1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অনলাইন মাধ্যম বন্ধ, না নিয়ন্ত্রণ?

মাসুম বিল্লাহ
২৪ জুলাই ২০১৯

একটি হতাশার গল্প দিয়ে শুরু হোক৷ আমার কর্মস্থল বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ একবার আমার অ্যাসাইনমেন্ট পড়ে, বাংলাদেশে যে কয়েক হাজার অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু আছে, তাদের বিষয়ে খোঁজখবর করার৷

Symbolfoto Internetkriminalität
ছবি: picture-alliance/chromorange/C. Ohde

অনলাইন মাধ্যমগুলো কীভাবে চলে; তাদের অবকাঠামো আর কর্মীর সংখ্যাই বা কেমন- এসব খুঁজে বের করাই ছিল আমার কাজের ক্ষেত্র৷ তবে, পত্রিকার অনলাইন ভার্সনকে রাখা হয়েছিল আওতার বাইরে৷

খোঁজখবর করতে গিয়ে ন্যুনতম অবকাঠামো আছে, ঢাকায় এমন অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সংখ্যা ২০টিও খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ অথচ অনলাইন সংবাদপত্রের নিবন্ধনের জন্য চলতি জুলাই পর্যন্ত তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা পড়েছে আট হাজার৷ এর মধ্যে অর্ধেকও যদি রাজধানী থেকে ‘প্রকাশিত' হিসাবে ধরি, তাহলে ন্যুনতম অবকাঠামো নেই তিন হাজার ৯৮০টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের৷

অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সরকার শুরু করে ২০১৫ সালে নভেম্বরে৷ তা নিয়ে অনেক কালক্ষেপণ হয়েছে, বারবার পেছানো হয়েছে সময় এবং যাচাই-বাছাই দ্রুত করার কথা বলা হলেও সেটার কাজ শুরু হয়নি৷

নিজেদের কাজটা শেষ না করে গুজব কিংবা মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন  অনলাইন নিউজ  পোর্টাল বন্ধ করেছে৷ কিছু কিছু অনলাইন পুনরায় চালুর ঘটনাও আছে৷ সরকারের মন্ত্রী কিংবা আমলার ক্ষোভের কারণেও অবকাঠামো-লোকবল আছে, এমন নিউজ ওয়েবসাইট বন্ধ হতে দেখা গেছে৷

এর মধ্যে পদ্মাসেতুকে ঘিরে মাথা কাটার গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ৬০ টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ২৫ টি ইউটিউব লিংক এবং ১০ টি ওয়েব পোর্টাল বন্ধ করার কথা জানিয়েছে পুলিশ৷ তবে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সেভাবে জানানো হয়নি তাদের পক্ষ থেকে৷

মাসুম বিল্লাহ, ডয়চে ভেলেছবি: DW/T. Mehedi

কোনো একটি ঘটনা ঘটার পর সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর টনক নড়ে, তখন কিছু লোকদেখানো পদক্ষেপ নেওয়া হয়৷ কিন্তু সমস্যার মূলে হাত যায় না৷ কিন্তু গুজব আর ভুয়া খবরের উৎস বন্ধ করতে রেগুলেশনের যে কাজ সরকারের করা কথা, সে বিষয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না৷

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্তির সম্ভাবনা নিয়ে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে খবর ছাপাতেও আমরা দেখেছি৷ নিজেদের মতো গল্প সাজানো হয়েছিল তাতে৷ পরবর্তীতে সেসব খবর ভুয়া হিসাবে প্রমাণিত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ তার মানে, অবস্থান ও পরিস্থিতিভেদে ভুয়া খবরের বিষয়ে সরকারের অবস্থান ভিন্ন হয়৷

এসব কারণে ভুয়া খবর কিংবা গুজবের উৎস বন্ধের জন্য আগেই লাগাম টানা উচিত৷ না হয় কোনো ঘটনা ঘটলে কয়েকটা বন্ধ হবে, এরপর অন্যগুলো করবে৷ কারণ এখানে আছে অজস্র সুযোগ৷ ভুয়া খবর আর গুজব ছড়ানোও থাকবে অব্যাহত৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ