1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানবাধিকার

১০ ডিসেম্বর ২০১২

প্রতি বছর ১০ই ডিসেম্বর পালিত হয় জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস৷ বিশ্বের সব দেশই দিনটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়৷ তবে মানবাধিকার দিবসে উঠে আসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা খবর৷ রয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস না থাকার বিষয়টিও৷

This Nov. 13, 2009 photo shows Iowa State University students Tori Aletheia, of Des Moines, Iowa, left, and Bricelyn Rector, of Sioux City, Iowa, chatting while working the Ask an Atheist booth at a campus community center in Ames, Iowa. (ddp images/AP Photo/Charlie Neibergall)
ছবি: AP

জাতিসংঘের ঘোষিত বিশ্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে মানবাধিকার দিবস৷ এই বছর নাস্তিকদের মানবাধিকার নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হচ্ছে৷ কারণ ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিস্ট অ্যান্ড এথিক্যাল ইউনিয়ন বা আইএইচইইউ-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গোটা বিশ্বের নানা দেশে কেবল ধর্মবিশ্বাস না থাকার কারণে অনেকে অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে৷ ‘চিন্তার স্বাধীনতা ২০১২' নামে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাস্তিকতার কারণে কিংবা ধর্ম বিশ্বাস ত্যাগ করার কারণে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে অন্তত সাতটি দেশে৷ এগুলো হলো আফগানিস্তান, ইরান, মালদ্বীপ, মৌরিতানিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং সুদান৷ এছাড়া, নাস্তিকতার কারণে নানা দেশে অনেকেই বৈষম্য কিংবা সামাজিক নিন্দার শিকার হন৷ যেমন বাংলাদেশ, কুয়েত, মিশর, ইন্দোনেশিয়া এবং জর্ডান৷ এমনকি উদারপন্থী বলে পরিচিত ইউরোপের অনেক দেশে এবং যুক্তরাষ্ট্রে পর্যন্ত নাস্তিকদের হেয় প্রতিপন্ন করা হয় বলে জানানো হয়েছে এই প্রতিবেদনে৷ ধর্ম বিশ্বাস না থাকায় নাস্তিকদের প্রতি এই ভিন্ন আচরণ মানবাধিকারকেই হেয় করা হয়, এমনটি মনে করে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিস্ট অ্যান্ড এথিক্যাল ইউনিয়ন৷

ছবি: Fotolia/NSfotogyrl

মানবাধিকার দিবসে বরাবরই চলে আসে চীনের কথা৷ দেশটির শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মানবাধিকার কর্মী লিউ শিয়াবাও এখনও কারাবন্দি৷ তাঁর বাড়ির কাছে সোমবার একটি সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু চীনা সরকার তাঁর স্ত্রী লিউ শিয়াকে সারাদিন গৃহবন্দি করে রেখেছে৷ এই সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল আরেক ভিন্ন মতাবলম্বী হু জিয়া-র৷ তবে তাঁকেও সোমবার বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি চীনা কর্তৃপক্ষ৷

ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ কমেনি৷ জাতিসংঘের মতে, সেদেশে গত কয়েক মাসে মানবাধিকার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে৷ আন্তর্জাতিক আপত্তি সত্ত্বেও সে দেশে মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে৷ তবে কেবল ইরান নয়, বিশ্বের আরও অনেক দেশেই মৃত্যুদণ্ড বজায় রয়েছে৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই দণ্ডের বিরোধীতা করে আসছে শুরু থেকেই৷

এদিকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মানবাধিকার নিয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে জনতার রোষের শিকার হন সোমবার৷ কথা বলার সময় ক্ষুব্ধ জনতা তাঁর দিকে জুতা আর ব্যাগ ছুড়ে মারে৷

আরআই/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ