জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণরুম বিলুপ্তিসহ তিন দফা দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়সহ কয়েকজনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জাবির মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কতিপয় ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী প্রত্যয়ের অনশনস্থলে গিয়ে হামলা করে। সেই সময় প্রত্যয়ের বিছানা-বালিশ তছনছ এবং স্যালাইন রাখার স্ট্যান্ড ভাঙচুর করা হয়। তখন তাদের বাধা দিতে গেলে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচিসহ কয়েকজনকে তারা মারধর করে। এক পর্যায়ে প্রত্যয়কে জোরপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান জাবি শিক্ষার্থী গৌতম কুমার দাস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, প্রত্যয়ের সঙ্গে যে শিক্ষার্থীরা ছিলেন, তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয়। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর প্রত্যয়কে দেখতে চিকিৎসক আসেন। তখন তারা অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করে সেটা ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
এই ঘটনার সময়ে প্রক্টরকে ফোন করা হলেও তিনি আসেননি বলে অভিযোগ ওই শিক্ষার্থীদের।
রাত সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থলে যান জাবি প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, "ঘটনা শুনে আমরা এসেছি। এখানে যেসব শিক্ষার্থী হামলা করেছে, তাদেরকে আমরা শনাক্ত করতে পারিনি। তারা ছাত্রলীগ করে কিনা, এটাও জানি না। কারা হামলা করেছে আমরা তদন্ত করে বের করে ব্যবস্থা নেবো।"
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মীর মশাররফ হোসেন হলে একজন অসুস্থ বলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে তাদের কাছে কল আসে। কে কল দিয়েছিল, সেটা তারা জানেন না।
মেডিকেল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আনিস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, "একটা ছেলেকে নিয়ে আসা হয়েছে, যার নাম প্রত্যয়। যখন তাকে নিয়ে আসা হয়, তখন সে বার বার বলছিল, "আমাকে জোর করে নিয়ে আসা হয়েছে। আমি আসতে চাইনি। ওরা আমাকে মারধর করে জোর করে নিয়ে এসেছে। পরবর্তীতে তাকে আমরা চিকিৎসা দিতে চাইলে সে নেয়নি।"
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল ডেইলি স্টারকে বলেন, "ছাত্রলীগ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। যদি কোনোভাবে কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
উল্লেখ্য, প্রত্যয় গত ৩১ মে রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনের খেলার মাঠে অনশনে বসেন। তিনি জাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (৪৯তম ব্যাচের) শিক্ষার্থী এবং মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র।
তার দাবিগুলো হলো—বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করা ও হলের মিনি গণরুমে অবস্থান করা বৈধ ছাত্রদের আসন নিশ্চিত করা এবং গণরুম বিলুপ্ত করা।
জেকে/এসিবি (দ্য ডেইলি স্টার)
ঢাকার ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কিছু ভবন
১৬১০ সালে বাংলার রাজধানী ছিল ঢাকা। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের নামে শহরের নাম ছিল জাহাঙ্গীরনগর। বুড়িগঙ্গা নদীতীরে অবস্থিত ৩০৬ বর্গকিলোমিটারের এ শহরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভবন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক ছবিঘরে।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
নির্বাচন ভবন
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পাশাপাশি বিভিন্ন সাংবিধানিক নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তর ১০ তলাবিশিষ্ট ‘নির্বাচন ভবন’টি ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল
বাংলাদেশের প্রথম পাঁচতারা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল শাহবাগের রমনায় অবস্থিত। হোটেলটি চালু হয় ১৯৬৬ সালে। এর স্থপতি ছিলেন উইলিয়াম বি. ট্যাবলার। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনার সাক্ষী এই হোটেল।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
জাতীয় জাদুঘর
শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সে বছরেই শহরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ১৯৮৩ সালের ১৭ নভেম্বরে এটিকে ‘জাতীয় জাদুঘর’-এর মর্যাদা দেয়া হয়। এখানে নৃতত্ত্ব, চারুকলা, ইতিহাস, প্রকৃতি এবং আধুনিক ও প্রাচীন বিশ্ব-সভ্যতা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি বিষয়ে আলাদা ৪৪টি সংগ্রহশালা রয়েছে।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
আবহাওয়া ভবন
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে, নিরাপদ নৌ ও বিমান চলাচল নিশ্চিত করতে এবং আবহাওয়ার আগাম ও নিখুঁত সর্তকবার্তা জানায় এই আবহাওয়া ভবন। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীনে ২১ তলাবিশিষ্ট এই ভবনটি ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
পেট্রো সেন্টার
ঢাকার কারওয়ান বাজারে অবস্থিত পেট্রোবাংলার সদর দপ্তর হচ্ছে ১৫ তলা বিশিষ্ট পেট্রোসেন্টার। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের জাতীয় তেল কোম্পানি। এটি বাংলাদেশে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন, পরিশোধন, ও বাজারজাতকরণের কাজ করে।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
পিজি হাসপাতাল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পিজি হাসপাতাল নামেই বেশি পরিচিত। এটি বাংলাদেশের প্রথম চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার আগে এর নাম ছিল ‘ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ’ যা চিকিৎসা শিক্ষায় স্নাতকোত্তর কোর্সের জন্য ১৯৬৫ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৮ সালে এটিকে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয়।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
কারওয়ান বাজার
ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার। ২০০২ সালের হিসাব অনুযায়ী এই বাজারে ১২৫৫টি দোকান রয়েছে। এই বাজারের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য, এখানে প্রতিটি সবজি এবং ফলের জন্য নির্দিষ্ট আড়ত রয়েছে।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস
বাংলাদেশের নাগরিকদের বিদেশে যাতায়াতে সহায়তা প্রদানে ১৯৬২ সালে একটি পরিদপ্তর হিসেবে জোনাল কার্যালয়, ঢাকা এবং আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের যাত্রা শুরু হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে পূর্ণাঙ্গভাবে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকার আগারগাঁওয়ের শের-ই-বাংলা নগরে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়সহ ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও খুলনা অফিস সমন্বয়ে কার্যালয়ের সংখ্যা হয় ৬টি।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
হাইকোর্ট
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ঢাকায় আপিল, সিভিল ও মূল বিচার বিভাগসহ আলাদা হাইকোর্ট গঠিত হয়। হাইকোর্ট বিভাগ বা উচ্চ আদালত বিভাগ হলো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের নিম্ন বিভাগ। এ বিভাগ প্রধান বিচারপতি ও হাইকোর্ট বিভাগের অন্য বিচারপতিদের নিয়ে গঠিত।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
জাতীয় প্রেস ক্লাব
জাতীয় প্রেস ক্লাব ঢাকার তোপখানা রোডে অবস্থিত। ১৯৫৪ সালের ২০ অক্টোবর ‘পূর্ব পাকিস্তান প্রেস ক্লাব’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেস ক্লাব। পূর্ব পাকিস্তান সরকার সে সময়ে মাসিক ১০০ টাকায ভাড়ায় সাংবাদিকদের এই ক্লাবের প্রধান কার্যালয়টি যাত্রা শুরু করে।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
জাতীয় বেতার ভবন
ষাটের দশকের প্রথম দিকে শাহবাগ সম্প্রচার কেন্দ্রটি রেডিও পাকিস্তানের আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর ১৯৮৩ সাল থেকে শাহবাগ প্রচার ভবনের মূল কার্যক্রম ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে আট একর জমির উপর নির্মিত জাতীয় বেতার ভবন থেকে শুরু হয়।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
সচিবালয়
সচিবালয় বা বাংলাদেশ সচিবালয় বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক সদর দপ্তর। বাংলাদেশ সরকারের সকল নির্বাহী বিভাগীয় কার্য সচিবালয়ে সম্পন্ন হয়। এটি ঢাকার গুলিস্থানের নিকটবর্তী আবদুল গনি রোডে অবস্থিত। ১৯৪৭ সালে নির্মিত একগুচ্ছ ভবন নিয়ে সচিবালয় গঠিত হয়। এটি ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের সচিবালয় ছিল।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
বায়তুল মোকাররম
বায়তুল মোকাররম বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ। মসজিদটি রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পল্টনে অবস্থিত। ১৯৬৮ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। মসজিদটিতে একসঙ্গে ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে, যা ধারণক্ষমতার দিক দিয়ে বিশ্বের দশম বৃহত্তম মসজিদ। মসজিদটির স্থপতি সুবিখ্যাত সিন্ধু স্থপতি আবুল হুসেন মোহাম্মদ থারিয়ানি।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ-ভিত্তিক একটি জাদুঘর। বাংলাদেশের একমাত্র মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরটি ঢাকার আগারগাঁওয়ে সিভিক সেক্টরে অবস্থিত। বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই জাদুঘরের উদ্বোধন হয় ১৯৯৬ সালের ২২ শে মার্চ।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান নির্বাহী তথা সরকার প্রধান, অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি কার্যালয়। ১৯৯০ থেকে দেশের রাজধানী ঢাকা শহরের তেজগাঁওয়ের পুরোনো জাতীয় সংসদ ভবনটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৯৯১ সালের আগে পর্যন্ত এটি রাষ্ট্রপতি সচিবালয় ছিল। ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এটি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
ঢাকা জিপিও
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন ডাক অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় হলো ঢাকা জিপিও বা জেনারেল পোস্ট অফিস। এটি ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থিত। এটিকে স্থানান্তরিত করে আগারগাঁওয়ে নেওয়ার কথা হলেও পরবর্তীতে তা আর করা হয়নি।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ঢাকার মিরপুরের ছয় নম্বর সেক্টরে অবস্থিত। এটি বর্তমানে শুধু ক্রিকেটের মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২৬ হাজার দর্শক আসনের স্টেডিয়ামটি স্থাপিত হয় ২০০৬ সালে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের অন্যতম ভেন্যু ছিল এটি।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
জাতীয় সংসদ ভবন
‘জাতীয় সংসদ ভবন’ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রধান ভবন। এটি ঢাকার শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় অবস্থিত। প্রখ্যাত মার্কিন স্থপতি লুই আই কান এটির মূল স্থপতি। পাকিস্তান সরকার পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য আইনসভার জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণ শুরু হয় ১৯৬১ সালে।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক কর্তৃপক্ষ। এটি বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ, ১৯৭২-এর মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং কার্যতঃ ব্যাংকসমূহের ব্যাংক। দেশের মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা করে। এটি ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থিত।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
বঙ্গভবন
বঙ্গভবন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন ও কার্যালয়। স্থাপনাটি ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত। ভবনটি মূলত ব্রিটিশ ভাইসরয় অফ ইন্ডিয়ার অস্থায়ী বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত স্থাপনাটি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে ১৯৭২ সালের জানুয়ারি ১২ তারিখে গভর্নর হাউসের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গভবন’ করা হয়।
ছবি: Mortuza Rashed/DW
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন বা ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন হচ্ছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশন। এটি মতিঝিলে অবস্থিত। এ স্টেশনটি ২৭ এপ্রিল ১৯৬৮ সালে চালু করা হয়। এর স্থপতি ছিলেন ড্যানিয়েল বার্নহ্যাম এবং বব বুই নামের দুজন মার্কিন নাগরিক। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বাধুনিক রেলওয়ে স্টেশন।