ইডি হেফাজতে অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। ইডি-র দাবি, তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জমির খোঁজ পাওয়া গেছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বিজ্ঞাপন
বোলপুরের রূপপুর এলাকায় বিপুল সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডির দাবি, ওই সম্পত্তি অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির। এর আগে তার নামে ৮২৫ কাঠা জমির হদিস মিলেছিল।
মণীশের কাছ থেকে আরো কিছু নাম উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি সূত্র। বোলপুরের পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ এবং তার স্বামী তথা তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষের নাম উঠে এসেছে। যদিও এই মামলা্য় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন পর্ণা এবং সুদীপ্ত।
গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছেন মণীশ। অনুব্রত মণ্ডলের মতো তাকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লিতে। সোমবার দিল্লির আদালত তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত গ্রেপ্তার
গরুপাচার কাণ্ডে বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বোলপুর থেকে গ্রেপ্তার
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিবিআইয়ের বিশাল দল তার বাড়িতে গিয়ে অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
সিবিআইয়ের কৌশল
বুধবার মাঝরাতে পাঁচটি গাড়ি নিয়ে বোলপুরে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। বৃহস্পতিবার সকালে তার বাড়ি ঘিরে ফেলে সিআরপিএফ জওয়ানরা। দেড়ঘণ্টা বাড়িতে কথা বলার পর অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার
অনুব্রতের বিরুদ্ধে গরুপাচার কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ। আগেই তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতার দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বিতর্কিত নেতা
বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন অনুব্রত। এর আগে পুলিশকে বোমা মারার কথা বলেছিলেন অনুব্রত। ভোটের সময় চড়াম চড়াম ঢাক বাজানোর কথা বলেছেন। গাঁজা কেসে বিরোধীদের গ্রেপ্তার করানোর কথা বলেছেন।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
অনুব্রতের লুকোচুরি
এর আগে ১০ বার অনুব্রতকে তলব করেছিল সিবিআই। একবার মাত্র সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসে গেছেন তিনি। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বার বার জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে গেছেন অনুব্রত।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
অসুখ বিতর্ক
এসএসকেএম হাসপাতালে গত সোমবার চিকিৎসার জন্য গেছিলেন অনুব্রত। সেখানে তাকে দেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, বার্ধক্যজনিত কিছু রোগে ভুগছেন তিনি। তবে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বোলপুরের চিকিৎসকরা তাকে বেডরেস্টের নির্দেশ দেন।
ছবি: Subrata Goswami
আসানসোলের পথে
আসানসোল আদালতে তোলা হতে পারে অনুব্রতকে। তার আগে সিবিআই তাকে আরো জেরা করতে পারে মনে করা হচ্ছে। অনুব্রতকে সরাসরি গরুপাচার মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গেছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
7 ছবি1 | 7
অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর রাতারাতি সম্পত্তি বাড়তে শুরু করে মণীশের। রূপপুরে বিরাট জমি আছে তার নামে। জমিটি কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা। ভিতরে কয়েকটি ঘর বানানো আছে। সেখানে রিসর্ট তৈরির পরিকল্পনা ছিল বলে স্থানীয় মানুষের দাবি। অনুব্রত গ্রেপ্তার হওয়ার পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে পর্ণা এবং সুদীপ্তের কাছে ৬৮০ কাঠা জমি আছে বলে মণীশ ইডি-র কাছে দাবি করেছেন বলে জানা গেছে। ২০১৮-১৯ সালে এই জমি কেনা হয়। ইডি-র দাবি, ওই জমির বাজারমূল্য অন্তত ১৫ কোটি টাকা।
পর্ণা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "আমার স্বামী চাকরি করেন। আমি একটি স্কুলে গানের শিক্ষিকা ছিলাম। এখন পুরসভায় রোজগার করি। আমাদের সমস্ত সম্পত্তি মেলালেও ১৫ কোটি টাকা হবে না।” জমির বিষয়ে মন্তব্য করেননি পর্ণা।
১০ দিনের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত
বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। ভোর রাতে তাকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার সিবিআই দপ্তরে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
১০ দিনের সিবিআই হেফাজত
বৃহস্পতিবার বিকেলে আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। বিচারক তাকে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
গরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তার
অনুব্রত, ওরফে কেষ্টর বিরুদ্ধে গরুপাচার মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ। এবিষয়ে জেরা করার জন্য ১০ বার সিবিআই তাকে ডেকেছিল। অনুব্রত গেছিলেন একবার। সিবিআইয়ের অভিযোগ, অনুব্রত তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তাই তাকে গ্রেপ্তার করতে হচ্ছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
কলকাতার পথে
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসানসোল থেকে কলকাতার পথে রওনা হয় সিবিআই। অনুব্রতকে তোলা হয় সিবিআইয়ের গাড়িতে। গাড়ির ভিতর বসে ভেঙে পড়েন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বাড়িতে সিবিআই
বৃহস্পতিবার ভোরে সিবিআইয়ের বিরাট দল পৌঁছে যায় বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। সেখানে তাকে ঘণ্টাদেড়েক জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে আটক করা হয়।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
আদালতের পথে
নাটকীয় কায়দায় গাড়িতে তুলে তাকে আসানসোলের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। মাঝে দুর্গাপুরের একটি হোটেলে কিছুক্ষণের বিরতি। সেখান থেকে বার হচ্ছেন কেষ্ট।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বাড়ির সামনে ভিড়
অনুব্রত চলে যাওয়ার পরেও তার বাড়ির সামনে জটলা ছিল। স্থানীয় মানুষ দিনভর অপেক্ষা করেছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির বাড়ির সামনে। বাড়ির সামনে ছিল প্রচুর সিআরপিএফের জওয়ান।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
রাস্তায় 'চোর'
আদালত চত্বরে এবং রাস্তায় তাকে উদ্দেশ্য করে সাধারণ মানুষ 'চোর চোর' বলে চেঁচান। অনুব্রত অবশ্য এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনো কথা বলেননি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
7 ছবি1 | 7
ডয়চে ভেলেকে ইডি সূত্র জানিয়েছে, গরুপাচার কাণ্ডের জট ক্রমশ কাটছে। ধৃতদের কাছ থেকে এখনো অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই মামলায় আরো কিছু গ্রেপ্তার হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।