1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অজ্ঞাত স্থান থেকে তৎপরতা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২ ডিসেম্বর ২০১৩

বিএনপির বর্তমান মুখপাত্র সালাউদ্দিন আহমেদ কর্মসূচি ঘোষণা বা বিবৃতি দিচ্ছেন অজ্ঞাত স্থান থেকে৷ সেখান থেকে তিনি ভিডিও বার্তাও পাঠাচ্ছেন৷ এভাবেই তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরোধ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন৷

Smoke rises as a bus burns on a street after a nationwide strike was called, in Dhaka November 9, 2013. The opposition Bangladesh Nationalist Party (BNP) on Saturday announced another 84-hour nationwide strike, starting on Sunday, after police arrested BNP leaders, triggering violent protests across the country. No one claimed responsibility for setting the bus on fire and no casualties were reported, authorities said. Picture taken November 9, 2013. REUTERS/Mahmud Opu (BANGLADESH - Tags: POLITICS CIVIL UNREST)
ছবি: Reuters

শনিবার ভোরে বিএনপির নয়াপল্টনের অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয় বিএনপি মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে৷ এরপর দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব দেয়া হয় আরেক যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদকে৷ কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না৷ তিনি প্রকাশ্যে সংবাদ মাধ্যমে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি দেননি, যাননি কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও৷

তবে সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য বা বিবৃতি পাঠাচ্ছেন অজ্ঞাত স্থান থেকে লিখিত বা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে৷ সেখান থেকেই পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ৭২ ঘণ্টা অবরোধের সময়সীমা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে৷

ছবি: Reuters

এদিকে রহুল কবির রিজভী আটক হওয়ার আগে থেকেই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন৷ বিশেষ করে শাহবাগে বাসে আগুনের ঘটনায় তাদের আসামী করার পর তাদের আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না৷ এরপরও তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে৷ আর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদসহ আরো ৭ শীর্ষ নেতা এখন কারাগারে আছেন৷ তাই অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে বিএনপির প্রথম সারিরতো দূরের কথা, তৃতীয় সারির কোনো নেতাকেও ঢাকার রাজপথে দেখা যাচ্ছে না৷ মাঝেমধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের অপরিচিত নেতা-কর্মীদের ঝটিকা মিছিল ছাড়া ঢাকায় তেমন কোনো তৎপরতা নেই৷ তবে ঢাকার বাইরে কোনো কোনো নেতাকে তৎপর দেখা যাচ্ছে৷

অনেকদিন ধরেই রহুল কবির রিজভী বিএনপির নয়াপল্টনের কার্যালয় আগলে রেখেছিলেন৷ দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই তিনি সেখানে থাকতেন৷ ঘোষণা করতেন দলের কর্মসূচি, দিতেন বক্তব্য-বিবৃতি৷

এই বিষয়ে কথা বলার জন্য বিএনপির অন্তত ১০ জন নেতাকে টেলিফোন করে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়৷ তবে বিএনপি নেতাদের আত্মগোপন নিয়ে গত সপ্তাহে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু৷ তিনি জানিয়েছিলেন কৌশলগত কারণেই বিএনপির শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে আছেন৷ তারা আত্মগোপনে থেকেই আন্দোলন পরিচালনা করছেন, দিচ্ছেন দিক নির্দেশনা৷ আর সে কারণেই অবরোধ কর্মসূচি সফল হচ্ছে৷ তিনি বলেছিলেন সময়মতো নেতারা প্রকাশ্যে আসবেন৷ তবে সোমবার শামসুজ্জামান দুদু'র মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়৷

অবশ্য ডয়চে ভেলে কথা বলতে সক্ষম হয়েছে বিএনপির সংস্কারবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী মেজর (অবঃ) হাফিজউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে৷ তিনি মনে করেন সরকারের নিপীড়ন নির্যাতনের কারণেই শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন৷ তিনি বলেন বর্তমান মুখপাত্র সালাউদ্দিন আহমেদের ঢাকা ও গ্রামের বাড়িতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে৷ সে কারণেই তিনি অজ্ঞাত স্থান থেকে বক্তব্য, বিবৃতি দিচ্ছেন৷

তবে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব চাইলে প্রকাশ্যে এসে কথা বলতে পারেন বলে মনে করেন হাফিজ৷ তিনি বলেন, ‘‘হয়তো কৌশলগত কারণে তিনি (মির্জা ফখরুল) প্রকাশ্যে না এসে চেয়ারপার্সনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আন্দোলন পরিচালনা করছেন''৷

তাহলে কি বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ডের কোনো দল? এমন প্রশ্নের জবাবে হাফিজ বলেন, বিএনপি কোনো আন্ডারগ্রাউন্ড দল নয় বলেই দেশের সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবরোধ কর্মসূচি সফল করছেন৷ সরকারের দুঃশাসনের কারণে বিএনপি নেতারা আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ