1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্য

অপারেশনের সময় অ্যানাস্থেসিয়া ঠিক কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?

৯ জানুয়ারি ২০১৭

বার্লিন ফ্রি ইউনিভার্সিটির শারিটে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের প্রফেসর ড. ক্রিস্টফ স্টাইনের সঙ্গে অ্যানাস্থেসিয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে কথা বলেন ডয়চে ভেলের ড. কার্স্টেন লেকুটাট৷

Symbolbild Transplantation Operation
ছবি: picture-alliance/dpa

Anesthesia - how risky is it?

07:24

This browser does not support the video element.

ড. স্টাইনকে মুল প্রশ্ন ছিল, অপারেশন চলার সময় অ্যানাস্থেসিয়া – অর্থাৎ ওষুধের মাধ্যমে জ্ঞান এবং অনুভূতিবিলোপ হঠাৎ কেটে গিয়ে পেশেন্টের জেগে ওঠার কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা, পক্ষান্তরে, এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে কিনা৷

ড. স্টাইন প্রথমে ইন্ডাকশন রুম বা যেখানে অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়া হয়, সেই ঘরটিতে নিয়ে গেলেন৷ অপারেশনের আগে পেশেন্টকে স্ট্রেচারে করে এখানে নিয়ে আসা হয় ও একটি ‘‘ইন্ট্রাভেনাস লাইন'' বসানো হয়, যা দিয়ে পেশেন্টের শরীরে নানা ধরনের ওষুধ দেওয়া সম্ভব৷

ওষুধের প্রভাবে পেশেন্ট ঘুমিয়ে পরার পর তার মুখ ও নাকের উপর একটি ‘মাস্ক' বা মুখোশ পরিয়ে দেওয়া হয় ও ‘‘ব্রিদিং সার্কিট'' বা যন্ত্রের সাহায্যে শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া চালু করা হয়৷ পেশেন্ট গাঢ় ঘুমে যাবার পর একটি ল্যারিঞ্জোস্কোপ দিয়ে তার গলার ভেতর দেখা হয় ও ‘‘ট্র্যাকিয়াল টিউব'' বা শ্বাসনালির নলটি বসিয়ে দেওয়া হয়৷

বড়দের হাত বা অন্যত্র শিরায় টিউব বসিয়ে মেডিকেশন বা ওষুধ – যেমন অ্যানাস্থেসিয়া, অর্থাৎ অনুভূতিলোপের ওষুধ দেওয়া চলে৷ একেবারে ছোট শিশুদের শিরা সংকীর্ণ ও নরম বলে তাদের মুখোশের ভেতর দিয়ে অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়াই ভালো – জানালেন ড. ক্রিস্টফ স্টাইন৷ মুখোশ দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ালে ছোটরা দৃশ্যত ঘুমায়ও ভালো৷

Anesthesia - how risky is it?

07:24

This browser does not support the video element.

হঠাৎ ঘুম ভেঙে...

অপারেশনের মাঝখানে পেশেন্টের জেগে ওঠার ঘটনা যে ঘটে না, এমন নয়, তবে খুব কমই ঘটে, বললেন ড. স্টাইন৷ সেক্ষেত্রে পেশেন্ট আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, কেননা তাকে ইতিপূর্বে পেশি শিথিল করার ওষুধ দেওয়া হয়েছে, ফলে সে হাত-পা নাড়তে পারে না৷

তবে প্রধানত দুর্ঘটনার পেশেন্ট বা মহিলাদের সিজারিয়ান হবার সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটে৷ তার একটা কারণ এই যে, গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে সন্তানের উপর তার প্রভাব পড়তে পারে বলে যতদূর সম্ভব কম অ্যানাস্থেটিক্স দেওয়া হয়৷

রিকভারি রুম

সার্জারির পর পেশেন্টকে নিয়ে যাওয়া হয় যে ঘরে তিনি জেগে উঠবেন, সেই ঘরে৷ পেশেন্টের ওপর নজর রাখা হয় কেননা তাকে অপারেশন চলার সময় শ্বাসপ্রশ্বাস ও জ্ঞান দমিয়ে রাখার ওষুধ দেওয়া হয়েছে৷ অপারেশনের সময় যে জোরালো ব্যথার ওষুধ দেওয়া হয় – সাধারণত মর্ফিনের মতো কোনো ওপিয়েট – তার প্রভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস কমে যেতে পারে৷ সেই সঙ্গে বমি বমি ভাব বা বমন হতে পারে৷ তবে ঘণ্টা দুই-তিনেকের মধ্যে ওষুধের প্রভাব পুরোপুরি কেটে যায়৷ অবশ্য বমি ভাব কাটানোর জন্য অন্য ওষুধও দেওয়া যেতে পারে৷ অপারেশনের পর গলা ভেঙে যায় ‘‘এন্ডো-ট্র্যাকিয়াল টিউব''-এর কারণে, বললেন ড. স্টাইন৷ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা ঠিক হয়ে যায়৷

যে সব পেশেন্টদের একবারের বেশি অপারেশন হয়েছে বা হচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রেও অ্যানাস্থেসিয়া স্বয়ং বিপজ্জনক নয়৷ এমনকি প্রত্যেক দুই বা তিনদিন অন্তর অপারেশন করতে হলেও নয়, জানালেন ড. স্টাইন৷

এসি/ডিজি

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ