অপহরণ রহস্যের খোঁজ
১৯ এপ্রিল ২০১৪প্রাথমিক তদন্তে অপহরণের সঙ্গে পেশাদার গ্রুপ জড়িত বলে মনে করছে পুলিশ৷
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিক অপহৃত হওয়ার ৩৫ ঘণ্টা পর ফিরে এলেও এর সঙ্গে কারা জড়িত এবং কি কারণে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ কিন্তু পুলিশ যেমন এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে চায়, তেমনি রিজওয়ানাও চান এর রহস্য জানতে৷
তাই নারায়ণগঞ্জ পুলিশের পাশাপাশি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটিও কাজ শুরু করেছে৷ তদন্ত কমিটি শনিবার নারায়ণগঞ্জ এবং অপহরণ স্থল ফতুল্লা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন৷ তদন্ত কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘খুব সুপরিকল্পিতভাবে নিপুণতার সঙ্গে অপহরণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে৷ অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের তালিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘এ ঘটনা সম্পর্কে যত তথ্য পাওয়া যাবে, তা তদন্ত করে দেখা হবে৷ যারা এই অপহরণ করেছে, কী কারণে করছে, সেসব খুঁজে বের করাই তদন্তের উদ্দেশ্য৷''
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, অপহরণ কাজে পেশাদার গ্রুপ কাজ করেছে৷ তাই তাদের চিহ্নিত এবং আটক করা গেলে এর কারণ এবং নেপথ্যে কারা আছে তা জানা যাবে৷''
প্রাথমিকভাবে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আবু বকর যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তা ধরে তদন্তকাজ চলছে৷ তবে আবু বকরের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলবেন তদন্তকারীরা৷ যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, ‘‘নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুঁইগড় এলাকায় আবু বকরের অপহরণের সময় যেসব জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোর অনুসন্ধানেও কাজ চলছে৷ আর সব বিষয়ে আবু বকরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে৷''
আবুবকর জবানবন্দিতে বলেছেন, ‘‘অপহরণকারীরা তাঁর স্ত্রী রিজওয়ানার সঙ্গে প্রভাবশালীদের জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্বের কথা বলেছে৷'' আর রিজওয়ানাও বলেছেন তাঁর পরিবেশ আন্দোলনের কারণে কয়েকটি হাউজিং কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠিত শিল্পগ্রুপ ক্ষুব্ধ৷ অন্যদিকে আবুবকর নারায়ণগঞ্জের হামিদ ফ্যাশান নামে পোশাক কারখানার নির্বাহী পরিচালক৷ কারখানাটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দু'মাস আগে চালু করা হয়৷
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘তাঁরা সব দিকই খতিয়ে দেখছেন৷ অশ্যই অপহরণের কারণ জানা যাবে, অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবেন৷''