এই ছবিটি চীনের একটি পরিবারের৷ সাপটি যেন ওই পরিবারের সদস্য৷ তাই শিশুটি স্বজনের মতোই সাপটির পাশে ঘুমিয়ে আছে৷ চার মিটার লম্বা এই অজগরটি বাড়ির মধ্যেই ঘোরাঘুরি করে৷

চীনে সাপের স্যুপ ভীষণ জনপ্রিয়৷ চীনাদের ধারণা, এই স্যুপ খেলে যে কোনো ধরণের ক্ষত খুব দ্রুত সেরে যায়৷ এছাড়া শরীরের রক্ত সঞ্চালনও ভালো হয়৷

আজকাল বাংলাদেশেও ‘ম্যাসাজ’ বা মালিশের কদর বেড়েছে৷ কিন্তু তাই বলে সাপ দিয়ে মালিশ! হ্যাঁ ইন্দোনেশিয়ার কয়েকটি দ্বীপে গেলে আপনি এই মালিশের সুবিধা পেতে পারেন৷

জার্মানির ওষুধ কোম্পানির লোগো এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পতাকায় সাপের এই প্রতীক আছে৷ এই প্রতীকটি বিশ্বব্যাপী খুবই প্রসিদ্ধ৷ এটি আসলে এসক্লেপিয়াস সাপ৷ এদের বিষ নেই৷ তবে আবাস স্থলের অভাবে এদের সংখ্যা দিন দিন কমছে৷

বিষধর সাপকে কে না ভয় পায়? কিন্তু সাপের বিষ অনেক কাজে লাগে৷ জার্মানিতে হামবুর্গের পাশেই রয়েছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় সাপের খামার৷ সেখানে প্রতিদিন ১৫০০ সাপের বিষ বের করা হয়৷ স্বল্প মাত্রায় এই বিষ ওষুধে ব্যবহার করা হয়, যা বেশ উপকারী৷ হাইপারটেনশনের ওষুধ ও সাপের বিষের প্রতিষেধক হিসেবেও তাদের বিষই ব্যবহৃত হয়৷

ফ্লোরিডার এভারগ্ল্যাডিস ন্যাশনাল পার্কে একটি অজগর হইচই ফেলে দিয়েছিল৷ সাপটি খাঁচা থেকে বেরিয়ে পড়েছিল৷ ফলে সবার মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ সাপটি ধরার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু শুধু একটি অজগরের জন্য মেরে ফেলা হয়েছিল ৬৮টি অজগর৷

প্রাচীন কাল থেকে ভারতকে বলা হয় ‘সাপুড়েদের দেশ’৷ নানা জায়গায় বীণ বাজিয়ে সাপের নাচ দেখায় তারা৷ সত্যি কথা হলো, বীণের শব্দে সাপ নাচে না৷ আসলে বীণের নড়াচড়ার সঙ্গে সে নড়তে থাকে৷

হিন্দু ধর্মে সাপ হলো শিবের বাহন৷ এছাড়া সাপের দেবী মনসারও পূজা করা হয়৷ অনেকের অন্ধবিশ্বাস, সাপ পূর্বপুরুষের দেহ ধারণ করে পৃথিবীতে আসে৷ এছাড়া অনেক পৌরাণিক গ্রন্থে ইচ্ছাধারী নাগিনের কথাও আছে৷ এজন্য ভারতের অনেক সাধুকে সাপ নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়৷