‘নিরানন্দ নির্বাচন’
৩ জানুয়ারি ২০১৪![Bildergalerie Wahl in Bangladesch](https://static.dw.com/image/17327531_800.webp)
অর্ধেকেরও বেশি আসনে ভোটগ্রহণ হবে না বলে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা বিশ্বের অন্যান্য দেশ ও সংস্থা৷ ফলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷
এদিকে, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এখনো একমত না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশ বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ৷
ব্লগ আর ফেসবুকেও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে মুহামমদ মিনহাজ তাঁর একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন৷ কোনো এক সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হওয়ার পর নির্বাচনের পোস্টার লাগানোরত একদল কর্মীর সঙ্গে আলাপ করেন তিনি৷ ঐ কর্মীদের একজনের কাছে মিনহাজ জানতে চেয়েছিলেন, ‘‘ভাই ভোট যেটা হওয়ার কথা সেটায় তো শুধু আপনারাই প্রার্থী, তো টাকা খরচ করে শুধু শুধু পোস্টারগুলো লাগাচ্ছেন কেনো?'' উত্তরে ঐ কর্মী বলেন, ‘‘...কি আর কমুরে ভাই, ভাবছিলাম সবাই মিলে সুখে শান্তিতে (!) ভোট দিমু তাই পোস্টারগুলা আগেই করা ছিল, কিন্তু তা তো আর হলো না, তাই এখন অপচয় (!) না কইরা লাগাইয়া ফালাইলাম!''
এরপর মিনহাজের দিকে একটু এগিয়ে ঐ কর্মী ফিসফিসিয়ে বলেন, ‘‘আরেকটা ব্যাপার আছে, ওই যে দেখছো পোস্টারে ভোটের তারিখ লিখা আছে! ....পাবলিক যেন ভুইল্লা না যায় যে ৫ তারিখ ভোটের দিন, বিশেষ করে তাই পোস্টারগুলা লাগাইতাছি!''
আরেক ব্লগার জুবাইর মুহাম্মদের প্রশ্ন, নির্বাচনি আমেজ কি কোথাও আছে? তিনি লিখেছেন, ‘‘একটা সময় নির্বাচনের এক থেকে দেড় মাস আগে থেকে বাসায় বাসায় প্রার্থীরা আসতো ভোট চাইতে৷ ঈদ, পূজার মতো এ যেন আরেক উৎসব ছিল বাংলাদেশিদের কাছে৷ সারা বাংলাদেশে ছিল এক সাজ সাজ রব৷ ছোট বড় সকলেই উপভোগ করতো এই নির্বাচন! পাড়ায় পাড়ায় গড়ে উঠতো নির্বাচন প্রচারণার অফিস৷ কিন্তু এ বছর এমন কিছুই দেখা যাচ্ছে না৷ সব আনন্দ যেন ফিকে হয়ে গেছে৷''
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ