ভিডিওটি প্রকাশের পর দেড় দিনে শুধু ফেসবুকেই নাকি দেখা হয়েছে ১০ লাখের বেশি বার৷ কী আছে সেই ভিডিওতে? কাঁরা আছেন? আছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি৷ আরো আছেন তাঁর চেয়েও বড় চার তারকা৷
বিজ্ঞাপন
হ্যাঁ, এক অর্থে মাশরাফির চেয়েও বড় তারকা তাঁরা৷ মাশরাফিও তা মনে করেন৷ ওই চারজনের একজন আব্দুল্লাহ৷ তাঁর পা দুটো খুব ছোট আর উল্টানো৷ এমন অস্বাভাবিকতাকেও প্রতিবন্ধকতা হতে দেননি আব্দুল্লাহ৷ সে কারণেই মাশরাফিও তাঁকে চেনেন, মন থেকে শ্রদ্ধা করেন৷ সদরঘাটে গেলে আপনিও হয়ত দেখবেন আব্দুল্লাহকে৷ শ্রদ্ধাও করবেন৷ এমন মানুষকে শ্রদ্ধা করতেই হয়৷ এই ভিডিওটি যে-ই দেখবে, শ্রদ্ধায় নুয়ে আসবে তাঁর মাথা৷ শুধু আব্দুল্লাহ নন, আরো তিনজন এমন বাস্তব জীবনের নায়ক আছেন এই ভিডিওতে৷
ওপরের ভিডিওটি দেখেছেন? এখনো না দেখে থাকলে দেখুন একবার৷ শেষে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের সুর বেজে উঠতেই মাশরাফিসহ সবাই যে উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানিয়েছেন, তা দেখেছেন তো? দেখে থাকলে মাবিয়াকেও চিনেছেন নিশ্চয়ই! বস্তিতে কায়ক্লেশে জীবন কাটে তাঁর৷ সেখান থেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন ভারোত্তোলনে অসাধারণ কিছু করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করার৷ গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে সোনা জিতে সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত৷ তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণের মুহূর্তটি সবার আবেগকেই খুব নাড়া দিয়েছিল৷ পদক গ্রহণ শেষে জাতীয় সংগীতের সুর বেজে ওঠার পর জাতীয় পতাকাকে সালাম জানানোর সময় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন মাবিয়া৷ ১০ মিনিটের এই ভিডিওটিতে অবশ্য মাবিয়া কাঁদেননি৷ তাঁকে এবং আব্দুল্লাহসহ আরো তিন ‘রিয়েল লাইফ হিরো'কে পাশে পেয়ে গর্বের হাসি হেসেছেন মাশরাফি৷
সম্প্রতি নিজেদের ১১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে দৈনিক প্রথম আলো৷ এ উপলক্ষ্যেই ভিডিওটি তৈরি করা হয়৷
এসিবি/জেডএইচ
লাখো কণ্ঠে ‘সোনার বাংলা’
বুধবার স্বাধীনতা দিবসে ঢাকার প্যারেড ময়দানে লাখো কণ্ঠে ধ্বনিত হয় ‘সোনার বাংলা’৷ আড়াই লাখের বেশি মানুষ সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার উদ্যোগ সম্পন্ন করেন৷ বিশাল এই আয়োজনের কিছু ছবি পাবেন এখানে৷
ছবি: DW/M. Mamun
‘আমার সোনার বাংলা’
স্বাধীনতা দিবসে প্যারেড ময়দানে আড়াই লাখের বেশি মানুষ একত্রে গেয়ে ওঠেন ‘‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি৷’’ জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, ২৫৪,৬৮১ জন সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়েছেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ
‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে ভোর থেকেই প্যারেড ময়দানে হাজির হতে থাকেন অগুনতি মানুষ৷ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন এই আয়োজনে৷
ছবি: DW/M. Mamun
‘বাঙালি ইতিহাস সৃষ্টি করে’
জাতীয় সংগীতের রেকর্ড গড়ার আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তিনি বলেন, ‘‘বাঙালি সবসময় ইতিহাস সৃষ্টি করে৷ বাঙালি আবার নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে৷’’ (ফাইল ফটো)
ছবি: dapd
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সহায়তা
‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ কর্মসূচি নিয়ে কর্মতৎপরতা শুরু হয় ফেব্রুয়ারি মাস থেকে৷ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ৷ ছবিতে প্যারেড ময়দানে জাতীয় সংগীত গাইছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
‘খুব ভালো লাগছে’
জাতীয় সংগীত গাওয়ার আয়োজনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী রাজীব রুদ্র ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা ক্লাসের বন্ধুরা একসঙ্গে এখানে এসেছি৷ খুব ভালো লাগছে, আমরাও সবার সঙ্গে জাতীয় সংগীত গেয়েছি৷ বিশ্ব রেকর্ডের অংশ হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে৷’’
ছবি: Reuters
‘স্কুলের ছাত্র মনে হচ্ছে’
অনুষ্ঠান শেষে ফেরার সময় উত্তরার ব্যবসায়ী ষাটোর্ধ্ব হাজী মতিন বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আজ জাতীয় সংগীত গাইলাম৷ নিজেকে আজ স্কুলের ছাত্র মনে হচ্ছে৷ ভালো লাগছে এত বড় আয়োজনে অংশ নিতে পেরে৷’’
ছবি: DW/M. Mamun
অনলাইন আয়োজন
শুধু ঢাকার প্যারেড ময়দান নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও জাতীয় সংগীত গাওয়ার আয়োজনে অংশ নেন৷ আলাদা ওয়েবসাইট, ফেসবুকে ইভেন্ট এবং অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হয়৷
ছবি: facebook.com
দ্বিতীয় উদ্যোগ
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ডিসেম্বরে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার উদ্যোগ নেয়া হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে সেটা ভালোভাবে সম্পন্ন করা যায়নি৷ এবার সরকারই উদ্যোগ নিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখানোর আয়োজন করে৷
ছবি: DW/M. Mamun
রেকর্ড গড়ার জন্য যথেষ্ট
সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে ২০১৩ সালে রেকর্ড গড়ে ভারতের সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার৷ গিনেস বুকে স্থান করে নেয়া সেই আয়োজনে অংশ নিয়েছিল সোয়া লাখের মতো মানুষ৷ সেই তুলনায় ঢাকায় বুধবারের আয়োজনে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা দ্বিগুনের বেশি৷
ছবি: DW/M. Mamun
সিদ্ধান্ত জানাবে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ
লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গাওয়ার এই আয়োজন রেকর্ড গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণে সক্ষম হয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করেছে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ৷ তাদের স্বীকৃতির পর এই আয়োজন আন্তর্জাতিক রেকর্ড হিসেবে বিবেচিত হবে৷