1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অপ্রত্যাশিত সন্তান

৫ জুন ২০১৩

স্থান – বার্লিনের একটি হাসাপাতাল৷ ঢুকতেই চোখে পড়বে একটি লেখা ‘বেবিক্লাপে’৷ তীর চিহ্ন দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে কোথায় সেই বেবিক্লাপে বা ইস্পাতের তৈরি বাক্স, যেখানে একজন মা তাঁর অপ্রত্যাশিত সন্তান রেখে যেতে পারেন৷

Durch die geöffnete Babyklappe des Helios St. Johannes Klinikums schaut man am 03.01.2013 in Duisburg (Nordrhein-Westfalen) auf das vorbereitete Babybett. In dieser Babyklappe sind seit 2001 neun Babys abgegeben worden. Foto: Roland Weihrauch/dpa (zu dpa-Korr:"Babyklappen werden genutzt, bleiben umstritten" vom 10.01.2013)
ছবি: picture-alliance/dpa

শুরুর দিককার কথা

জার্মানিতে এই বেবিক্লাপে ব্যবস্থার শুরু প্রায় ১৪ বছর আগে৷ উদ্দেশ্য – যেসব মা কোনো কারণে তাঁদের সন্তান পালন করতে চান না, তাঁরা চাইলে জন্মের পরপরই বাচ্চাকে বেবিক্লাপেতে রেখে আসতে পারেন৷ এই বাক্সে নবজাতক রাখার সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ম বেজে ওঠে৷ তখন সেবিকারা দু-তিন মিনিটের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়ে বাচ্চার দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়ে নেয়৷ আর ঐটুকু সময়ের মধ্যে মা-ও বাচ্চাকে রেখে চোখের আড়ালে চলে যেতে পারে৷

জার্মানিতে এমন প্রায় একশোটি বেবিক্লাপে রয়েছেছবি: AP

এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আট সপ্তাহ পর্যন্ত নবজাতকের দেখভাল করে৷ এই সময়ের মধ্যে কোনো মা তাঁর ইচ্ছা পরিবর্তন করে সন্তানকে ফিরিয়ে নিতে না আসলে, দত্তক নিতে আগ্রহী কোনো পরিবারের কাছে বাচ্চাকে দিয়ে দেয়া হয়৷ বার্লিনের ঐ হাসপাতালে এভাবে গত ১৩ বছরে ২০টিরও বেশি শিশু রেখে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷

জার্মানিতে এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর অন্যান্য দেশেও সেটা শুরু হয়েছে৷ তবে ইতিহাস বলছে, মধ্যযুগেও এমন ব্যবস্থা ছিল৷ ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত সেটা বলবৎ ছিল৷

সমালোচনা

জার্মানির চার্চগুলো এই ব্যবস্থা সমর্থন করলেও এর বিরোধী অনেক পক্ষ রয়েছে৷ যেমন ‘টের ডেজম' নামক একটি বেসরকারি সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে বেবিক্লাপের বিরোধী৷ তাদের মতে, এই ব্যবস্থা নবজাতকের মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে পারেনি৷ তাদের দাবি, যেসব মা নবজাতককে পরিহার করার মতো চিন্তা করতে পারেন, তাঁরা যে মানসিক অবস্থায় ঐ চিন্তাটা করতে চান, তখন বেবিক্লাপে খোঁজার মতো অবস্থা তাঁদের থাকে না৷

জাতিসংঘও গত বছর এই ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেছিল যে, এর মাধ্যমে শিশুদের তাদের ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে৷

খসড়া আইনের প্রস্তাব

এসব সমালোচনার প্রেক্ষিতে জার্মান সরকার বেবিক্লাপের পরিবর্তে অন্য আরেকটি ব্যবস্থার প্রস্তাব করে নতুন একটি আইনের খসড়া উপস্থাপন করেছে৷ এর ফলে যেসব মা অপ্রত্যাশিত বাচ্চা লালনপালন করতে চান না, তাঁরা চাইলে তাঁদের পরিচয় গোপন রেখে হাসপাতালেই সন্তান প্রসব করতে পারবেন৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঐ মা-র নাম ১৬ বছর পর্যন্ত গোপন রাখবে৷ এরপর সন্তান চাইলে হাসপাতাল থেকে তার আসল মায়ের পরিচয় জানতে পারবে৷

জার্মানিতে এই বেবিক্লাপে ব্যবস্থার শুরু প্রায় ১৪ বছর আগেছবি: picture-alliance/dpa

বিতর্ক

তবে নতুন এই আইনের খসড়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ পক্ষের লোকজনের বক্তব্য, এর ফলে মায়ের গোপনীয়তাও বজায় থাকবে৷ আর সন্তানও চাইলে তার পরিচয় জানতে পারবে৷ কিন্তু বেবিক্লাপে ব্যবস্থার যাঁরা সমর্থক তাঁদের মতে, কোথা থেকে এসেছে সেটা জানার চেয়ে বাঁচার অধিকারটাই বড়৷

নতুন এই আইন বাস্তবায়নের আগে অবশ্য তা সংসদে পাস হতে হবে৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ