অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ নির্ভর করছে "রাষ্ট্র সংস্কারে” কত সময় লাগে তার ওপর। কারণ এই সরকার এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র জনতার ইচ্ছার সরকার। সরকার গঠন করা হয়েছে ডকট্রিন অব নেসেসিটির ওপর ভিত্তি করে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে এই বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়েছে।
৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টারা ৮ আগস্ট শপথ নিয়েছেন।সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের আলোকে এই সরকারের বৈধতা দিয়েছেন। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ব্যাপারে মতামত দেয় সুপ্রিমকোর্ট। সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে বলা বলা আছে,"যদি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হয় যে আইনের এইরূপ কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হইয়াছে বা উত্থাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়াছে, যাহা এমন ধরনের ও এমন জনগুরুত্বসম্পন্ন যে, সেই সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি প্রশ্নটি আপিল বিভাগের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিভাগ স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত শুনানির পর প্রশ্নটি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে স্বীয় মতামত জ্ঞাপন করিতে পারিবেন।''
কিন্তু এই মতামতে সরকারের কোনো সময় সীমা নেই। সময় সীমা নিয়ে এরই মধ্যে উপদেষ্টার প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়না হাসান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন,"মেয়াদের বিষয়ে এখন আলোচনা করা বা সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব না। আপনি কী রিফর্ম চান সেটা না বুঝে তো মেয়াদের কথা বলতে পারবনা। আর যদি রিফর্ম না চান তাহলে আলাদা কথা। মেয়াদ মেয়াদ নিয়ে অস্থির হওয়ার কিছু নাই। আমরা সকলেই যেন একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য যাত্রা শুরু করতে পারি সেটার প্রস্তুতির জন্যইতো এই সরকার। সেই প্রস্তুতি নেয়ার জন্য যেটুকু সময় প্রয়োজন শুধুমাত্র সেটকু সময়ই আমরা নেব। শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রের দিকেই আমাদের যাত্রা।”
'সরকারের বৈধতা বিবেচনা করতে হবে ডকট্রিন অব নেসেসিটির ওপর'
আরেকজন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, "এ (মেয়াদের) বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের যেহেতু গণভুত্থানের ভিত্তিতে গঠিত একটি সরকার এবং অনেকগুলো সংস্কারের কথা আমরা বলেছি- সেগুলো আমাদের করতে হবে।” তিনি আরো বলেন,"সেটা যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি সুন্দর সুশৃঙ্খল ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসার পর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে এই সরকারের মেয়াদ শেষ করব।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, "৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তিন দিন দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। সর্বোচ্চ আদালত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈধতা দিয়েছে। কিন্তু সংবিধানে এই সরকার ব্যবস্থা নেই। আবার সংবিধান স্থগিতও করা হয়নি। তাই আমাদের এই সরকারের বৈধতা বিবেচনা করতে হবে ডকট্রিন অব নেসেসিটির ওপর। আর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে জন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে তা বিবেচনায় নিতে হবে। মানুষের জন্য আইন, আইনের জন্য মানুষ না।”
মেয়াদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন," সুশাসন, আইনের শাসন, রাষ্ট্র ব্যবস্থা সব কিছুই ভেঙে পড়েছে। আর এটা সংস্কারে কাজ তিন বা ছয় মাসের কাজ নয়। নির্বাচন দিতে হলে নির্বাচন কমিশনের যে সংস্কার সেটা করতেও তো সময় লাগবে। আসলে এই সরকারের উদ্দেশ্য শুধু নির্বাচন নয়। এর মূল উদ্দেশ্য রাষ্ট্র সংস্কার। সুতরাং রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য এই সরকারকে গ্রহণযোগ্য সময় দিতে হবে।”
তার কথায়, "রাজনৈতিক দলগুলোও সংস্কার করতে হবে। অন্যথায় ওই সংস্কারের সুফল নাও পাওয়া যেতে পারে।”
আর ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম বলেন," এটাকে কেয়ারটেকার সরকার বলা হচ্ছেনা। সেটা বলা হলে মানুষের মনে তিন মাস মেয়াদের ধারণা হবে। অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ছিলো তিন মাস। কিন্তু এটা অন্তর্বর্তী সরকার। ফররুদ্দিনের সেনা সমর্থিত সরকার ছিলো দুই বছর। আর এই সরকার ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হয়েছে। দেশের মানুষের একটি আকঙ্ক্ষা আছে তাদের কাছে। তাই সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার ওপর এই সরকারের মেয়াদ নির্ভর করছে।”
তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন," এটা হলো রেগুলার সরকারের পরিবর্তে একটি সরকার। এই সরকারকে সংবিধানের আলোকে দেখার দরকার নাই। মনে রাখতে হবে দেশের মানুষের ইচ্ছাই বড় আইন বা সংবিধান। যদি অভ্যুত্থান হতো তাহলে কি সুপ্রিম কোর্ট এই সরকারের পক্ষে অপিনিয়ন দিতো? আসলে দেশের মানুষের ইচ্ছাই বড় কথা।”
'দেশের মানুষের ইচ্ছাই বড় আইন বা সংবিধান'
আর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের(টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন," এই সরকারের মেয়াদ কত হবে সেই আইনগত দিক আমি বলতে পারবনা। তবে এই সরকার করা হয়েছে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে, রাষ্ট্র কাঠামো ঢেলে সাজানোর জন্য। আর রাষ্ট্র কাঠামো ঢেলে সাজানোর যে কর্মপরিধি তা কিন্তু স্বল্প মেয়াদে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।”
তার কথায়, " তবে আমি মনে করি তারা যদি দেশবাসীর কাছে তাদের কাজের একটি রূপরেখা প্রকাশ করেন, সংস্কারের একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। সেখানে যদি একটি টাইম ম্যানেজমেন্ট থাকে তাহলে ভালো হয়।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের একজন হাসিব জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আসলে আমরা সরকার পরিবর্তনের জন্য কাজ করছিনা।আমরা রাষ্ট্র সংস্কার করতে চাই। রাষ্ট্র সংস্কার শেষ হলে তারপর নির্বাচন হবে। সেটা যদি এক বছরে সম্ভব হয় তাহলে তাই হবে। তবে এর জন্য কত সময় লাগবে তা নিয়ে আমরা এখনো আলোচনা শুরু করিনি। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দিয়েছি তাতে তিন থেকে ছয় বছর সময়ের কথা বলেছি। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়তে এরকম সময়ই লাগবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারে কে কোন মন্ত্রণালয় পেলেন
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। দেখে নিন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের দায়িত্ব কারা পেলেন৷
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে ৮ আগস্ট রাতে দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস৷ ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠান করেন৷ ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ২০০৬ সালে ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান৷ তার অধীনে থাকছে ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ৷ এর মধ্যে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সশস্ত্র বিভাগ৷
ছবি: Munis uz Zaman/AFP
আরও যেসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ইউনূস
এছাড়া তিনি প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, খাদ্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, ভূমি, বস্ত্র ও পাট, কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলপথ, জনপ্রশাসন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন, পানি সম্পদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP
ইউনূসের দায়িত্বে থাকা আরও মন্ত্রণালয়
এছাড়া তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, বাণিজ্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP
সালেহউদ্দিন আহমেদ
নতুন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৷ ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে স্নাতোকত্তর৷ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রশাসনে সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান (সিএসপি) ক্যাডারে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে ক্যানাডার হ্যামিল্টন শহরে অবস্থিত ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন৷
ছবি: Privat
ড. আসিফ নজরুল
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক৷ এছাড়া তিনি একজন কথাসাহিত্যিক, রাজনীতি-বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পুরোটা সময়জুড়ে শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন তিনি৷
ছবি: DW
আদিলুর রহমান খান
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকছেন তিনি৷ একজন মানবাধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একজন আইনজীবী এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবেও দায়িত্ব পেয়েছেন৷
ছবি: DW/R. Rafe
এ এফ হাসান আরিফ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি৷ তিনি একজন বাংলাদেশি আইনজীবী, বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি, এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ছবি: Privat
মো. তৌহিদ হোসেন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকছে তাঁর হাতে৷ বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি৷ এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনারও ছিলেন তিনি৷
ছবি: DW
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
তিনি পেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব৷ পরিবেশবিষয়ক সচেতনতা তৈরির স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৭ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক, ২০১২ সালে র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার এবং প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০০৯ সালে ‘পরিবেশের নোবেল’খ্যাত গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল পদক পান তিনি৷ ২০০৯ সালে টাইম সাময়িকী তাকে হিরোজ অব এনভায়রনমেন্ট খেতাবে দেয়৷ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের জন্ম ১৯৬৮ সালে, ঢাকায়।
ছবি: DW
শারমিন মুরশিদ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকছেন তিনি৷ নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে তিনি বাংলাদেশে বেশ পরিচিত৷ এছাড়া তিনি ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা৷
ছবি: privat
এম. সাখাওয়াত হোসেন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি৷ তিনি সাবেক সামরিক কর্মকর্তা৷ নির্বাচন কমিশনার হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন৷ অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি এসআইপিজির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো (এনএসইউ) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন৷
ছবি: DW
ফরিদা আখতার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি৷ একজন উন্নয়নকর্মী হিসাবে কৃষির উন্নয়নে কাজ করেছেন৷ তিনি উবিনীগ (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা) এর নির্বাহী পরিচালক৷
ছবি: DW
বাকি দুই উপদেষ্টা
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমীর আ.ফ.ম খালিদ হাসান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন৷ গ্রামীণ শিক্ষার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর জাহান বেগম পেয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
নাহিদ ইসলাম
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক নাহিদ ইসলাম৷ তাদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনেই পদত্যাগে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (ডানে) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন৷ শুরু থেকেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তিনি৷