ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা শিগগিরই তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হতে পারেন৷ যে এলাকাতে তারা বাস করছেন, সেটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই চলছে৷
বিজ্ঞাপন
ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের দক্ষিণে একটি আধা-মরুভূমি অঞ্চল মাসাফের ইয়াত্তা৷ সেখানে বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি জনপদ রয়েছে৷ ২০২২ সালের মে মাসে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলায় চূড়ান্ত রায় দেয়৷ রায় অনুসারে এই গ্রামীণ এলাকায় বাসরত প্রায় এক হাজার ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে৷ এই এলাকাটি ফায়ারিং জোন নাইন ওয়ান এইট নামেও পরিচিত, যা ইসরায়েল সেনা প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র হিসাবেও ব্যবহার করে৷
খালেট আথাবা গ্রামের ৩৫ বছর বয়সি ফিলিস্তিনি বাসিন্দা জাবের দাবাবসেহ বলেন, ‘‘প্রতিদিন যেখানে সেখানে চেকপয়েন্ট বসিয়ে ওরা আমাদের ওপর আরো বেশি চাপ প্রয়োগ করে চলেছে৷ মূলত, তারা চায় যে আমরা এখান থেকে চলে যাই৷''
পাঁচ সন্তানের বাবা দাবাবসেহ অনেক বছর ধরেই উচ্ছেদের হুমকির মধ্যেই এখানে বাস করছেন৷ তবে তিনি বলেন, দক্ষিণ হেব্রন পাহা়ড়ের এই এলাকাটিকে তিনি নিজের বাড়ি বলেই মনে করেন, এবং এখান থেকে তিনি যাবেন না৷
আদালত এবং আদালতের বাইরেও মাসাফের ইয়াত্তা নিয়ে লড়াই চলছে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে৷
অঞ্চলটিতে সরকারি কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বেসামরিক শাখা অবশ্য এমন কোনো আসন্ন উচ্ছেদ কার্যক্রম নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি৷ তবে জানুয়ারিতে ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘‘ফায়ারিং জোন নাইন ওয়ান এইট একটি সামরিক এলাকা, যেখানে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷ সে অনুযায়ী, আইডিএফ এর অনুমতি ছাড়া এখানে প্রবেশ এবং এর মাধ্যমে জীবনের হুমকি তৈরি করা একটি ফৌজদারি অপরাধ৷''
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল: যে সম্পর্ক বিভাজনের
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের নাবলুস ঘুরেছেন ডয়চে ভেলের সাংবাদিক জুলফিকার এবানি৷ তুলে এনেছেন সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা আর পাশাপাশি থেকে ইসরায়েলিদের সাথে তাদের যোজন যোজন দুরত্বের চিত্র৷
ছবি: DW/Zulfikar Abbany
ডাক টিকিট কিংবা ক্রেডিট কার্ড
পশ্চিম তীরে নাবলুসের একটি সড়ক৷ পাশেই ইসরায়েল কিন্তু ফিলিস্তিনের কোনো ডাক টিকিট চলে না সেখানে৷ আবার বিপরীতে ইসরায়েলের কোনো ক্রেডিট কার্ড আপনি ফিলিস্তিনে ব্যবহার করতে পারবেন না৷ ওয়ার্ল্ড অফ হোটেলে অবস্থানকালে ডয়চে ভেলের জুলফিকার এবানিকে সেখানকার ক্রেডিট কার্ড কোম্পানির পাঠানো বার্তায় লেখা হয়েছে, ‘‘অবস্থান প্যালেস্টাইন অঞ্চলে৷ লেনদেন সম্ভব নয়৷ আপনি কার্ডটি এই দেশে ব্যবহার করতে পারবেন না৷’’
ছবি: DW/Zulfikar Abbany
বিভাজনের দেয়াল
জুলফিকার এবানি ফিলিস্তিনে অবস্থান করেছেন ‘ওয়ার্ল্ড অফ হোটেলে’৷ তাঁর ভাষায় বিশ্বের সবচেয়ে ‘নিকৃষ্ট দৃশ্য’ অবলোকন করা যায় হোটেলটি থেকে৷ ফিলিস্তিন থেকে যে দেয়াল পৃথক করেছে ইসরায়েলকে সেটি দেখতে পাবেন এই হোটেলের জানালা দিয়ে৷
ছবি: DW/Zulfikar Abbany
চাকুরি না বিদ্যা?
আন-নাজাহ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়৷ ছবিতে ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি নিউজলেটার দেখা যাচ্ছে৷ যার শিরোনাম ছিল ‘দখলদারিত্বের ১৯ বছর’৷ ফিলিস্তিনের ৪০ ভাগ স্নাতোকোত্তরই বেকার৷ যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি চাকুরি সংকট আছে এমন কিছু বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা বন্ধ করে দিচ্ছে৷ জোর দেয়া হচ্ছে গণিত আর প্রকৌশলে৷
ছবি: DW/Zulfikar Abbany
যে বিশ্ববিদ্যালয় বিচ্ছিন্ন বিশ্ব থেকে
আন-নাজাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক নাহের নাতসেহ৷ ফিলিস্তিনের অন্য বিজ্ঞানীদের মতো তিনিও একটা সময় পর্যন্ত বিদেশে থেকে ফিরে এসেছেন দেশে৷ তাঁর জন্ম জেরুজালেমে৷ কাজ করেছেন মিশরের কায়রো, যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়াতে৷ নাহের নাতসেহ জানান বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কোন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে তারা আমন্ত্রণ জানাতে পারেন না৷ এমন কি নিরাপত্তার কারণে ইসরায়েলিদের আনা সম্ভব না৷
ছবি: DW/Z. Abbany
তবুও বড় স্বপ্ন
সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আরবের শীর্ষ দুই ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছে আন-নাজাহর পরিচালকরা৷ যদিও সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে কয়েকগুণ কম বাজেট নিয়েই চলছেন তারা৷ তবে আন-নাজাহর কমপ্লেক্স কিন্তু বেশ আধুনিক আর দৃষ্টিনন্দন৷ যেমনটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: DW/Zulfikar Abbany
ফিলিস্তিনের কাঁচা বাজার
এটি ফিলিস্তিনের একটি কাঁচা বাজার৷ কিন্তু এখানকার ব্যবসায়ী আর বাসিন্দারা প্রায়ই ইসরায়েলি সৈন্যদের তল্লাশীর মধ্যে পড়েন বলে জানান ব্যবসায়ীরা৷
ছবি: DW/Zulfikar Abbany
কানাফে বা কুনাফার স্বাদ
ফিলিস্তিনের একটি রেস্টুরেন্টের ছবি৷ সেখানে বেশ জনপ্রিয় কানাফে৷ যা কুনাফা নামেও পরিচিত৷ এটি মূলত এক ধরনের মিষ্টান্ন যা শুধু ফিলিস্তিন নয় গোটা মধ্যপ্রাচ্যেই সমান জনপ্রিয়৷
ছবি: DW/Zulfikar Abbany
অদৃশ্য সীমান্ত
ফিলিস্তিনের ব্যস্ত কোন বাজার বা পথ ধরে হাটতে গিয়ে ঢুকে পড়তে পারেন ইসরাইলে৷ যেমন এই মার্কেটটি৷ এর এক পাশে ফিলিস্তিন অন্য পাশে ইসরায়েল৷ তবে ইসরায়েল অংশে ট্যাংক কিংবা ভারি যানবাহন নিয়ে সবসময় প্রহরায় থাকে সেনারা৷
ছবি: DW/Zulfikar Abbany
8 ছবি1 | 8
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একাধিক উচ্ছেদ
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি স্থাপনা ধ্বংস করেছে৷ গত নভেম্বরে সামরিক বাহিনী একটি ছোট প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নির্মাণের কিছুক্ষণ পরেই ভেঙে ফেলে৷ খিরবেত আ-সাফাই আল-ফোকা এর একতলা কাঠামোটি অনুদানের সাহায্যে নির্মিত হয়েছিল৷ কাছাকাছি বাস করা সম্প্রদায়গুলোর ২০ জন শিক্ষার্থী সেটিতে পড়তে আসতো৷
এই স্কুলের স্থাপনা ভেঙে ফেলার পর প্রায় একই ধরনের একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইসরায়েল৷ সেখানা বলা হয়, তারা ‘দক্ষিণ হেব্রন পাহাড়ের ফায়ারিং জোন নাইন ওয়ান এইট এ অবৈধভাবে নির্মিত একটি কাঠামোর বিরুদ্ধে প্রয়োগকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে৷' আরো বলা হয়, ‘বিনা অনুমতিতে এটিতে প্রবেশ করা আইনের পরিপন্থি এবং মানুষের জীবনকে বিপন্ন করছে৷'
স্কুলের স্থাপনা ভেঙে ফেলার পরপরই গ্রামবাসীরা ধ্বংসাবশেষের উপর একটি অস্থায়ী তাঁবু তৈরি করে৷ ২০২২ সালের নভেম্বরের শেষ দিকে যখন ডয়চে ভেলে সেখানে যায়, তখন তাঁবুর এক কোণে ফিলিস্তিনের প্রথম শ্রেণির ছাত্ররা ইংরেজি বর্ণমালা শিখছিল৷ আরেকদিকে আশরাফ শ্রেটেহ দুইটি টেবিলের ওপর বসে থাকা তিনজন আগ্রহী ছাত্রকে গণিত পড়াচ্ছিলেন৷
তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর আমরা বেশ আশাবাদী হয়ে উঠেছিলাম৷ স্থাপনাটি পুনর্নির্মাণ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই৷ কিন্তু মাঝেমধ্যে সবাই হতাশ হয়ে পড়ে৷''
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইসা মাহামারেহ ডয়চে ভেলেকে নভেম্বরে বলেছিলেন, ‘‘আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য একটা স্বাভাবিক জীবন চাই৷ তারা কঠোর পরিশ্রম করুক এবং ভালোভাবে পড়াশোনা করে সবচেয়ে ভালো জীবন পাক, সেটাই আমাদের চাওয়া৷''
কয়েক সপ্তাহ পরই সেই তাঁবু দিয়ে তৈরি সেই সাময়িক স্কুলটিও ভেঙে ফেলা হয়৷
জমিতে অধিকার কার?
মাসাফের ইয়াত্তার অবস্থান তথাকথিত এরিয়া সি এলাকাতে৷ ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরের যে ৬০ শতাংশ এলাকাই এই অঞ্চলে অবস্থিত৷ অঞ্চলটি পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে৷
২০২২ সালের মে মাসে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে ১৯৮০ সালে ফায়ারিং জোন নাইন ওয়ান এইট নামে পরিচিত সামরিক জোন ঘোষণা করার আগে মাসাফের ইয়াত্তার আটটি গ্রামের বাসিন্দারা এই এলাকায় তাদের বসবাস প্রমাণ করতে পারেনি৷ বলা হয়, বছরের নির্দিষ্ট, সীমিত সময়ে এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে, এমন সমঝোতা প্রস্তাবও গ্রামবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে৷
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অবৈধ৷ গত কয়েক বছরে এইসব বসতি বিভিন্ন এলাকাতে বিস্তার লাভ করেছে৷ গত কয়েক সপ্তাহে জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের বসতি নির্মাণের পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে৷
আভিগাইল নামে একটি এলাকাতে বসতি আগে ইসারায়েলি আইন অনুসারেও অবৈধ ছিল৷ কিন্তু সম্প্রতি ইসরায়েলের নতুন কট্টর ডানপন্থি সরকার এটি সহ ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে মোট নয়টি ইসরায়েলি বসতিকে বৈধতা দেয়ার ঘোষণা দেয়৷
এসব এলাকাতে বসা করা বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি প্রথাগত কৃষিকাজ এবং পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন৷ তাদের দাবি, ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসারায়েল পশ্চিম তীর দখল করে নেয়ার অনেক আগে থেকেই তারা এসব এলাকাতে বাস করছেন৷
গত বছর মার্কিন কংগ্রেসের কিছু সদস্য দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের বলপূর্বক উচ্ছেদের ইসরায়েলী পরিকল্পনার প্রকাশ্য নিন্দা জানানোর আহ্বান জানান৷ তারা এটিকে ‘চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের ভয়াবহ লঙ্ঘন' বলেও উল্লেখ করেন৷
২০১৯ সালের ছবিঘর
ভূমি তুমি কার
পশ্চিম তীরে একসময় শুধু ফিলিস্তিনি মুসলমানরাই ছিলেন৷ তবে ১৯৬৭ সালে তা দখল করে সেখানে ইহুদিদের বসতি গড়তে শুরু করে ইসরায়েল৷ এখন দু’ পক্ষেরই দাবি, ‘‘এই ভূমি আমাদের৷’’ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Reuters/R. Sawafta
বাড়ছে, বাড়বে ইহুদিদের বসতি
পশ্চিম তীরে ইতিমধ্যে ১২০টি বসতি গড়ে দিয়েছে ইসরায়েল সরকার৷ গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সময়ই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়ানহু বলে রেখেছেন ভবিষ্যতে আরো বসতি গড়া হবে অধিকৃত সেই অঞ্চলে৷
ছবি: Reuters/Peace now
‘এই জায়গা আমাদের বাইবেলেও তা বলা আছে’
মাইকেল নেটসার৷ বয়স ৬৩ বছর৷ ইহুদি এই ব্যক্তি ১৯৮৫ সাল থেকে পশ্চিম তীরের বাসিন্দা৷ পশ্চিম তীর ইসরায়েল বা ইহুদিদের নয় তা তিনি একেবারেই মানতে রাজি নন৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘ইহুদিরা এখানে বাস করতে পারবে না, এ কথাটা খুবই হাস্যকর৷ এটা তো বাইবেলের অংশ৷ আমি প্রশ্ন করতে চাই— আপনার পূর্বপুরুষ বা পূর্বপুরুষের ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া কি এত সহজ? মোটেই তা নয়৷ ইতিহাসই ইহুদিদের এখানে নিয়ে এসেছে৷ ’’
ছবি: Reuters/R. Zvulun
‘এই ভূমি আমার হুদয় এবং আত্মা’
মুসলিম কৃষক আজমি মুসলেহর সোজা দাবি— এই ভূমি মুসলমানদের৷ তিনি বলেন, ‘‘ওই জায়গাটা আমার হৃদয় এবং আত্মা৷ ওটা আমার পরিবারের হৃদয় এবং আত্মা৷’’ তিনি জানান, এখন যেখানে ইহুদিদের বাস, এক সময় সেখানে তাঁরা চাষবাস করতেন৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
‘নিজেকে সেটলার মনে হয় না আমার’
৬০ বছর বয়সি মাইকের কোভেন-ভোগেল ইহুদি৷ পেশায় আইনজীবী৷ পশ্চিম তীর দখল করে ইসরায়েল সেখানে তাদের জন্য বসতি গড়ে দিলেও নিজেকে আর বহিরাগত মনে হয় না তার৷ তিনি বললেন, ‘‘নিজেকে মোটেই সেটলার মনে হয় না৷’’ তিনি মনে করেন, ইসরায়েল ইহুদিদের জন্য আরো বসতি গড়ে দিলে ভালো হবে৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
‘এই জায়গা ইসরায়েলের জনগণের’
৪৩ বছর বয়সি ইহুদি ইতাই জার মনে করেন, ‘‘এই জায়গা যে ইসরায়েলি জনগণের সে বিষয়ে কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না৷’’
ছবি: Reuters/R. Zvulun
‘অন্য জায়গায় জমি কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়’
ডেভিড হামবার্গারও একজন ইহুদি৷ ইসরায়েলে জমি কিনে বাড়ি তৈরি করা সম্ভব নয় বলে পশ্চিম তীরে বাস করছেন তিনি৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আমরা আদর্শিক কারণে এখানে আসিনি৷এই জায়গায় না কিনলে অন্য কোথাও জমি কিনে বাড়ি বানানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়৷’’
ছবি: Reuters/N. Elias
‘আমাদের মধ্যে শান্তি আসা অসম্ভব’
মোহাম্মদ আওয়াদ একজন ফিলিস্তিনি মুসলমান৷ বয়স ৬৪ বছর৷ তাঁর মতে, পশ্চিম তীরে শান্তি আসার কোনো সম্ভাবনা নেই, ‘‘একটি শান্তিপূর্ণ এলাকা ওরা দখল করে নেয়ার কারণে এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত৷ ফলে এখানে শান্তি আসা অসম্ভব৷আমার জমি কেউ চুরি করে নিয়েছে এটা কেমন করে মেনে নেবো? তার সঙ্গে কিভাবে শান্তিতে বসবাস করবো?’’