২০১৫ সালের উদ্বাস্তু সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে জার্মানি কোনো অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীকে স্বদেশে ফেরৎ পাঠায়নি৷ তবে এবার, মরক্কোয় সে ধরনের অভিবাসীদের জন্য বিশেষ কেন্দ্র তৈরি করছে জার্মান সরকার৷
বিজ্ঞাপন
রবিবারের ‘ভেল্ট আম সনটাগ' পত্রিকার খবর অনুযায়ী, জার্মান সরকার উত্তর মরক্কোয় দু'টি ‘ইয়ুথ সেন্টার' বা যুব কেন্দ্র তৈরি করছেন, যেখানে স্থানীয় ‘স্ট্রিট চিল্ড্রেন' বা নিরাশ্রয় কিশোর ছাড়া জার্মানি থেকে বহিষ্কৃত অপ্রাপ্তবয়স্ক মরক্কান উদ্বাস্তুদেরও রাখা হবে৷
যে সব অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীদের পরিবারবর্গকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, এই ‘পাইলট প্রোজেক্ট'-এর ফলে তাদের বৈধভাবে স্বদেশে ফেরৎ পাঠানো যাবে৷ সাম্প্রতিক কয়েক বছরে জার্মানি কোনো অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্কদের বহিষ্কার করেনি৷
তথাকথিত ‘শেল্টার'-গুলির কাজ কী হবে?
‘ভেল্ট আম সনটাগ' পত্রিকাকে জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে খবর দিয়েছে, সে অনুযায়ী প্রকল্পের রূপরেখা এই রকম:
- মরক্কোয় যে দু'টি আশ্রয় নির্মাণ করা হচ্ছে, তার প্রত্যেকটিতে ১০০ জন করে কিশোর থাকতে পারবে;
- অপ্রাপ্তবয়স্করা সামাজিক সাহায্য, কাউন্সেলিং ও পড়াশুনার সুযোগ পাবে;
জার্মানি থেকে আফগানিস্তানে বিতাড়ন
২০১৬ সালের মাঝমাঝি সময়ে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হওয়া ৩৪ আফগান শরণার্থীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল৷ সেটা শুরু৷ এরপর মাঝখানে কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবারো বিমানে করে ফেরত পাঠানো হচ্ছে তাঁদের৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Balk
বিমানে করে ফেরত পাঠানো
গত ১২ সেপ্টেম্বর ১৫ জন শরণার্থীকে ডুসেলডর্ফ বিমানবন্দর থেকে আফগানিস্তানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা বিমানে তুলে দেয়া হয়৷ প্রত্যেকের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হয়ে গেছে৷ গত মে মাসে কাবুলে জার্মান দূতাবাসের সামনে প্রাণঘাতি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের পর আফগান শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল৷ এখন আবার শুরু হয়েছে৷ জার্মানির সবুজ দল এবং বামদল এর সমালোচনা করেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Roessler
একটা সুযোগের আশায় লড়াই
গত মার্চে কটবুসের একদল শিক্ষার্থী গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়৷ তিন আফগান সহপাঠীকে যাতে ফেরত পাঠানো না হয়, সেজন্য প্রচারণা চালিয়েছিল তারা৷ এজন্য তারা বিক্ষোভ করে, স্বাক্ষর সংগ্রহ করে৷ এমনকি আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হওয়া সেই তিন আফগান শিক্ষার্থীর পক্ষে লড়তে একজন আইনজীবী নিয়োগের অর্থও সংগ্রহ করা হয়৷ যে তিন শিক্ষার্থীর জন্য এত আয়োজন, তাদের একজনকে দেখা যাচ্ছে ওপরের ছবিতে৷
ছবি: DW/S.Petersmann
‘কাবুল নিরাপদ নয়’
‘প্রাণঘাতি বিপদের দিকে যাত্রা’, গত ফেব্রুয়ারি মাসে মিউনিখ বিমানবন্দরে প্রতিবাদস্বরুপ দেখানো এক পোস্টারে একথা লেখা ছিল৷ যেসব বিমানবন্দর থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানো হয়, সেসব বিমানবন্দরে মাঝেমাঝেই হাজির হন এমন প্রতিবাদকারীরা৷ গত ডিসেম্বর থেকে মে মাস অবধি অনেক আফগান শরণার্থীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ চলতি বছর এখন অবধি আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছে ২৬১ জনকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Balk
ভ্যুর্ৎসবুর্গ থেকে কাবুল
মধ্য ত্রিরিশে পা দেয়া বাদাম হায়দারিকে সাত বছর জার্মানিতে কাটানোর পর গত জানুয়ারিতে দেশে ফেরত যেতে বাধ্য করা হয়৷ তিনি অতীতে ইউএসএইডে কাজ করেছেন এবং তালেবানের কাছ থেকে বাঁচতে জার্মানিতে এসেছিলেন৷ তালেবানের ভয় এখনো তাড়া করছে হায়দারিকে৷ তিনি আশা করছেন, শীঘ্রই হয়ত আবারো জার্মানিতে ফিরতে পারবেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C.F. Röhrs
নিগৃহীত সংখ্যালঘু
গত জানুয়ারি মাসে আফগান হিন্দু সমীর নারাংকে কাবুলে ফেরত পাঠানো হয়৷ ফেরত পাঠানোর আগ অবধি তিনি জার্মানির হামবুর্গে পরিবরাসহ ছিলেন৷ জার্মান পাবলিক রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আফগানিস্তান নিরাপদ নয়৷’’ যেসব সংখ্যালঘু রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হওয়ায় আফগানিস্তানে ফেরত যাচ্ছেন, তারা মুসলিমপ্রধান দেশটিতে সংখ্যালঘু হওয়ায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Wiedl
অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফিরে যাওয়া
পকেটে মাত্র বিশ ইউরো নিয়ে জার্মানি থেকে আফগানিস্তানে ফেরত যান রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে ব্যর্থরা৷ তাঁরা চাইলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংগঠন আইওএম’এর সহায়তা নিতে পারেন৷ তাছাড়া সে দেশে জার্মান অর্থায়নে তাদের মানসিক চিকিৎসারও ব্যবস্থা রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dap/M. Jawad
6 ছবি1 | 6
- মরক্কো সরকার, স্থানীয় কর্মকর্তা ও এনজিও-দের সঙ্গে সহযোগিতায় এই কেন্দ্রগুলি তৈরি করা হচ্ছে৷
পরিবারবর্গের কাছে প্রত্যাবর্তন আরো ভালো
জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতি অনুযায়ী শেল্টারগুলি ‘‘১৮ বছরের কম বয়সি স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনকারী ছাড়া বহিষ্কৃতদের জন্যও খোলা থাকবে, বিশেষ করে যে সব যুবা অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছে৷''
খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী (সিডিইউ) রাজনীতিক ও জার্মান সংসদের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক পরিষদের সাবেক প্রধান আন্সগার হেফেলিং ‘ভেল্ট আম সনটাগ' পত্রিকাকে বলেন যে, প্রকল্পটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও, ‘‘স্বদেশে পরিবারবর্গের সঙ্গে পুনর্মিলনের ব্যবস্থা করতে পারলে তা আরো যুক্তিযুক্ত হতো৷''
‘‘সম্প্রতি কয়েক বছরে যে একজনও অভিভাবকহীন অভিবাসীকে স্বদেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি, তা থেকে বোঝা যায় যে, কর্তৃপক্ষকে তাদের পরিবারবর্গের সন্ধান করার জন্য আরো বেশি সক্রিয় হতে হবে,'' হেফেলিং যোগ করেন৷
জার্মানিতে অভিবাসী ইয়ুথ সেন্টারের কাউন্সেলররা ‘ভেল্ট' পত্রিকাকে বলেন যে, অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীরা নিয়মিত টেলিফোনে তাদের মায়েদের সঙ্গে কথা বলে থাকে – কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট যুবা-কিশোরদের পরিবারবর্গের পরিচয় বা ঠিকানা বার করার কোনো চেষ্টা কাউন্সেলররা দেখেননি৷
অপ্রাপ্তবয়স্কদের বহিষ্কারের আইনগত শর্তাবলী
যে সব অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্কদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তাদের বহিষ্কার করার বিভিন্ন কড়া আইনগত শর্ত আছে৷ বহিষ্কারের আগে জার্মান কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে যে, স্বদেশে...
- পরিবারের কোনো সদস্য বা দায়িত্বপ্রাপ্ত অভিভাবক অপ্রাপ্তবয়স্কটিতে স্বগৃহে আশ্রয় দেবেন;
- সেখানে কোনো ‘‘উপযুক্ত'' অভ্যর্থনা কেন্দ্র আছে৷
জীবন বাজি রেখে ইউরোপের পথে
অভিবাসনের আশায় বিভিন্ন দেশ থেকে অনেকেই ইউরোপে আসছেন৷ ইটালির ‘পাসো ডেলা মর্তে’ হয়ে ইউরোপের আরো উত্তরের দেশগুলোতে আসতে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন অনেকে৷ ফটোসাংবাদিক ফেডেরিকো স্কপা ছিলেন তেমন শরণার্থীদের সঙ্গে....
ছবি: DW/F.Scoppa
গহীন জঙ্গল, দুর্গম পথ
জঙ্গলের ভেতর দিয়ে সভয়ে এগিয়ে চলেছে আফগান কিশোরদের একটি দল৷ সব সময় ভয় – পুলিশ যদি দেখে ফেলে! এই ভয় নিয়ে, দুর্গম পাহাড়ি পথ ধরেই পেরোতে হবে ‘ডেথ পাস টু ফ্রান্স’৷ যাত্রা শেষ হতে এখনো ১২ কিলোমিটার বাকি৷
ছবি: DW/F.Scoppa
পদে পদে বিপদ
ইটালির ভেনটিমিগলিয়া শহর আর ফ্রান্সের মেতোঁর মাঝখান দিয়ে এক সময় হাইওয়ের টানেলের ভেতর দিয়ে, কখনো রেলপথ ধরে, কখনো বা গিরিপথ ধরে হেঁটে হেঁটে এগিয়ে যেতে হয়৷ যে কোনো মু্হূর্তেই ঘটে যেতে পারে সমূহ বিপদ৷
ছবি: DW/F.Scoppa
তীব্র গতি, দৃষ্টি ক্ষীণ
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের্ অনেকেই প্রাণ হাতে নিয়ে এই হাইওয়ে টানেল ধরে ধরে হেঁটে পৌঁছাতে চান ফ্রান্স৷ জীবনের ঝুঁকি তাদের প্রায় প্রতি পদক্ষেপে৷
ছবি: DW/F.Scoppa
প্রকৃতির আশ্রয়ে, প্রকৃতির ভরসায়
কীভাবে যেতে হবে তা না জেনে, সঙ্গে কোনো খাবার না নিয়েও ‘ডেথ পাস’ দিয়ে যাত্রা শুরু করেন অনেকে৷ প্রকৃতির উদারতাই তাদের একমাত্র ভরসা৷
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভারতীয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুখতে ফরাসি সরকার তৈরি করেছিল এই প্রাচীর৷ শান্তির পতাকাও ওড়ানো হয় তখন৷ ইটালি ও ফ্রান্স সীমান্তের এই এলাকটি অভিবাসন প্রত্যাশীদের খুব পরিচিত রুট৷
ছবি: DW/F.Scoppa
ওই দেখা যায়..
৩০০ মিটার দূরেই ‘ডেথ পাস’-এর শীর্ষ বিন্দু৷ সেদিকেই তাকিয়ে আছে সদ্য কৈশোর উত্তীর্ন তিন অভিবাসন প্রত্যাশী৷ এখানে অনেকেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে৷ পুলিশ ধরলেই ফিরিয়ে দেয় ইটালিতে৷
ছবি: DW/F.Scoppa
7 ছবি1 | 7
অপরদিকে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে শত শত অপ্রাপ্তবয়স্ককে জার্মানির সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে অথবা তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে৷
অতীতে কতোজন অপ্রাপ্তবয়স্ককে জার্মানি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে?
সংসদে সবুজ ও বামদলের তরফ থেকে একাধিক প্রশ্নের জবাবে জার্মান সরকার যে তথ্য দিয়েছেন, তা হলো:
- ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে চারজন অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ককে ইউরোপের অপরাপর দেশে বহিষ্কার করা হয়েছে;
- ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে কোনো অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ককে জার্মানি থেকে বহিষ্কার করা হয়নি৷
গত মার্চ মাসে জার্মান সরকার মরক্কোয় যুব কেন্দ্রগুলি নির্মাণের অভিপ্রায় ঘোষণা করেন৷ পরিসংখ্যান অনুযায়ী সে সময়ে জার্মানিতে অবস্থানকারী অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক উদ্বাস্তুদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৮,০০০৷
২০১৫ সালে উদ্বাস্তুদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও তাঁর সরকার ক্রমেই আরো বেশি চাপের মুখে পড়েছেন যে, অভিবাসীদের স্রোত কমানোর জন্য সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ৷ অপরদিকে উদ্বাস্তুদের আগমন নিঃসন্দেহভাবে কমেছে: ২০১৫ সালে প্রায় ৯ লাখ উদ্বাস্তু জার্মানিতে আসেন; চলতি বছরে তা দু'লাখের কম হবে, বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে৷
রেবেকা স্টাউডেনমায়ার/এসি
বার্লিনের উদ্বাস্তু শিশুরা
বার্লিনের আলোকচিত্রশিল্পী ডানিয়েল জনেনব্যার্গ মিডিয়াতে উদ্বাস্তুদের দেখানোর ধরনটা বদলাতে চেয়েছিলেন৷ এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে ‘দে হ্যাভ নেমস’ বা ‘ওদেরও নাম আছে’ পর্যায়ের ছবিগুলি৷
ছবি: Daniel Sonnentag
ছবির পিছনে থাকে মানুষ
শাহেদ বাস করে বার্লিনের ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস সেন্টারে, যা এখন উদ্বাস্তু আবাসন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ সেখানেই ডানিয়েল জনেনব্যার্গ উদ্বাস্তু শিশুদের ছবিগুলি তুলেছেন৷ ‘উদ্বাস্তু কথাটার পিছনে যে সব মানুষ আছে,তাদের আমি দেখাতে চেয়েছিলাম,’ বলেছেন জনেনব্যার্গ৷
ছবি: Daniel Sonnentag
স্মৃতির বোঝা
আট বছর বয়সের এলহাম সিরীয় কুর্দি৷ জনেনব্যার্গ লক্ষ্য করেন, মেয়েটির চোখে যেন সবসময় কিছুটা বিষাদ জড়িয়ে থাকে, যদিও অন্য সময়ে সে বাকি শিশুদের মতোই হাসে, খেলে৷ কিন্তু তার হাসিতেও যেন কোথায় কান্না মিশিয়ে থাকে, যা জনেনব্যার্গকে নাড়া দেয়৷
ছবি: Daniel Sonnentag
সে জানেও না
চার বছরের আলি এসেছে ইরাক থেকে৷ তার পরিবারের লোকজনদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন সম্প্রতি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে৷ চেষ্টা চলেছে, উকিলকে দিয়ে আদালতে আপিল করে যদি কিছু করা যায়৷ বার্লিনের আইসিসি উদ্বাস্তু শিবিরে বহু মানুষ তাদের আইনগত পরিস্থিতি সম্পর্কে সরকারি সিদ্ধান্তের জন্য বছর খানেক ধরে অপেক্ষা করছেন৷
ছবি: Daniel Sonnentag
ক্লাউন সাজা
আট বছরের জয়নাব আর ছয় বছরের রুকাইয়া এসেছে ইরাক থেকে৷ জনেনব্যার্গের মতে বার্লিনে উদ্বাস্তু পরিস্থিতি সামাল দেবার কাজে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা চলেছে৷ ত্রাণ সংগঠনগুলি তারই মধ্যে যেটুকু করা সম্ভব করছে৷
ছবি: Daniel Sonnentag
ভাষা শেখা
ছবিতে জনেনব্যার্গের কাঁধে জয়নাব৷ জয়নাব নাকি তার বয়সের তুলনায় খুবই চালাক-চতুর, কথা বলতে পারে, বোঝে-শোনে - বলেন জনেনব্যার্গ৷ রিফিউজি ক্যাম্পের অন্য ছেলেমেয়েদের মতো জয়নাবও খুব তাড়াতাড়ি জার্মান ভাষা শিখে ফেলেছে, বড়রা যা পারে না৷
ছবি: Daniel Sonnentag
অমিলের চেয়ে মিল বেশি
ছয় বছরের আলমা ও তার বাবা আহমেদ৷ ‘‘আমরা সকলেই খাই-দাই, ঘুমোই, শান্তিতে, নিরাপদে ছেলেমেয়েদের মানুষ করতে চাই,’ বলেন জনেনব্যার্গ৷ ‘‘মানুষ মানুষের সঙ্গে কথা বললেই বুঝতে পারবে যে, আমাদের মধ্যে অমিলের চেয়ে মিলই বেশি৷’’
ছবি: Daniel Sonnentag
খবরের কাগজের প্রথম পাতায় যে ছবি থাকে না
সাত বছর বয়সের জারা এসেছে ইরাক থেকে৷ হাসিখুশি, ভাবুক, মিষ্টি একটি মেয়ে৷
ছবি: Daniel Sonnentag
সপরিবারে জার্মানিতে
ছয় বছরের আয়া ও তার সাত বছরের ভাই হামজা জার্মানিতে আছে তাদের ছোটবোন আলমা আর ছয় মাসের ভাই রাইয়ানকে নিয়ে৷ বাবা-মা’ও সাথে আছেন৷ ভালোবাসায় ভরা এই পরিবারে মানুষ হয়ে কোমল মনোবৃত্তির শিশু হামজা সৎ ও সবল হয়ে বেড়ে উঠবে বলে জনেনব্যার্গের ধারণা৷
ছবি: Daniel Sonnentag
ছিল কনফারেন্স সেন্টার, হলো রিফিউজি ক্যাম্প
ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস সেন্টার বা আইসিসি ছিল বিশ্বের বৃহত্তম কনফারেন্স সেন্টারগুলির মধ্যে একটি৷ ২০১৪ সালে অ্যাজবেস্টস দূষণের কারণে কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয় ও ২০১৬ সালে উদ্বাস্তুদের সাময়িক আবাসন হিসেবে আবার খোলা হয়৷ আজ সেখানে সিরিয়া, ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, ইরিত্রিয়া ও বলকান দেশগুলি থেকে আসা প্রায় ৬০০ মানুষ থাকেন৷