1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অনলাইন প্রতারণা এড়াতে সুরক্ষার সন্ধান

মার্টিন রিবে/এসবি৫ জানুয়ারি ২০১৫

লটারিতে কোটি টাকা পেয়েছেন, আফ্রিকার কোনো প্রাক্তন রাষ্ট্রনেতা আপনার কাছে টাকা গচ্ছিত রাখতে চান, অথবা আপনার বকেয়া বিল রয়েছে – এমন সব উদ্ভট সব বস্তু হল ই-মেল প্রতারণার বিষয়৷ এক্ষেত্রে সুরক্ষার উপায় খুঁজছেন জার্মান গবেষকরা৷

Symbolbild Computer Hacker Angriff Computerkriminalität
ছবি: Fotolia

অনলাইন প্রতারকদের কৌশল দিনকে দিন আরও সূক্ষ্ম হয়ে উঠছে৷ আরও বেশি মানুষ তাদের হামলার শিকার হচ্ছেন৷ ইন্টারনেট-ভিত্তিক অপরাধীরা সারা বিশ্বের কোটি কোটি কম্পিউটার অপব্যবহার করে সেগুলি ‘বট নেটওয়ার্ক'-এ যুক্ত করে৷ সেই নেটওয়ার্কেও কয়েক হাজার, বা কয়েক লক্ষ কম্পিউটার রয়েছে৷ সেগুলি থেকেই সাধারণ মানুষ বা কোম্পানির কম্পিউটারে রিমোট কন্ট্রোলে হামলা চালানো হয়৷

ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটের ইয়র্ন কোলহামার বললেন, ‘‘আমি নির্দিষ্ট সার্ভারের উপর বড় আকারের হামলা চালাতে পারি, যেমন কোনো কোম্পানির সার্ভারে৷ তখন সেই সার্ভার একই সঙ্গে এত ‘কোয়্যারিস' পায়, যে তা থমকে যায়৷ কোম্পানির জন্য সেটা একটা বড় সমস্যা৷ আরেকটি উপায় হলো অসংখ্য স্প্যাম মেল পাঠিয়ে টাকা চাওয়া বা কোনো নম্বরে ফোন করতে বলা৷ এভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করা যায়৷''

স্প্যাম আর জাঙ্ক মেলে ভরে যাচ্ছে ইন্টারনেটের দুনিয়াছবি: Fotolia/Scanrail

অচেনা সফটওয়্যার ডাউনলোড করলে বা সন্দেহজনক ই-মেল অ্যাটাচমেন্ট খুললে যে কেউ নিজের অজান্তেই বে-আইনি বট-নেটওয়ার্কের অংশ হয়ে উঠতে পারে৷ ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটের গবেষকরা এখন এমন এক সফটওয়্যার তৈরি করেছেন, যার সাহায্যে জটিল বট-নেটওয়ার্কের কার্যকলাপ দ্রুত ও সহজে দেখা যায় এবং অপরাধীদের নিষ্ক্রিয় করা যায়৷

ছবি বিশ্লেষণ করে পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝার সহজাত ক্ষমতা কাজে লাগায় সেটি৷ ইয়র্ন কোলহামার বলেন, ‘‘স্প্যাম মেল ঘেঁটে বিশেষজ্ঞরা যে সব তথ্য বার করেন, তার মধ্যে রয়েছে টেলিফোন নম্বর, ই-মেল ঠিকানা ইত্যাদি৷ থাকে টাকা পাঠানোর জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরও৷ সেগুলি কাজে লাগিয়ে বিশেষজ্ঞ কোম্পানি ও কর্তৃপক্ষ তার উৎস খুঁজতে পারে৷''

জেমস টোয়েলমায়ার ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটে গণিতজ্ঞ হিসেবে কর্মরত৷ তিনি ইন্টারনেট থেকে বিপুল তথ্য নিয়ে কাজ করেন৷ তাতে এমন চমকপ্রদ তথ্য থাকে, যা সঙ্গে সঙ্গে চোখে পড়ে না৷ তিনি ও তাঁর সহকর্মীদের তৈরি সফটওয়্যার সে সব দেখিয়ে দেয়৷ তখন স্প্যাম অভিযানের রূপরেখা স্পষ্ট হয়ে যায়৷ টেলিফোন নম্বর বা ই-মেল ঠিকানা সহজেই চোখে পড়ে৷ টোয়েলমায়ার বলেন, ‘‘স্প্যাম অভিযান থেকে পাওয়া তথ্য কাজে লাগিয়ে আমরা স্প্যামার-দের কৌশল বোঝার ক্ষমতা বাড়াতে পারি৷ এর মাধ্যমে আমরা নাগরিকদের আরও ভালো সুরক্ষা দিতে পারি, কর্তৃপক্ষকে তথ্য দিয়ে অপরাধী ধরার কাজে সাহায্য করতে পারি৷''

প্রায়ই দেখা যায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা নকল অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে পরস্পরকে ‘ইনফেক্ট' করছে৷ এগুলি সন্দেহজনক ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা হয়৷ ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটের গবেষকরা প্রতারণার এমন উদ্যোগও দৃশ্যমান করে তোলেন৷ ফলে দেখা যায়, প্রয়োগের কয়েকদিন আগে অপরাধীরা সেটি পরীক্ষা করে৷ কয়েক ডজন সাইটেই তারা পরীক্ষা চালায়৷ তারপর মূল অভিযানের সময় কয়েক হাজার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বে-আইনি অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ছড়িয়ে দেওয়া হয়৷ টোয়েলমায়ার বলেন, ‘‘আমরা যদি এমন অভিযান চিহ্নিত করে তার প্রস্তুতির কাজও দেখতে শিখি, সে ক্ষেত্রে হয়ত ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধ করতে পারবো৷''

এর পরেও প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে নিজস্ব সুরক্ষার বন্দোবস্ত করতে হবে৷ এর জন্য আপ-টু-ডেট অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার ও অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ আপডেট অনিবার্য৷ অচেনা ই-মেল অ্যাটাচমেন্ট ও সন্দেহজনক ওয়েবসাইট সম্পর্কে সাবধান থাকতে হবে৷ ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটের ভিশুয়ালাইজেশন সফটওয়্যার শুধু সার্বিকভাবে ইন্টারনেট সার্ফিং নিরাপদ করে তুলতে পারে৷ তারা সাইবার ক্রিমিনালদের ধরতে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও পুলিশকে সাহায্য করতে পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ