১৯৩৯ সাল৷ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এসেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল৷ ডারবানে চলছে সিরিজের পঞ্চম টেস্ট৷ যতদিন জয়-পরাজয় নির্ধারণ না হবে খেলা চলবে ততদিন৷
বিজ্ঞাপন
ম্যাচ শুরু হলো ৩ মার্চ, চলল ১৪ মার্চ পর্যন্ত৷ তিনদিন খেলা হয়নি বৃষ্টির কারণে৷ ভাবছেন, কে জয়ী হলো? না, নয়দিনেও ফলাফলের দেখা মেলেনি৷ শেষ দিন ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪১ রান৷ কিন্তু সেটি বাকি রেখেই তাদেরকে পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী জাহাজে চাপতে হয়েছিল৷ খেলাটা যে এতদিন গড়াতে পারে সেটি হয়তো তাদের ভাবনাতেও ছিল না৷ দীর্ঘতম টেস্ট ম্যাচটি তাই পরিসংখ্যানের খাতায় ড্র হয়েই থাকলো৷
একটা সময়ে চার থেকে ছয়দিনের টেস্ট যেমন খেলা হতো তেমনি আবার এমন ‘টাইমলেস' বা বাধাধরা সময়বিহীন ম্যাচও চালু ছিল৷ সময়ের বিবর্তনে সেটি এখন পাঁচদিনে রূপ নিয়েছে৷ কিন্তু তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমী, বোদ্ধা, এমনকি খেলোয়াড়রাও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন৷ কীভাবে টেস্টকে আরো আকর্ষণীয় করা যায় তা নিয়ে নানাজন নানা পরামর্শ দিচ্ছেন, নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট ক্লাব আর লিগগুলো৷ এর কিছু নিয়ম চালু করেছে সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসিও৷ যেমন, বাংলাদেশ আর ভারতের মধ্যে শুরু হওয়া দিবারাত্রি টেস্টটি৷ এরইমধ্যে অনেকগুলো দেশ অবশ্য গোলাপি বলে খেলে ফেলেছে৷ তাতে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে নতুন একটা আলোচনা শুরু হলেও সেটি কতটা উত্তেজনা ছড়াতে পারছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷
ক্রিকেটের আমি বোদ্ধাতো নই-ই, খুব আগ্রহী দর্শকও না৷ নিজের দল আর দেশ যখন খেলে তখনই মূলত খেলা দেখা হয়৷ আগ্রহের ক্রিকেটার যেসব দলে খেলেন সময়-সুযোগ হলে তাদের ম্যাচগুলোও দেখি৷ মাঝে মাঝে অবশ্য ইউটিউবে শৈশবের কিংবা অতীতের গ্রেটদের পুরনো খেলার ক্লিপস দেখতেও ভালো লাগে৷
টেস্ট, ওয়ানডে পেরিয়ে ক্রিকেট এখন টি টোয়েন্টির যুগে৷ দর্শক আগ্রহ আর ব্যবসার বিবেচনায় স্বল্প সংস্করণটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল সেটি বলা চলে৷ তবে টি-টোয়ন্টির চেয়ে এখনো ওয়ানডেটাই বেশি উপভোগ্য মনে হয়৷ টি-টোয়েন্টি ঠিক আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট যেন হয়ে ওঠে না, শৈশবের পাড়ার খেলার মতোই লাগে৷ ভালো-খারাপ বলের কোনো বালাই নেই, চোখ বন্ধ করে কেবল পেটাও৷ সেদিক থেকে ওয়ানডে ক্রিকেটই ভালো৷ ম্যাচ জয়ের জন্য ব্যাটসম্যান, বোলার, ফিল্ডার সবারই ন্যূনতম নৈপুণ্যের দেখা সেখানে মেলে৷ তবে অনেক ক্রিকেটপ্রেমী অবশ্য ওয়ানডেতেও ঠিক সন্তুষ্ট নন৷ তাদের কাছে প্রকৃত ক্রিকেট আসলে টেস্ট৷
ক্রিকেট নাকি ছিল অভিজাতদের খেলা৷ তবে সেটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি যে নয় তা বলা বাহুল্য৷ আভিজাত্যটি লুকিয়ে মূলত টেস্ট সংস্করণে৷ তার নমুনা মেলে ম্যাচ যখন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো ভেন্যুতে হয়৷ দৃষ্টিনন্দন গ্যালারিতে গা এলিয়ে দিয়ে সূর্যস্নান করতে করতে, পরিবার সমেত কিংবা প্রিয়জনকে নিয়ে আয়েশ করে ম্যাচ উপভোগ করা৷ আমার মনে টেস্ট ক্রিকেটের ছবিটা অনেকটা তেমনই৷ ধৈর্য্য ধরে, নিবিষ্ট মনে উচ্চাঙ্গসংগীত উপভোগের মতো করে খেলা দেখা৷ জাকির হোসেনের তবলার সাথে চৌরাসিয়ার বাঁশির যেমন, তেমনি ৷ পাঁচদিন বসে বসে সেটি উপভোগের সুযোগ অবশ্য কতজনেরই বা মেলে৷ আজকের দিনে ব্যাটসম্যান আর বোলারের সেই দ্বৈরথই বা কোথায়!
সুমনের চোখে বাংলাদেশের সেরা টেস্ট একাদশ
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ গত ১০ নভেম্বর উনিশ বছর পূর্ণ করে বিশে পা রেখেছে৷ সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনের গড়া বাংলাদেশের সেরা টেস্ট একাদশে কারা এবং কেন স্থান পেয়েছেন তা জানতে দেখুন আমাদের এই ছবিঘর৷
ছবি: AP
মাশরাফি
সেরা একাদশের নেতৃত্ব নির্দ্বিধায় মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে তুলে দিয়ে সুমন বলেছেন, ‘‘এত জোরে বল করতে আমি দেশের খুব কম বোলারকেই দেখেছি৷ সুইংও ছিল৷ অত্যন্ত বুদ্ধিমান বোলার৷’’
ছবি: AP
তামিম
‘সেরা পারফর্মার‘ হিসেবেই ওপেনিংয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তামিম ইকবাল৷ লর্ডসে সেঞ্চুরি করা এই খেলোয়াড়কে একাদশে রাখার পেছনে দেশ ও দেশের বাইরে পারফর্ম্যান্সকেই বড় করে দেখেছেন হাবিবুল বাশার৷ তিনি বলেন, ‘‘পেস ও স্পিন সমান ভালো খেলে৷ সবচেয়ে বড় কথা, ওর ব্যাটিং অন্য ব্যাটসম্যানদেরও আত্মবিশ্বাস দেয়৷ ওকে এক নম্বরে রাখতে তাই একদমই সময় লাগেনি৷’’
ছবি: picture-alliance/A. Salahuddin
জাভেদ ওমর
৪০টি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা এবং টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হাবুডুবু খাওয়ার সময়ে উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকার মানসিকতাকে গুরুত্ব দিয়ে জাভেভ ওমরকে দলে রেখেছেন সুমন৷
ছবি: Shamsul Hoque Tanku
মুমিনুল
তিন নম্বর পজিশনে স্থান পেয়েছেন তিনি৷ সুমন বলছেন, মুমিনুলকে বাছতে কষ্ট হয়নি তার৷ তবে এই পজিশনে মুমিনুলকে বাদ দিলে নিজেকে জায়গা দিতেন তিনি৷ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুলকে একাদশে রাখার ব্যাখ্যায় সুমন বলছেন, ‘‘রান করার দক্ষতা অনেক এবং ব্যাকফুটে শক্তিশালী৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/M. U. Zaman
বুলবুল
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে একাদশে রেখে সুমন বলছেন, ‘‘বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরো অনেক কিছুই দেওয়ার ছিল তাঁর৷’’ মাত্র ১৩ টেস্ট ক্যারিয়ারেও বুলবুল সর্বকালের সেরা একাদশে থাকার মতো ঝলক দেখিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস করেন হাবিবুল বাশার সুমন৷
ছবি: Shamsul Hoque Tanku
আকরাম খান
১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিজয়ী অধিনায়ক আকরাম খানকে সেরা একাদশে জায়গা দিয়ে সুমন বলছেন, ‘‘যে-কোনো বোলিং আক্রমণকে ছিঁড়ে-খুঁড়ে ফেলার ক্ষমতা ছিল উনার৷ পেস ও স্পিন খেলার সামর্থ্যের দিক থেকে অত্যন্ত উঁচু দরের ব্যাটসম্যান তিনি৷’’
ছবি: DW/Z. Chowdhury
সাকিব
অলরাউন্ডার হিসেবে একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান৷ সব ফরম্যাটে বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড়ও তিনি৷
ছবি: Munir uz Zaman/AFP/Getty Images
মুশফিক
সুমন বলছেন, মুশফিক অলরাউন্ডার, কারণ, তিনি উইকেটের পেছনেও দাঁড়াবেন৷ বিশেষজ্ঞ উইকেটরক্ষক হিসেবে খালেদ মাসুদ অপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও মুশফিককে দিয়ে কিপিং করালে বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান খেলাতে পারার চিন্তা থেকেই তাঁর ওপর আস্থা রেখেছেন সুমন৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. S. Kodikara
রফিক
এই সি্পন বোলারকে একাদশে রেখে সুমন বলছেন, ‘‘রফিক আমার দলে সব সময়ই থাকবে৷ আমি অধিনায়ক থাকাকালে সে আমাকে খুব কমই বঞ্চিত করেছে৷ রান আটকানোর পাশাপাশি উইকেট তুলে নেওয়ায় ওর চেয়ে ভালো আর কেউ নয়৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/F. K. Godhuly
শাহাদাত
ভীতিকর পেসার হিসেবে একাদশে শাহাদাত হোসেনকে রেখে সুমন বলছেন, ‘‘টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়ক যে রকম আক্রমণাত্মক বোলার চায়, শাহাদাত সে রকমই একজন৷ সত্যিকারের টেস্ট বোলার৷’’
ছবি: AP
মুস্তাফিজ
টেস্ট ক্যারিয়ারে এখনো বলার মতো কিছু না করলেও মুস্তাফিজকে যে-কোনো উইকেটে উইকেট নেওয়ার মতো বোলার বলেই মনে করেন সুমন৷ এজন্য তাঁর সেরা টেস্ট একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন তরুণ এই বোলার৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. S. Kodikara
11 ছবি1 | 11
আমার মতো ক্রিকেটের সাধারণ দর্শকদের কাছে দিনশেষে জয়-পরাজয়ের হিসাবটাই গুরুত্বপূর্ণ৷ আর তাতে শেষমেশ যদি একটা টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়, তাহলেই বিনিয়োগকৃত সময় কিংবা পয়সা উসুল৷ সেটির দেখা টেস্টে তো কমই মেলে৷ পাঁচদিনের খেলায় শেষে এসে কয়টা ম্যাচইবা সেই আমেজ ছড়াতে পারে৷ তবে ইদানিংকায় কিছু ম্যাচে এমনটা হয়েছেও বটে৷ কিন্তু অমন দুই-একটা উদাহরণের লোভ দেখিয়ে বেশিরভাগ ম্যাচে পাঁচদিন টিভিসেটের সামনে কিংবা স্টেডিয়ামে বসিয়ে রাখা কি আর সম্ভব! তার চেয়ে ভালো স্কোর জেনে সময় সুযোগ করে শেষটুকু দেখা৷
এমনটা যখন ভাবছি, তখন টেস্ট ক্রিকেটের অতীত গল্পগুলো শুনেও কিন্তু মুগ্ধ হই৷ সত্যিকার অর্থে টেস্ট ক্রিকেট তো আসলে জয়-পরাজয়ের হিসাব নয়৷ বোলারদের সাথে ব্যাটসম্যানদের প্রতিটি বলের যে লড়াই সেটিইতো আসল টেস্ট৷ একপ্রান্তে ডেনিস লিলি, অন্য প্রান্তে স্যার ভিভ রিচার্ডস, মাইকেল হোন্ডিং কিংবা কলিন ক্রফট, অন্যদিক সুনিল গাভাস্কার কিংবা টনি গ্রেগ৷ যেই লড়াইয়ে কখনো বোলার, কখনো জয়ী ব্যাটসম্যান৷ তেমন টেস্ট হলে আমার মতো সাধারণ দর্শকও নিশ্চয়ই খেলা দেখবে৷ না হলে বরংচ ইউটিউবে সেই সময়কার ম্যাচের ক্লিপস দেখে নেয়াই ভালো৷ পিঙ্ক বল হোক, কি খেলা চারদিনের হোক তাতে আমি অন্তত সব ছেড়েছুড়ে নিবিষ্ট মনে দিনব্যাপী টেস্ট দেখার পরীক্ষা দিতে রাজি নই৷
প্রিয় পাঠক, আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ কী?
বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অ্যাশেজ শুরু হচ্ছে৷ এর মধ্য দিয়েই শুরু হচ্ছে দুই বছরব্যাপী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ৷ ছবিঘরে থাকছে নতুন এই প্রতিযোগিতার বিস্তারিত৷
ছবি: Getty Images/AFP/G. Copley
টেস্টের সেরা বের করা
ওডিআই ও টি-টোয়েন্টির মতো এবার টেস্টেরও বিশ্বসেরা বের করতে চায় আইসিসি৷ এছাড়া দ্বিপক্ষীয় টেস্ট সিরিজগুলো আরও অর্থবহ করতে দুই বছর মেয়াদি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অ্যাশেজ দিয়ে এই প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে৷ ফাইনাল হবে ২০২১ সালের জুনে, লর্ডসে৷
ছবি: Imago Images
যারা খেলছে
নয়টি দেশ এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে৷ বাংলাদেশও আছে এর মধ্যে৷ বাকিরা হলো অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷
ছবি: bdnews24.com/M. Mostafigur Rahman
কয়টি খেলা?
হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ফরম্যাটে প্রতিটি দেশ তিনটি করে মোট ছয়টি সিরিজ খেলবে৷ একেকটি সিরিজে অন্তত দুটি ম্যাচ থাকবে৷ এছাড়া তিন, চার ও পাঁচ ম্যাচের সিরিজও রয়েছে৷
ছবি: Reuters/D. Gray
সবদলের ম্যাচ সংখ্যা সমান নয়
প্রতিযোগিতায় একেক দেশের টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা একেক রকম হবে৷ যেমন দুই বছরে ইংল্যান্ড খেলবে সর্বোচ্চ ২২টি টেস্ট৷ আর সবচেয়ে কম খেলবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা, ১৩টি করে৷
ছবি: bdnews24.com/M. Mostafigur Rahman
পয়েন্ট সিস্টেম
একেকটি সিরিজে দুটি দল ১২০ পয়েন্টের জন্য লড়বে৷ সেক্ষেত্রে দুই টেস্টের সিরিজ হলে একটি ম্যাচ জিতলে ৬০ পয়েন্ট পাওয়া যাবে৷ সিরিজ তিন টেস্টের হলে ম্যাচপ্রতি পয়েন্ট হবে ৪০ করে৷ চার টেস্টেট সিরিজে ম্যাচপ্রতি পয়েন্ট ৩০ আর পাঁচ টেস্টের সিরিজে এক ম্যাচে জয়ের জন্য ২৪ পয়েন্ট পাওয়া যাবে৷ কোনো টেস্ট টাই হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে৷ আর ড্র হলে প্রতিটি দল এক-তৃতীয়াংশ পয়েন্ট পাবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. S. Kodikara
ফাইনাল
লিগ ভিত্তিতে খেলা শেষে যে দুই দলের পয়েন্ট সর্বোচ্চ থাকবে তারা লর্ডসে ফাইনাল খেলবে৷ ফাইনাল টাই কিংবা ড্র হলে দুই দলই যৌথ চ্যাম্পিয়ন হবে৷
ছবি: AP
বাংলাদেশের খেলা
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট নভেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে৷ ভারত সফরে দুটি টেস্ট খেলবে টাইগাররা৷ এরপর বাংলাদেশ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুটি ও ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট খেলবে৷ সেগুলো কোথায় হবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি৷
ছবি: bdnews24.com/M. Mostafigur Rahman
টাইগারদের আরও খেলা
২০২০ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুটি ও আগস্টে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ৷ এরপর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে তিনটি টেস্ট খেলার কথা টাইগারদের৷ এই প্রতিযোগিতায় ইংল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কোনো টেস্ট খেলবে না বাংলাদেশ৷ এমনিভাবে প্রতিটি দলই মোট ছয়টি দেশের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলবে৷