অন্ধ্রে গ্যাস লিক, মৃত ১১, অসুস্থ পাঁচ হাজার
৭ মে ২০২০অন্ধ্র প্রদেশের সমুদ্রতীরের শহর বিশাখাপত্তনমে একটি বহুজাতিক সংস্থার রাসায়নিক কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক হয়েছে। এলজি পলিমারস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের কারখানা থেকে গ্যাস লিক হওয়ার পরই আশপাশে থাকা লোকেদের চোখ জ্বলতে থাকে। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের আশঙ্কা। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পাঁচ হাজার মানুষ। ৩০০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গ্রেটার বিশাখাপত্তনম পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই কারখানাটি আরআর ভেঙ্কটপুরম গ্রামে। ঘটনাস্থলে দমকল, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশ রয়েছে। দিল্লি থেকে ন্যাশনাল ডিসাস্টার রেসপন্স ফোর্স বা এনডিআরএফের দলও সেখানে গিয়েছে। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে কারখানার আশপাশের পাঁচ কিলোমিটার এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লকডাউনের কারণে কারখানাটি বন্ধ ছিলো। তা খুলতে গিয়েই বিষাক্ত স্টাইরিন গ্যাস লিক হয়। রাত আড়াইটে নাগাদ গ্যাস লিক শুরু হয়। জানাজানি হয় সাড়ে পাঁচটা নাগাদ।
ভারতে বিষাক্ত গ্যাস লিকের সব চেয়ে বড় ঘটনা ঘটেছিল ভোপালে, ইউনিয়ন কার্বাইডের কারখানা থেকে। সেখানে তিন হাজার ৭৮৭ জন মারা গিয়েছিলেন। আক্রান্ত হয়েছিলেন পাঁচ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ।
অন্ধ্রের গ্যাস লিকের ছবিটাও উদ্বেগজনক। সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দশজন রাস্তায় পড়ে আছেন। এক মহিলা স্কুটারের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন। মা অজ্ঞান, শিশু কোনওরকমে ওঠার চেষ্টা করছে। প্রচুর লোক রাস্তায় নেমে আক্রান্তদের সহায়তা করছেন।
এলজি পলিমারস অবশ্য জানিয়েছে, এখন পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে। আর গ্যাস লিক হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি হাসপাতালে গিয়েছেন। তিনি মৃতের পরিবারদের এক কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
আগে এই সংস্থার নাম ছিলো হিন্দুস্তান পলিমার। ১৯৯৭-এ দক্ষিণ কোরিয়ার এলজি কেম কারখানাটি কিনে নেয়। তার নাম হয়, এলজি পলিমারস ইন্ডিয়া। পুতুল, ঘরোয়া জিনিস থেকে শুরু করে নানা ধরনের সামগ্রী এখানে তৈরি হতো।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)