1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অনমনীয় মাক্রোঁ নমনীয় হতে বাধ্য হলেন

৪ ডিসেম্বর ২০১৮

ফ্রান্সের ৪০ বছর বয়সি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ এতদিন পর্যন্ত নিজেকে অনমনীয় ও দৃঢ় সংকল্পের অধিকারী একজন অর্থনৈতিক সংস্কারক হিসেবে পরিচিত করে তুলেছিলেন৷ তবে এবার তাঁকে থামতে বাধ্য করা হলো৷

Frankreich Macron nach den Ausschreitungen der Gelbwesten
ছবি: Reuters/T. Camus

পরিবেশের কথা চিন্তা করে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে জ্বালানি কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল মাক্রোঁর প্রশাসন৷ এছাড়া পুরনো গাড়ি থেকে বেশি ধোঁয়া বের হয় বলে সেগুলো ব্যবহারে জরিমানারও প্রস্তাব করা হয়েছিল৷

কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি দেশটির কম আয়ের মানুষ৷ তাই অক্টোবরে সামাজিক মাধ্যমের সহায়তায় বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়েছিল৷ তাতে সাড়া দেন অনেক নাগরিক৷ ফলে গত কয়েক সপ্তাহান্তে দেশজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ বিক্ষোভকারীরা হলুদ রংয়ের জ্যাকেট পরে আন্দোলনে অংশ নেয়ায় এটি ‘ইয়েলো ভেস্ট' আন্দোলন নামে পরিচিত হয়ে ওঠে৷

গত শনিবার আন্দোলনের মাত্রা চরমে পৌঁছে৷ প্যারিসে প্রায় ২০০টির মতো গাড়িতে আগুন দেয়া হয়৷ এছাড়া ‘আর্ক অফ ট্রায়াম্ফ'-এ ক্ষতিসাধন করা হয়৷ এই সময় অনেককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷

এরপর মঙ্গলবার ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এডুয়া ফিলিপের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের আলোচনা হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু বিক্ষোভকারীরা আলোচনায় বসতে রাজি হননি৷

এমন পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ প্রশমন করতে মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে জ্বালানি করের প্রস্তাব ছয় মাস পিছিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ৷ সোমবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ এই সিদ্ধান্ত নেন বলে ফ্রান্সের গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে৷

এছাড়া পুরনো গাড়ি ব্যবহারে যে জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছিল, সেটিও তিন মাসের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷

তবে বিক্ষোভকারী ও বিরোধী দলের নেতারা সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারছেন না৷ আন্দোলনকারীদের নেতা বেঞ্জামিন কাউচি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে সমস্যা সমাধানের ‘প্রথম পদক্ষেপ' হিসেবে উল্লেখ করেছেন৷ তিনি কর বাড়ানোর প্রস্তাব পুরোপুরি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন৷

এদিকে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় যিনি মাক্রোঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, সেই চরম ডানপন্থি নেত্রী মারিন ল্য পেন সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, বিক্ষোভকারীরা কর বাড়ানোর প্রস্তাব বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন, স্থগিত নয়৷

উল্লেখ্য, ‘ইয়েলো ভেস্ট'দের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে ন্যূনতম মজুরির পরিমাণ বৃদ্ধি এবং অতীতে উচ্চবিত্তদের উপর যে ‘সম্পদ কর' ধার্য ছিল সেটি আবারও ফিরিয়ে আনা৷ মাক্রোঁ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই কর বাতিল করে দিয়েছিলেন৷ এর পক্ষে তাঁর যুক্তি ছিল, ধনী ব্যক্তিরা এতে উৎসাহী হয়ে বিনিয়োগ বাড়াবে, যা নতুন চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ