিখেছেন তিনি৷

আবু হাসান মোল্লা

This browser does not support the audio element.

খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মোল্লা ডয়চে ভেলেকে বলেন, "মেয়র অস্বীকার করলে তো হবে না৷ কাগজপত্রে তো তার নাম রয়েছে৷ সে কথাই লিখেছেন আবু তৈয়ব৷ প্রত্যেক সাংবাদিকের লেখার স্বাধীনতা থাকা প্রয়োজন৷ এখন তো সাংবাদিকদের অনেক রকম সমস্যায় পড়তে হয়৷ বিশেষ করে দলকানা সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে পেশাদার সাংবাদিকদের কাজ কঠিন হয়ে যাচ্ছে৷ দলীয় লেজুড়বৃত্তির কারণে পেশাদার সাংবাদিকরা বিপদে পড়ছে৷ খুলনার সাংবাদিক সমাজ এই মামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে৷ আমরা অবিলম্বে তার মুক্তি চাই৷ পুরো সাংবাদিক সমাজ আবু তৈয়বের পাশ আছে৷ তার মুক্তি না দিলে শিগগিরই আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে৷”   

মেয়র মামলা করায় কী পুলিশ একটু তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়েছে? জানতে জাইলে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম ডয়চে ভেলেকে বলেন, "বিষয়টা এমন নয়৷ যে ধারায় এই মামলা করা হয়েছে, সেটি যে কেউ করলেই আসামীকে গ্রেফতার করতে হতো৷ এখন আমরা তদন্ত করে দেখব, যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি সঠিক কি-না?”

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ