কিছু বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো ভুয়ো খবর মুহূর্তে সৃষ্টি করতে পারে বাস্তবিক সহিংসতা৷ আর কীভাবে তা ক্রমেই বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে উঠছে, সেটাই উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়৷
বিজ্ঞাপন
মিয়ানমারের এক বৌদ্ধ মহিলা তাঁর সাথে হওয়া ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে থানায় যান৷ তিনি বলেন যে স্থানীয় দুই মুসলমান ব্যক্তিদের দ্বারা নিগৃহীত হন তিনি৷ কিছুদিন পর আরেক সন্ন্যাসী যখন এই বিষয়টি ফেসবুকে একটি পোস্টে বিস্তারিত তুলে ধরেন, নতুন করে শুরু হয় অশান্তি৷
এই পোস্টের কারণে পার্শ্ববর্তী মান্ডালে অঞ্চলে সংখ্যাগুরু গোষ্ঠীর মধ্যে টানা দু'দিন ধরে চলে হিংসা৷ সংঘর্ষে দু'জন মারা যান ও ১৯ জন আহত হন৷ সেই অঞ্চলে ফেসবুক কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করা হলে তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷
তদন্ত শেষ হলে জানা যায়, মুসলমানেদের বিরুদ্ধে যে খবর রটানো হয়েছিল তা আদতে সম্পূর্ণ মিথ্যে৷ শুধু তাই নয়, ধর্ষণের অভিযোগ তোলা নারীও পরে স্বীকার করেন যে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করার জন্য টাকা নিয়েছিলেন তিনি৷
সামাজিক মাধ্যমে অপরাধ সম্প্রচারের ৮ ঘটনা
ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে আজকাল অনেক অপরাধী তাদের অপরাধের ভিডিও আপলোড করছে৷ এর মধ্যে কোনো কোনোটি আবার সরাসরিও সম্প্রচারিত হচ্ছে৷
ছবি: imago/Schöning
‘ফেসবুক লাইভ’- এ নির্যাতন
নতুন বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে এক শ্বেতাঙ্গ তরুণের উপর নির্যাতন চালায় চার কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ-তরুণী৷ পুরো ঘটনা ‘ফেসবুক লাইভ’-এর মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল৷ শ্বেতাঙ্গ ঐ তরুণ মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল৷ পেটানোর পাশাপাশি তার চুল কেটে দেয়া হয়৷ অপরাধ করার সময় নির্যাতনকারীরা ট্রাম্প ও শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছিল৷ পুলিশ ঐ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে৷ ফেসবুক ভিডিওটি মুছে ফেলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Chicago Police Department
টুইটারে ধর্ষণের ভিডিও
২০১৬ সালের মে মাসে ব্রাজিলের রিও ডি জানেরোতে এক তরুণীকে ৩০ জনের বেশি মানুষ ধর্ষণ করে৷ তরুণীটি তার ছেলেবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেলে সেখানে তাকে ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়৷ তারপর একে একে তার উপর হামলে পড়ে সবাই৷ অপরাধীদের কেউ কেউ টুইটারে ভিডিও আপলোড করেছিল৷ সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেলে পুলিশের টনক নড়ে৷
ছবি: DW/J. Weber
লাইভ-এ আত্মহত্যা!
ফ্রান্সের ১৯ বছর বয়সি এক তরুণী ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে৷ এই ঘটনা সে পেরিস্কোপ অ্যাপের সাহায্য সরাসরি প্রচার করেছিল৷ ঘটনাটি ২০১৬ সালের মে মাসের৷
ছবি: periscope.tv
নির্যাতিতার সঙ্গে সেলফি
২০১৪ সালে দুই ইংলিশ তরুণী ৩৯ বছরের অ্যাঞ্জেলা রাইটসনের উপর প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধরে অত্যাচার চালায়৷ এই সময় আহতের সঙ্গে সেলফি তুলে ঐ দুই তরুণী সেই ছবি স্ন্যাপচ্যাটে শেয়ার করেছিল৷ নির্যাতনের এক পর্যায়ে মারা যান রাইটসন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Büttner
সেলফির কারণে ধরা পড়া
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় ম্যাক্সওয়েল ম্যারিয়ন মর্টন নামের এক টিনএজার আরেক টিনএজারকে হত্যা করে তার সঙ্গে সেলফি তুলে স্ন্যাপচ্যাটে আপলোড করেছিল৷ সেই ছবির সূত্র ধরে মর্টনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ৷ ঘটনাটি ২০১৫ সালের৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বান্ধবীকে ধর্ষণ সরাসরি সম্প্রচার!
যুক্তরাষ্ট্রের ১৯ বছর বয়সি এক তরুণীকে সম্প্রতি এই অভিযোগে নয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ ২০১৬ সালে মারিনা লোনিনা (ছবি) নামের ঐ তরুণী তার বান্ধবীর সঙ্গে রেমন্ড গেটসের ফ্ল্যাটে গিয়েছিল৷ সেখানে পান করার পর এক পর্যায়ে গেটস লোরিনার বান্ধবীকে ধর্ষণ করতে শুরু করলে পেরিস্কোপ অ্যাপের মাধ্যমে ঐ ঘটনা সরাসরি সম্প্রচার করেন লোরিনা৷ গ্রেপ্তার হওয়ার পর লোরিনা বলেছিল, অপরাধের প্রমাণ রাখতে তিনি ভিডিও করেছিলেন!
ছবি: picture alliance/AP Photo/Franklin County Sheriff's Office
ধর্ষণ সম্প্রচারের আরেক ঘটনা
২০১৬ সালের ৩০ মার্চ পেরিস্কোপে ‘লাইভ সেক্স’ শিরোনাম দিয়ে একটি ভিডিও দেখানো হয়৷ ভিডিওটি যারা দেখেছে, তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে ‘বাজফিড’ জানিয়েছে, ভিডিওতে লন্ডনের একটি ফ্ল্যাটে তিন তরুণকে এক তরুণীর সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হতে দেখা গেছে৷ তবে এটি যে বাস্তবে ধর্ষণের ঘটনা ছিল, সেটি বুঝতে কিছুটা সময় লেগেছে বলে বাজফিডকে জানান তারা৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Bonaventure
সরাসরি ‘আত্মহত্যা’
যুক্তরাষ্ট্রের ১২ বছর বয়সি এক মেয়ে তার আত্মহত্যার ভিডিও ইন্টারনেটে সরাসরি সম্প্রচার করেছে৷ কেটলিন নিকোল ডেভিস নামের তরুণীটি গত ৩০ ডিসেম্বর গাছের ডালের সঙ্গে দড়ি বেঁধে আত্মহত্যা করে৷ আত্মহত্যার সময় সে বলে, এক আত্মীয়ের কাছ থেকে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ায় সে আত্মহত্যা করছে৷
ছবি: Fotolia/DW
8 ছবি1 | 8
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মিথ্যা খবর ছড়ানো বিষয়ে এটি একটি ছোট্ট উদাহরণ মাত্র৷
মিয়ানমার, যে দেশ থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ৭০০,০০০ রোহিঙ্গা মুসলমানেরা ঘরছাড়া হয়ে বাধ্য হয়েছেন অন্যদেশে পাড়ি দিতে, সেই দেশে ফেসবুকের ব্যবহার নিয়ে গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে একটি নতুন তথ্য৷ একটি বিশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, মিয়ানমারে ফেসবুকের মতো অনলাইন যোগাযোগের মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়ানো ব্যক্তিদের একটি অংশ বাস্তবের অফলাইন দুনিয়াতেও এই কাজে লিপ্ত থাকে৷
ভুল তথ্য ও সহিংসতা
‘বিজনেস ফর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি' সংস্থার এই রিপোর্ট দেখায় সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে ব্যবহৃত হয় মানুষকে বিভ্রান্ত করতে৷ এই বিভ্রান্তিই পরে হিংসার রূপ নেয়, যা এক গোষ্ঠীকে আরেক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়ায়৷
কিন্তু এই সমস্যা শুধু মিয়ানমারেই সীমিত নয়৷ ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির মতো দেশেও রয়েছে এই প্রবণতা৷
জার্মানির ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)-র শরণার্থীবিদ্বেষী ফেসবুক পোস্ট করার হারের সাথে সাথে সেখানে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শরণার্থীদের ওপর অত্যাচার৷ ২০১৮ সালের গোড়ার দিকে যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষকের কাজ থেকে জানা গেছে এই তথ্য, যা বোঝায় সামাজিক গণমাধ্যমের বাস্তবিক ক্ষমতার গণ্ডীকে৷
হিংসার সংস্কৃতি
অনলাইনে ভুল খবর ছড়ানো মানুষেরা বাস্তব জগতে এমন কাজ করেন না, তা মানতে নারাজ বেশির ভাগ গবেষক৷ সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়া তথ্য এই প্রবণতাকেই প্রমাণ করে৷
কেউ কেউ এমনও থাকেন যারা অনলাইনের নকল দুনিয়ায় এতই গভীরভাবে ডুবে থাকেন যে ইন্টারনেট আর জীবনের মধ্যে পার্থক্য করতে ভুলে যান৷ এমনটাই মনে করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞ ভরত গণেশ৷ টুইটার ও ফেসবুকে ছড়ানো মিথ্যে খবরের ভিত্তিতেই জার্মানির কেমনিৎস শহরে ৬০০০ মানুষ অতি-ডানপন্থি মিছিলে যোগ দেয়৷ মার্কিস যুক্তরাষ্ট্রের শার্লটসভিলে শোনা গিয়েছিল এমন স্লোগান, যা সেই অঞ্চলের অতি-ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলির ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া৷
দর্শককে বেশি সময় ধরে পর্দায় আটকে রাখতে ফেসবুক বা ইউটিউবের মতো ওয়েবসাইট এক ধরনের বিশেষ অ্যালগোরিদমের সাহায্য নেয়৷ আপনি যা দেখতে চাইছেন, ঠিক তাই দেখাতে পারে এই অ্যালগোরিদম৷ কী বিষয়ে জানতে আপনি ঘন ঘন ইন্টারনেট সার্চ করছেন তা থেকে একটি প্যাটার্ন ঠিক করে নিয়ে এই অ্যালগেরিদম সৃষ্টি করবে এক ‘বাবল' বা বুদবুদের৷ এই বাবল দর্শকের কাছে একটি কাল্পনিক দুনিয়ার সমান৷
এ বিষয়ে কনরাড আডেনাওয়ার ফাউন্ডেশনের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধ বিশেষজ্ঞ লিন্ডা শ্লেগেল বলেন, ‘‘এই বাবল থেকে ডিজিটাল যুগের সন্ত্রাসী জন্ম নিতে পারে৷ বারবার একই জিনিস দেখতে দেখতে মস্তিষ্ক তাকে সত্য বলে মেনে নেয় এক সময়৷ এভাবেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে মৌলবাদ মাথায় ঢুকে যেতে সক্ষম হয়৷''
ইউটিউবের ক্ষেত্রেও এমনই আরেক অ্যালগোরিদম কাজ করে যা বিশেষ কিছু ভিডিও-র প্রতি দর্শকের পক্ষপাতকে বুঝে নিয়ে কাছাকাছি বিষয়ের অন্যান্য ভিডিও হাতের কাছে এগিয়ে দেয়৷ ফলে প্রায়ই দেখা যায় বিশেষ কিছু ভিডিও অ্যালগোরিদমের জাদুস্পর্শ পেয়ে লক্ষাধিক মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে৷
বর্তমান সময়ে বেশি মানুষের কাছে খবর পৌঁছানো মানেই বেশি আয়৷ অনলাইন বিজ্ঞাপনের পেছনে টাকা ঢালা সংস্থাগুলি তাই ব্যস্ত কীভাবে নতুন নতুন সফটওয়্যার বা অ্যালগোরিদমের সাহায্যে বাড়ানো যায় প্রতি ভিডিও বা ফেসবুক পোস্টের নাগাল৷ খবর মিথ্যে হোক বা সত্যি, সবার গুরুত্ব তা আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াটুকুই৷
সে কারণেই মিথ্যে খবর ছড়ানো নিয়ে বাড়ছে গবেষক মহল থেকে প্রশাসন সর্বত্র চিন্তার ছায়া৷
মর্গান মিকার/এসএস
সোশ্যাল মিডিয়া ভেরিফিকেশন
ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব কীভাবে ভেরিফাইড করবেন, এমন প্রশ্ন অনেকেরই৷ জনপ্রিয় কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ভেরিফিকেশনের তথ্য পাবেন এই ছবিঘরে৷
ছবি: DW/A. Islam
ফেসবুক পেজ
পাবলিক ফিগার, ক্রীড়া, মিডিয়া, বিনোদন ও সরকারি পাতা ফেসবুক পেজ ভেরিফিকেশনের জন্য উপযুক্ত৷ পাতার সব তথ্য পূরণ করা আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন৷ এরপর ‘Request a Verified Badge’-এ গিয়ে নির্দিষ্ট ফর্মে পেজটি সিলেক্ট করুন৷ অফিসিয়াল আইডি আপলোড করুন৷ অফিসিয়াল পেজের লিঙ্ক দিন৷ এবার প্রেরণ করুন৷ ভাগ্য ভালো থাকলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার পেজে ভেরিফাইড ব্লু মার্কটি দেখাবে৷
ছবি: DW/P. Böll
ফেসবুক প্রোফাইল
ফেসবুক পেজের মতো প্রোফাইলেও একই নিয়ম৷ তবে সেক্ষেত্রে প্রোফাইল ভেরিফিকেশনের ফর্ম পূরণ করতে হবে৷ বিজনেস পেজের ক্ষেত্রে নিয়ম একটু ভিন্ন৷ সেখানে ফর্ম পূরণ করে অথবা আপনার ও ব্যবসার সব তথ্য আছে এমন বিজনেস ডকুমেন্ট আপ করে ভেরিফাই করতে পারেন৷
ছবি: DW/A. Islam
টুইটার অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন
সংগীত, অভিনয়, ফ্যাশন, সরকার, রাজনীতি, ধর্ম, সাংবাদিকতা, মিডিয়া, ক্রীড়া, ব্যবসাসহ বিভিন্ন রকমের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদন করতে পারতেন৷ সেজন্য প্রোফাইল পাবলিক থাকতে হতো৷ এজন্য একটি ফোন নম্বর ও ই-মেল অ্যাড্রেসও লাগতো৷ তবে আপাতত এই সুবিধা বন্ধ রেখেছে টুইটার৷
ছবি: DW/P. Böll
ইউটিউব
ইউটিউবে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার এক লাখ হলেই আপনি ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন৷ তবে পরবর্তীতে আপনি যদি চ্যানেলের নাম পরিবর্তন করেন, তাহলে ভেরিফাইড ব্যাজ উঠে যাবে৷
ছবি: Reuters/L. Nicholson
গুগল প্লাস
ফেসবুকের মতো গুগল প্লাসেও আপনি সরাসরি আবেদন করতে পারেন৷ তবে সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটকে আগে ভেরিফাইড করতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ইনস্টাগ্রাম
ইনস্টাগ্রাম আগে শুধুমাত্র সেলিব্রেটি ব্যক্তি বা ব্র্যান্ডেরই ভেরিফিকেশনের সুযোগ দিতো৷ তবে এখন প্রোফাইল ‘পাবলিক’ রেখে যেকেউ অ্যাপের মাধ্যমে ভেরিফিকেশনের আবেদন করতে পারেন৷ তবে এজন্য প্রোফাইলের সব তথ্য যথাযথভাবে পূরণ রাখতে হবে৷
ছবি: DW
6 ছবি1 | 6
আপনার কী মনে হয় বন্ধু? অনলাইন থেকে অফলাইনে কি সত্যিই ছড়াতে পারে বিপদ? লিখুন নীচের ঘরে৷