1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে নতুন রাজ্য

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৮ অক্টোবর ২০১৩

অন্ধ্রপ্রদেশ ভাগ করা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ভারতে৷ কারফিউ, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ অগ্রাহ্য করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাড়ছে৷ অবস্থাকে আরো ঘোরালো করেছে বিদ্যুৎ কর্মীদের হরতাল৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এ যেন এক শাঁখের করাত৷

তেলেঙ্গানাকে কেন্দ্র করে উত্তাল অন্ধ্রপ্রদেশছবি: NOAH SEELAM/AFP/Getty Images

গত বৃহস্পতিবার মনমোহন সিং মন্ত্রিসভা ভারতের দক্ষিণী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশকে বিভাজিত করে তেলেঙ্গানাকে ভারতের ২৯তম রাজ্য করার সবুজ সংকেত দেবার পরই, তেলেঙ্গানা-বিরোধী আন্দোলন ফের সহিংস চেহারা নেয়৷ কারফিউ, দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশের পরোয়া না করে আন্দোলনকারীরা অখণ্ড অন্ধ্রের উপকূলবর্তি অঞ্চলে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিল, ধর্ণা, সড়ক অবরোধ, অনশন শুরু করে৷ কারফিউ অমান্য করায় গ্রেপ্তার কর হয় ৩৫ জনকে৷ পরিস্থিতিকে আরো শোচনীয় কোরে তুলেছে বিভাজন-বিরোধী বিদ্যুৎ কর্মীদের হরতাল৷ গোটা রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই৷ অনেক ট্রেন বাতিল, পেট্রল পাম্প, এটিএম বন্ধ৷ এমনকি, পার্শ্ববর্তি রাজ্য তামিলনাড়ুতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত৷

তেলেঙ্গানাপন্থিরা নতুন রাজ্যের আশায় সন্তুষ্টছবি: Reuters

অন্ধ্রপ্রদেশকে দু'টুকরো করার পর এক টুকরো হবে তেলেঙ্গানা রাজ্য এবং অপর টুকরো হবে সীমান্ধ্র রাজ্য৷ উভয় রাজ্যের রাজধানি হবে আপাতত হায়দ্রাবাদ৷ বলা বাহুল্য, সব ভূখণ্ড বিভাজনের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে দুঃখ-দুর্দশা, কষ্ট, বাস্তুচ্যুতি ও সমস্যা৷ তাহলে কেন এই বিভাজন? পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের দাবিতে চন্দ্রশেখর রাও-এর নেতৃত্বে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি আন্দোলন শুরু করে বহু বছর ধরে৷ কেন্দ্র গুরুত্ব দেয়নি৷ দীর্ঘদিন টালবাহানা করেছে৷ এর প্রতিবাদে কেন্দ্রে জোট সরকার থেকে বেরিয়ে গেছে টিআরএস৷

কিন্তু এবার, ২০১৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সেই বিভাজন মেনে নিচ্ছে কংগ্রেস৷ এর বিরুদ্ধে দলের মধ্যেও বিভাজন দেখা দিয়েছে কংগ্রেস নেতা-কর্মী এবং রাজ্যের অন্য দলের নেতাদের মধ্যে৷ অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেছেন ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা জগন মোহন রেড্ডি এবং তেলেগু দেশ পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডু৷

সমীক্ষকরা মনে করেন, এটা কংগ্রেসের বৃহত্তর রাজনৈতিক কৌশল৷ আঞ্চলিক নেতাদের কাছে টানা৷ কারণ আঞ্চলিক দলগুলি জাতীয় সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং রাখবে৷ অখণ্ড অন্ধ্রপ্রদেশের ৪২টি লোকসভা এবং ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে তেলেঙ্গানার ভাগে যাবে ১৭টি লোকসভা এবং ১১৯টি বিধানসভা আসন আর সীমান্ধ্রের ভাগে থাকবে ২৫টি লোকসভা এবং ১৭৫টি বিধানসভা আসন৷ তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি সংক্ষেপে টিআরএস যদি কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলায়, তাহলে সংসদে এবং বিধানসভায় কংগ্রেসের পক্ষে ম্যাজিক সংখ্যা পাওয়া কঠিন হবে না বলে মনে করা হচ্ছে৷ অর্থাৎ, লোকসভার ১২-১৪টি আসন এবং বিধানসভার ৬০টি আসন কংগ্রেসের ঝুলিতে থাকতে পারে৷

সীমান্ধ্রে বর্তমানে কংগ্রেস সরকার৷ টিআরএস ছাড়া তেলেঙ্গানা অঞ্চলে কংগ্রেসের জনভিত্তি আলগা৷ টিআরএস প্রধান চন্দ্রশেখর রাও কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কোনো ইঙ্গিত দেননি৷ সেই ফাঁকে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রাথী নরেন্দ্র মোদী চন্দ্রশেখর রাও-এর সমর্থনের আশায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন৷ কিন্তু তেলেঙ্গানা অঞ্চলের প্রায় ১২.৫ শতাংশ ভোটার মুসলিম৷ মোদীকে সমর্থন করার পথে বড় বাধা৷ মোট কথা, আতাঁত যদি হয়, তাহলে হবে নির্বাচন-পরবর্তিকালে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ