1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অপহৃত কিশোরদের খোঁজ

২০ জুন ২০১৪

সপ্তাহখানেক আগে পশ্চিম তীরের এক ইহুদি বসতি থেকে ৩ ইসরায়েলি কিশোর অপহৃত হয়৷ তাদের খোঁজে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী৷ ঘটনার জের ধরে ফাতাহ-হামাস সমর্থিত নতুন জাতীয় ঐক্য সরকারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে৷

Israelische Armee im Westjordanland 18.06.2014
ছবি: Reuters

মধ্যপ্রাচ্যে কোনো অগ্রগতির অর্থ এক পা এগোনো, দু'পা পেছানো৷ ফাতাহ ও হামাসের মধ্যে ঐক্যের মাধ্যমে এক অরাজনৈতিক সরকার গঠন করার ফলে শান্তি প্রক্রিয়ায় গতির আশা করা হচ্ছিল৷ কারণ ইসরায়েল বহুকাল ধরে ফিলিস্তিনি ঐক্যের অভাবকে আলোচনার পথে অন্তরায় হিসেবে তুলে ধরছিল৷ কিন্তু এখন হামাস সমর্থিত কোনো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে না ইসরায়েল৷ আন্তর্জাতিক মহলকেও সেই পথে চলার ডাক দিচ্ছে বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার৷

অপহৃত কিশোরদের খোঁজে পশ্চিম তীরে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীছবি: picture-alliance/dpa

এই রাজনৈতিক জটিলতা কাটার আগেই একটি ঘটনা নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে৷ ৮ দিন আগে এক ইহুদি বসতিতে তিনজন ইসরায়েলি কিশোরের অপহরণের জের ধরে ফাতাহ ও হামাসের সম্পর্কও আবার চাপের মুখে৷ অপহৃত কিশোরদের খোঁজে পশ্চিম তীরে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী৷ শুক্রবার তাদের গুলিতে এক ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছে৷ এ দিন প্রায় ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ বাড়ি-বাড়ি তল্লাশিও চালাচ্ছে সৈন্যরা৷ ইসরায়েলের দাবি, এই অভিযানের সময় সৈন্যদের উপর পাথর ও আগুনের বোমা ছোড়া হয়৷ তখনই সৈন্যরা গুলি চালাতে বাধ্য হয়৷

ইসরায়েলের সূত্র অনুযায়ী প্রায় ২০০ গ্রাম, শহর ও শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়ে মোট ৩৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাদের মধ্যে ২৪০ জন হামাস সদস্য৷ শুধু পশ্চিম তীর নয়, গাজায়ও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী৷

অভিযানে অংশ নেয়া এক ইসায়েলি সেনাছবি: Reuters/Ammar Awad

এমন পরিস্থিতিতে চরম অস্বস্তিতে ভুগছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস৷ তিনি এই অপহরণের নিন্দা করেছেন৷ কিন্তু পালটা পদক্ষেপ হিসেবে ইসরায়েল যেভাবে নির্বিচারে সাধারণ মানুষকে শাস্তি দেবার চেষ্টা করছে, তারও সমালোচনা করেন তিনি৷ হামাস সরাসরি এই অপহরণের দায় স্বীকার করেনি৷ কিন্তু তাদের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি গাজায় বলেন, যেই এই ঘটনার জন্য দায়ী হোক না কেন, নিজেদের মুক্তির স্বার্থে ফিলিস্তিনি জনগণের সব রকম প্রতিরোধের অধিকার রয়েছে৷

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরাসরি হামাসকেই এই অপহরণের জন্য দায়ী করেছেন, যদিও এই দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ পেশ করতে পারেননি তিনি৷ প্রেসিডেন্ট আব্বাসের উদ্দেশ্যে তিনি হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেবার ডাক দিয়েছেন৷ প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেস-ও হামাসের উপর দমন নীতি চালিয়ে যাবার পক্ষে সওয়াল করেছেন৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ