সিলেটে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময় জঙ্গি হামলায় পাঁচজন নিহতের ঘটনা এবং সর্বশেষ রাজশাহীতে অভিযানের সময় জঙ্গি হামলায় ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিহতের ঘটনায় এ ধরনের অভিযানের দক্ষতা, পরিকল্পনা এবং গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷
বিজ্ঞাপন
রাজশাহীর গোদাগাড়ির বেণীপুর গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন সান ডেভিল' শেষ হয় শুক্রবার বেলা ১ টার দিকে৷ আর অভিযান শুরু হয় আগের দিন সকাল ৮ টার দিকে৷ অভিযানে এক নারীসহ পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ আর নারী জঙ্গি বেলি আত্মঘাতী হওয়ার আগে কুপিয়ে হত্যা করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মী আব্দুল মতিনকে৷ এই অপারেশন পরিচালনা করেছে রাজশাহীর স্থানীয় পুলিশ৷ আব্দুল মতিনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে অভিযান পরিচালনার অদক্ষতা এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনার না থাকা নিয়ে৷
ছবিতে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে জঙ্গি আস্তানা ঘিরে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ সেনা অভিযানের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে আইএসপিআর৷ ঐ বাড়িটি থেকে ৭৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ ছবিঘরে থাকছে তাদের উদ্ধার অভিযানের কিছু মুহূর্ত৷
ছবি: DW/ISPR
২৩শে মার্চের ঘটনা
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে ‘আতিয়া মহল’ নামের একটি পাঁচ তলা ভবন জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে ফেলে পুলিশ৷ শনিবার সকালে সেখানে শুরু হয় সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’৷
ছবি: Getty Images/AFP
জোড়া বিস্ফোরণ
সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার পরপরই কাছের পাঠানপাড়ায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া যায়৷ বিস্ফোরণের শব্দ শুনে অভিযানস্থল থেকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা সেখানে ছুটে যান৷ এরপর ঘটে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি৷ জোড়া বিস্ফোরণে দুই পুলিশসহ ছয়জন নিহত হয়৷ র্যাবের গোয়েন্দাপ্রধানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন৷
ছবি: Getty Images/AFP
প্যারা কমান্ডোর অভিযান
সবুজ রঙের দেয়াল ঘেরা আতিয়া মহলের দুটি বাড়ি৷ এসব বাড়িতেই জঙ্গি৷ তাদের হাতে জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযানে ব্যস্ত সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা৷
ছবি: DW/ISPR
জঙ্গিদের কাছে অস্ত্রশস্ত্র
বাড়ির ভেতরে থাকা জঙ্গিদের কাছে ‘স্মল আর্মস’, বিস্ফোরক ও আইইডি আছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর৷ ভবনের বিভিন্ন স্থানে তারা আইইডি পেতে রাখায় পুরো বাড়ি বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে৷ এ কারণে অভিযানে সময় লাগছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী৷
শনিবার, অর্থাৎক ২৫শে মার্চ সকালে অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই বাড়িতে আটকেপড়া মানুষদের মধ্যে ৭৮ জনকে সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা উদ্ধার করে আনেন৷ জিম্মিদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, তাতে তারা পুরোপুরি সফল হয়েছেন৷
ছবি: DW/ISPR
নারীদের উদ্ধার
জঙ্গি আস্তানা থেকে এক নারীকে উদ্ধার করে পাশের বাড়ির ছাদ হয়ে বের করে আনছেন সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা৷
ছবি: DW/ISPR
বৃষ্টির মধ্যেই মুক্তি
বৃষ্টির মধ্যেই জঙ্গি আস্তানা থেকে জিম্মিদের উদ্ধার করে আনলেন সেনা কমান্ডোরা৷
শিশু কোলে এক নারীকে জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার করে আনছেন সেনা কমান্ডোরা৷
ছবি: DW/ISPR
যে ছবিটি ভাইরাল
জঙ্গি আস্তানায় আটকে পড়েছিল এই শিশুটি৷ তাকে কোলে করে বের করে আনেন এক সেনা কমান্ডো৷ এই ছবিটি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল৷
ছবি: DW/ISPR
অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ
জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তিদের প্রথমে পাশের একটি বাড়িতে রাখা হয়, বিকালে তারা বেরিয়ে আসেন ওই এলাকা থেকে৷ তাদের চোখে মুখে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগের চিহ্ন৷
ছবি: DW/ISPR
জঙ্গি আস্তানা সেনা নিয়ন্ত্রণে
সোমবার সকাল থেকে থেমে থেমে গুলি ও বিস্ফোরণ চলছিল৷ অভিযানের চতুর্থ দিন শেষে পাঁচ তলা ওই আতিয়া মহলে চারজনের লাশ পাওয়ার কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী। বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ঢুকে পড়ে সাঁজোয়া যান৷ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের ওয়েবসাইটে অভিযানের পাঁচটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে৷
ছবি: DW/ISPR
13 ছবি1 | 13
বেণীপুরের জঙ্গি আস্তানাটি মাটির দেয়াল দেয়া একটি টিনের ঘর৷ প্রত্যন্ত গ্রামে এর অবস্থান৷ স্থানীয় সাংবাদিক দুলাল আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, ‘‘বৃহস্পতিবার অভিযান শুরুর পর জঙ্গিরা বাড়ির ভেতরে অবস্থান করছিল৷ কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যরা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বাড়ির মাটির দেয়ালে পানি দেয়ার কাজে লাগায়৷ তাদের ধারণা ছিল পানিতে মাটির দেয়াল ভিজে ধসে পড়লে ভিতরে জঙ্গিরা কী অবস্থায় আছে তা দেখা যাবে৷ ওই সময় ভেতর থেকে নারী জঙ্গি বেলি ধারালো অস্ত্র নিয়ে মতিনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ অন্য জঙ্গিরাও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বের হয়ে আসে৷ তারা মতিনকে হত্যা করে৷ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটে৷ মতিন নিহত হন এবং পুলিশের চার সদস্য এসময় আহত হন৷''
nisarul - MP3-Stereo
এ প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ফায়ার সার্ভিসের চারজন সদস্য সেখানে ছিলেন৷ তারা ছিলেন নিরস্ত্র৷ তারা পানি দিচ্ছিলেন মাটির দেয়ালে৷ পেছনে পুলিশ ছিল৷ কী অবস্থায় ফায়ারম্যান মতিন নিহত হয়েছেন তা ভিডিও ফুটেজেই স্পষ্ট হয়েছে৷ তাদের প্রটেকশন দেয়া হয়েছে কিনা সেখানেই স্পষ্ট৷ আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি৷ পুলিশ করছে কিনা জানি না৷''
রাজশাহী বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ কারো গাফিলতির কারণে ফায়ারম্যান মতিনের মৃত্যু হয়েছে কিনা তারা তা তদন্ত করবেন৷''
Major Shakil - MP3-Stereo
কাউন্টার টেররিজম অথবা কোনো বিশেষ টিমের সহায়তা ছাড়াই রাজশাহীর স্থানীয় পুলিশ এই অভিযান চালিয়েছিল৷ রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশের অতিরিক্তি ডিআইজি নিশারুল আরিফ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রাজশাহী জেলা পুলিশ এবং রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স এই অভিযান চালিয়েছিল৷ স্থানীয় কাউন্টার টেররিজম-এর একটি বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ছিল ভেস্ট এবং বোমা নিষ্ক্রিয় করার জন্য৷ তারা অভিযানে অংশ নেয়নি, আর রাজশাহী সিআইডি'র সদস্যরা ক্রাইম সিনের দায়িত্বে ছিলেন৷''
তাঁর বর্ণনায় জানা যায়, চারজন ফায়ারম্যান ১৫০ গজ দূর থেকে মাটির দেয়ালে পানি দিচ্ছিলেন৷ তাদের তিন দিকে পুলিশ ছিল৷ তবে এ ধরনের ঘটনা আগে না ঘটনায় তারা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিলেন৷ জঙ্গিরা আস্তানা থেকে বেরিয়ে এসে হামলা চালায় আর মতিন পা পিছলে পড়ে গেলে তাকে কোপাতে থাকে ঐ নারী৷ তিনি জানান, ‘‘ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের হাতে অস্ত্র ছিলো না তবে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়েছিল৷ কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি তাকে রক্ষা করা যায়নি৷''
Dulal - MP3-Stereo
এই ঘটনায় তাই প্রশ্ন উঠেছে বিশেষ বাহিনীর সহায়তা ছাড়া স্থানীয় পুলিশ ফোর্স দিয়ে এককভাবে অভিযান পরিচালনা করা হলো কেন? অভিযানে ওই বাড়ি থেকে ১১টি বোমা, একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, গান পাউডার পাওয়া গেছে৷ এছাড়া পাওয়া গেছে দুইটি সুসাইডাল ভেস্ট৷ প্রশ্ন ওই বোমা এবং বিস্ফোরকের মজুদ সম্পর্কে অভিযানের আগে স্থানীয় পুলিশের কাছে আদৌ কোনো তথ্য ছিল কিনা?
গত বছরের ১লা জুলাই হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর পুলিশের ‘কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম টিম' গঠন করা হয়৷ আর অভিযানের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষিত টিম সোয়াট কাজ করছে৷ এই টিমগুলো হলি আর্টিজান ঘটনার পরজঙ্গিবিরোধী অভিযানে সাফল্য পেয়েছে৷ কিন্তু রাজশাহীর অভিযানে তাদের কাজে লাগানো হয়নি৷ পুলিশের একাধিক সূত্র দাবি করেছে স্থানীয় পুলিশ সফলতার বাহবা পেতে এককভাবে এই অভিযান চালাতে গিয়ে বিপদ ডেকে এনেছে৷
abdur rashid - MP3-Stereo
এর আগে গত মার্চে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকার আতিয়ামহলে অভিযান চলাকালেই পাশের জনবহুল এলাকায় জঙ্গিরা দু'দফা হামলা চালায়, এতে পাঁচজন নিহত হন৷ তাদের মধ্যে র্যাব পুলিশের কর্মকর্তাও ছিলেন৷
রাজশাহীর অভিযান প্রসঙ্গে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ(অব.) ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রাজশাহীতে স্থানীয় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে, যা ঠিক হয়নি৷ জঙ্গিবিরোধী অভিযান সাধারণ অপরাধ দমন অভিযান নয়৷ এই অভিযান চালাতে গেলে বিশেষভাবে দক্ষ হতে হয়৷ অভিযান পরিকল্পনায় অদক্ষতা ও তথ্যের অভাব ছিল, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বিনা প্রটেকশনে অত কাছে পাঠানো হল৷ জেলা পুলিশের এই দক্ষতা থাকার কথা নয়৷'' তাঁর মতে এখন প্রত্যেক জেলাতেই পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ ইউনিট থাকা প্রয়োজন৷ কারণ সব সময় ঢাকা থেকে গিয়ে অভিযান পরিচালনা সম্ভব নয়৷ প্রসঙ্গত পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সারাদেশেই গঠন করার কথা৷ এরইমধ্যে বিভাগীয় শহরে ইউনিট রয়েছে৷
বিভীষিকার ১২ ঘণ্টা
ঢাকার গুলশানের আর্টিজান ক্যাফেতে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার জিম্মি ঘটনার অবসান হলেও মানুষের মন থেকে আতঙ্ক যাচ্ছে না৷ এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই নিহত হয়েছে ২০ জিম্মি৷ নিহত হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তাও৷
ছবি: Getty Images/M. H. Opu
ঘটনার শুরু
প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে একদল অস্ত্রধারী গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালালে অবস্থানরত অজ্ঞাত সংখ্যক অতিথি সেখানে আটকা পড়েন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
দুই পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু
পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে নিহত হন বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম৷
ছবি: Getty Images/M. H. Opu
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য
কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ১৩ জিম্মিকে জীবিত উদ্ধারের পাশাপাশি ছ'জন হামলাকারীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ বলেছেন, বাকি কয়েকজনকে হয়তো বাঁচানো যায়নি৷ এই জঙ্গি হামলায় জড়িত একজন ধরা পড়েছে বলেও শনিবার সকালে এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন তিনি৷
ছবি: Reuters
এ যেন দুঃস্বপ্ন
কমান্ডো অভিযানে মুক্ত গুলশানের ক্যাফে থেকে উদ্ধার পাওয়া ব্যক্তিদের ১২ ঘণ্টার ‘দুঃস্বপ্ন’ কাটছে না৷ তাঁদের চোখে মুখে ক্লান্তি ও ভীতির ছাপ৷ তারা বলছিলেন, কয়েকজনের মৃতদেহ দেখেছেন, অনেক জায়গায় রক্তের ছাপ৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য
তাঁরা বলছেন, জিম্মিকারীরা বাংলাদেশি মুসলমানদের সুরা পড়তে বলে৷ সুরা পড়তে পারার পর তাঁদেরকে রাতে খেতেও দেওয়া হয়৷ যাঁরা হিজাব পরা ছিল, তাঁদের বাড়তি খাতির করা হয়৷
ছবি: picture alliance/ZUMA Press/S. K. Das
আইএস-এর দায় স্বীকার
তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে বলে সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ জানিয়েছে৷ এই জঙ্গি দলের মুখপত্র আমাক নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে এ সব খবরে দাবি করা হয় যে, ‘তাদের’ এই হামলায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৪০ জন৷
ছবি: picture-alliance/abaca
কমান্ডো অভিযান
সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে রাতভর গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রাখার পর যৌথ সেনা, নৌ, পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ কমান্ডো দল গুলশানে অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়৷ ৮ টা ১৫ মিনিটে প্রথম দফায় নারী ও শিশুসহ ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
ভবনের নিয়ন্ত্রণ ও আতঙ্কের অবসান
৮ টা ৫৫ মিনিটে ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেয় অভিযানকারীরা৷ গোয়েন্দা দল ভবনের ভেতর বিস্ফোরকের জন্য তল্লাশি শুরু করে৷ ৯ টা ১৫ মিনিটে ১২ ঘণ্টার রক্তাক্ত জিম্মি সংকটের অবসান হয়৷
ছবি: Getty Images/M. H. Opu
8 ছবি1 | 8
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷