জার্মানিতে উদ্বাস্তুদের বয়স নির্ধারণের জন্য সাধারণত যুবকল্যাণ কর্মকর্তাদের মতের উপর নির্ভর করা হয়ে থাকে৷ এক জার্মান আদালত শীঘ্রই কর্তৃপক্ষকে বাধ্যতামূলক মেডিকেল টেস্টের নির্দেশ দিতে পারেন৷
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার জার্মানির ফেডারাল প্রশাসনিক আদালত সিদ্ধান্ত নেবে, তরুণ উদ্বাস্তুদের বয়স নির্ধারণের জন্য নিয়মিতভাবে মেডিকেল টেস্ট ব্যবহার করা হবে কিনা৷ এক আফগান উদ্বাস্তু শুধু চোখের দেখায় তাঁকে প্রাপ্তবয়স্ক বলে নির্ধারণ করার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন৷
ফেডারাল আইন অনুযায়ী, জার্মানিতে আগত অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক উদ্বাস্তুদের দেখাশোনা করে স্থানীয় যুবকল্যাণ অধিকার৷ যুবকল্যাণ কার্যালয়গুলি সংশ্লিষ্ট উদ্বাস্তুর বয়স নির্ধারণ ও নিশ্চিত করার জন্য দু'জন বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ করে, যারা চোখে দেখে উদ্বাস্তুদের বয়স আন্দাজ করার চেষ্টা করেন৷ বয়স নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে যুবকল্যাণ কার্যালয় মেডিকেল টেস্ট করার নির্দেশ দিতে পারে৷
মামলায় যে প্রশ্নটি তোলা হয়েছে, সেটি হলো: তথাকথিত ‘‘চাক্ষুষ পরীক্ষা''একমাত্র সেই সব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিনা, যাদের দেখে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, তারা প্রাপ্ত- কিংবা অপ্রাপ্তবয়স্ক৷ অন্যভাবে বলতে গেলে, যুবকল্যাণ দপ্তরের কর্মী আর উদ্বাস্তুরা যদি বয়স সম্পর্কে একমত হতে পারেন, একমাত্র সেক্ষেত্রেই মেডিকেল টেস্ট ব্যবহার করা হবে না৷ অন্য সব ক্ষেত্রে ফেডারাল সরকারের অনুমোদিত একটি মেডিকেল টেস্ট করা হবে৷
জার্মানিতে আসার আগে আপনার যা জানা প্রয়োজন
জার্মানিতে শরণার্থী হিসেবে আসার সময় বেশ কিছু বিষয় আপনার মাথায় রাখতে হবে৷ এখানে সবকিছু যত সহজ মনে হয়, আসলে তত নয়৷ এখানে সেরকম দশটি বিষয় উল্লেখ করা হলো৷
ছবি: picture alliance
কাজের অনুমতি ছাড়া কাজ নয়
মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় এটা বৈধ হলেও জার্মানিতে কাজের অনুমতি ছাড়া কাজ করা আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ৷ কেউ যদি অবৈধভাবে কাজ করা অবস্থায় ধরা পড়ে, তাহলে তার জরিমানা, এমনকি জেলও হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/ZB
কর অবশ্যই প্রদান করতে হবে
জার্মানিতে কর প্রদানের নিয়মকানুন বেশ জটিল৷ তাসত্ত্বেও কর প্রদান না করা এখানে অবৈধ৷ আইন অনুযায়ী, এটা সমাজের বিপরীতে এক ধরনের চুরি৷ কর প্রদান এক ধরনের দায়িত্ব, যেমনটা ট্যাক্স প্রদান৷
ছবি: Fotolia/Joachim B. Albers
শিশুদের প্রতি জোর খাটানো যাবে না
শিশুদের আঘাত করা জার্মানিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ বাড়ি কিংবা স্কুল কোথাও শারীরিক শাস্তি গ্রহণযোগ্য নয়৷
ছবি: DW/R. Azizi
শিশুদের অবশ্যই স্কুলে যেতে হবে
স্কুল বয়সি শিশুরা শুধু বাসায় বসে থাকতে পারবে না, পারবে না কাজে যেতে৷ তাদের যেতে হবে স্কুলে৷ শিশুর বয়স ছয় বছর হলে তাকে অবশ্যই কোনো না কোনো স্কুলে নিবন্ধিত হতে হবে এবং নিয়মিত ক্লাসে যেতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Pedersen
বেশি শব্দ করা যাবে না!
এমনকি নিজের ঘরের মধ্যেও বেশি শব্দ করা যাবে না, যা আপনার প্রতিবেশীদের বিরক্ত করতে পারে৷ বিশেষ করে রাতের বেলা জার্মানিতে এদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
সুপারমার্কেটে দরকষার সুযোগ নেই
বাজারে দরকষাকষি বিশ্বের অনেক দেশেই গ্রহণযোগ্য এবং মানুষ তা উপভোগও করে৷ তবে জার্মানিতে সুপারমার্কেট কিংবা অধিকাংশ দোকানপাটে দরদামের সুযোগ নেই৷ দরাদরি করতে চাইলে অনলাইনে চেষ্টা করতে পারেন৷
ছবি: Fotolia/G. Sanders
পশুপ্রাণিকে খেতে দেবেন না!
জার্মানিতে অধিকাংশ প্রাণির মালিক রয়েছে কিংবা তারা বিশেষ আইনের আওতায় পরিচালিত৷ তাই প্রতিবেশির বেড়ালকে তাঁর অনুমিত ছাড়া খাওয়ানো খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না৷ আর বেড়ালটা যদি মালিকের চেয়ে আপনার প্রতি বেশি অনুগত হয়ে যায় তাহলে মালিক আপনার বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকতে পারে!
ছবি: imago/blickwinkel
সময়নিষ্ঠা – জার্মানিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
কোনো অ্যাপয়েনমেন্ট থাকলে সেখানে সময়মত যাওয়া এবং সর্বোপরি সময়ের প্রতি সচেতনতা জার্মানিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ দেরি করে কোথাও যাওয়া ঠিক নয়৷ আর যদি একান্ত দেরি হয় তাহলে যার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা তাঁকে তা জানানোই নিয়ম৷
ছবি: picture alliance
নিজের দূরত্ব বজায় রাখুন
অনেক সংস্কৃতিতে অন্যের বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরা, চুমু দেয়া কিংবা উপহার দেয়া স্বাভাবিক ব্যাপার৷ তবে জার্মানিতে বিষয়টি তেমন নয়৷ বাচ্চার অভিভাবকের উপর এটা নির্ভর করে৷ তাই শিশুটা যদি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণও করে তবুও নিজের দূরত্ব বজায় রেখে তার সঙ্গে কথা বলুন৷
ছবি: picture alliance/Bildagentur-online
রাস্তায় গাড়ি পরিষ্কার নয়
অবশ্যই বাড়ির কাছে গাড়ি পরিষ্কার করাটা সাশ্রয়ী৷ তবে জার্মানিতে এটা নিষিদ্ধ৷ কারণ এতে পরিবেশের ক্ষতি হয়৷ তাই গাড়ি পরিষ্কার করতে চাইলে সেটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যান৷ কিছু জায়গায় নিজ হাতে পরিষ্কারের সুযোগ আছে, কোথাও আছে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা৷ তাই পছন্দ আপনার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Wolfraum
10 ছবি1 | 10
ফ্রাইবুর্গে এক ১৯ বছর বয়সের মেডিকেল ছাত্রী ও কান্ডেল গ্রামে এক ১৫ বছর বয়সের কিশোরীর হত্যাকাণ্ডের পর জার্মানিতে উদ্বাস্তুদের সঠিক বয়স একটি বিপুল বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ উভয় ক্ষেত্রেই হত্যাকারী উদ্বাস্তুকে অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে বিবেচনা করা হয় – যার কিছু কিছু আইনগত ও অন্যান্য সুবিধা আছে৷ অপ্রাপ্তবয়স্ক উদ্বাস্তুদের সাধারণ উদ্বাস্তু আবাসে না রেখে, যুব নিবাসে রাখা হয়; তারা শিক্ষা ও মানসিক চিকিৎসার বিশেষ সুযোগ পায়; তাদের পরিবারবর্গের জার্মানিতে আসা সহজ হয় এবং তাদের বহিষ্কার করা হয় না৷
মেডিকেল টেস্টের সমস্যা
মেডিকেল টেস্টও কিন্তু গাছের গুঁড়িতে কাঠের উপর বৃত্তাকার দাগগুলিকে গুনে গাছের বয়স নির্ধরাণ করার মতো সহজ-সরল নয়৷ অপরদিকে এ-ও সত্য যে, সংশ্লিষ্ট সুযোগসুবিধার আঁচ পেয়ে ইতিমধ্যে বহু তরুণ উদ্বাস্তু নিজেদের অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে পাচার করার চেষ্টা করছেন৷ বলতে কি, উদ্বাস্তুদের বয়স নির্ধারণের ব্যাপারে এ যাবৎ খুবই গা ঢালা দিয়ে চলা হয়েছে, বলে একাধিক সরকারি কর্মকর্তার অভিমত৷
গত জানুয়ারি মাসে জার্মানির দক্ষিণপন্থি পপুলিস্ট রাজনৈতিক দল এএফডি সংসদে প্রস্তাব আনে যে, উদ্বাস্তুরা বয়স ভাঁড়ালে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া উচিত৷ এছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বয়স সম্পর্কে সরকারি নথিপত্র পেশ না করতে পারলে, বাধ্যতামূলক মেডিকেল টেস্টের দাবি জানায় এএফডি৷
বয়স নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে চেহারা, শারীরিক বিকাশ, দাড়ি-গোঁফ ইত্যাদি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় – তবে যৌনাঙ্গ পরিদর্শন করা হয় না৷ এছাড়া দাঁত, হাড়গোড়, হাতের কবজি ও শ্রোণির এক্স-রে করে বয়স নির্ধারণ করা যেতে পারে৷ তা সত্ত্বেও মেডিকেল টেস্টে বয়স নির্ধারণে দু' থেকে তিন বছরের ভুল হতে পারে৷ অপরদিকে চিকিৎসার প্রয়োজনে ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে এক্স-রে করা নিয়ে নৈতিক প্রশ্ন উঠতে পারে৷ সবচেয়ে বড় কথা, বয়স নির্ধারণ নিয়ে ক্রমেই আরো বেশি প্রযুক্তি সৃষ্টি হচ্ছে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হ্যান্ড স্ক্যানার ও জিন টেস্টের উদ্ভাবন করা হয়েছে, কিন্তু সে দু'টি সর্বাধুনিক পরীক্ষাও নাকি কোনো ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর বা তার কম কিনা, তা নির্ভুলভাবে প্রমাণ করতে অক্ষম৷
নিকোলাস মার্টিন/এসি
অভিবাসীদের যৌন শিক্ষা দিচ্ছে জার্মানি
যৌন শিক্ষা বিষয়ক এক ওয়েবসাইট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে জার্মানিতে৷ মূলত অভিবাসীদের জন্য তৈরি এই সাইটটিতে যৌনাঙ্গ থেকে শুরু করে গর্ভধারণ, হস্তমৈথুন, যৌন সুখের মতো বিষয়গুলি চিত্রলিপিতে দেখানো হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte
যৌনতা এক ‘নিষিদ্ধ’ বিষয়
আরবি, তুর্কি, ইংরেজি, জার্মানসহ মোট ১২টি ভাষায় যৌনতা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য এবং চিত্রলিপি প্রকাশ করেছে জার্মান সরকার৷ অভিবাসীদের নারী, পুরুষের দেহ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতেই এই উদ্যোগ৷ কেননা, সরকার মনে করছে, তারা এমন অনেক দেশ থেকে এসেছে, যেখানে যৌনতা নিষিদ্ধ এক বিষয়৷ চলুন দেখে নেই সাইটটিতে ঠিক কী আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Wuestenhagen
বিভিন্ন যৌন সমস্যার সমাধান
মোট ছয়টি বিভাগে যৌনতা, যৌন মিলন, সম্ভোগের রকমফের, যৌনতা বিষয়ক অধিকারের কথা তুলে ধরা হয়েছে সাইটটিতে৷ তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে ‘সেক্স’ বিভাগটি নিয়ে৷ এতে প্রথমবার সেক্স, কুমারিত্ব, যৌনাসন এবং বিভিন্ন যৌন সমস্যার সমাধান চিত্রলিপির মাধ্যমে ব্যাখা করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel
আকার গুরুত্বপূর্ণ নয়, যৌনাঙ্গচ্ছেদ নিষিদ্ধ
ওয়েবসাইটটির ‘বডি’ অংশে নারী-পুরুষের দেহের ধরন, যৌনাঙ্গ, বীর্য ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেয়া হয়েছে৷ পুরুষাঙ্গের আকার বা গড়ন যে যৌন সুখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, তা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এই বিভাগে৷ রয়েছে নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদ যে ইউরোপে পুরোপুরি নিষিদ্ধ, সেই কথাও৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গর্ভধারণ ও যৌন মিলন
সন্তান জন্মদানের পুরো প্রক্রিয়া এই বিভাগে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে৷ সাথে গর্ভধারণের পর কতদিন এবং কিভাবে যৌন সম্পর্ক অব্যাহত রাখা যায়, তা-ও জানানো হয়েছে৷ বলা হয়েছে, কেউ যদি ভুল করে গর্ভধারণ করেন, তাহলে চাইলে গর্ভপাত না করে বাচ্চাটি জন্মের পর দত্তক দেয়া যেতে পারে৷ তবে গর্ভপাতে কোনো বাধা নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte
কনডম যেভাবে পরবেন
কখনো জানতে চেয়েছেন কনডম কী? ওয়েবসাইটটির এই বিভাগে কনডম ব্যবহারের উপায় চিত্রলিপিতে পরিষ্কারভাবে দেখানো হয়েছে৷ পাশাপাশি অনিরাপদ যৌন জীবনের ফলে নারী ও পুরুষের কী কী রোগ হতে পারে এবং কী করলে তা থেকে মুক্তি সম্ভব, সে কথাও জানানো হয়েছে৷
ছবি: picture alliance/chromorange
সঙ্গীকে দোষ না দিয়ে কথা বলুন
হোক সে যৌন জীবন কিংবা যৌথ সম্পর্কের অন্য কোনো দিক, যে কোনো বিষয়ে সঙ্গীর সঙ্গে সময় নিয়ে খোলামেলা আলোচনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ওয়েবসাইটে৷ তবে আলোচনায় একে-অপরকে দোষ না দিয়ে বরং কার কী প্রত্যাশা সেদিকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে৷ প্রয়োজনে সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার উপায়ও জানানো হয়েছে সাইটটিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যৌনসম্মতির বয়স ১৮ বছর
জার্মানিতে ১৪ বা ১৫ বছরের একটি ছেলে বা মেয়ে একই বয়সের সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে পারে৷ কিন্তু সেই বয়সের একটি ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে ১৬ বা তার বেশি বয়সের কেউ যৌন সম্পর্কে জড়ালে সেটা অপরাধ৷ এমনকি কম বয়সি সঙ্গী সম্মতি দিলেও৷ যৌন মিলনের জন্য নিরাপদ বয়স কমপক্ষে আঠারো৷
ছবি: picture-alliance/Beyond
অভিবাসীদের কি যৌন শিক্ষার দরকার আছে?
এই প্রশ্নটা অনেকেই করছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে৷ এর মানে কি অভিবাসীরা যৌন মিলন সম্পর্কে অজ্ঞাত? এ সব প্রশ্নের জবাবে নির্মাতার জানিয়েছেন, বিশ্বের অনেক দেশে যৌনতা নিয়ে আলোচনা এক ‘নিষিদ্ধ বিষয়’৷ তাই দরকার এমন একটা সাইট৷ বাংলা ভাষাতেও এ রকম একটি সাইটের দরকার বলে ফেসবুকে লিখেছেন একাধিক বাংলা ব্লগার৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চিত্রলিপির ‘কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ, শেতাঙ্গ নারী’
ওয়েবসাইটটিতে প্রদর্শিত যৌন মিলনের কিছু চিত্রলিপিতে পুরুষকে কৃষ্ণবর্ণে এবং নারীকে শ্বেতবর্ণে দেখানো হয়েছে৷ আর এটা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপত্তি করেছেন অনেকে৷ কারো কারো মতে, শরণার্থী বা অভিবাসীদের যৌনশিক্ষা, যেমন কনডম পরানো শেখানোর মাধ্যমে আসলে বোঝানো হয়েছে যে, তারা কিছুই জানে না, যা একধরনের ‘বৈষম্যমূলক মনোভাব’৷
ছবি: Andreas Wolf/Fotolia
যারা তৈরি করেছেন
বেলজিয়ামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে জার্মানির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যশিক্ষা কেন্দ্র ‘জানজু ডটডিই’ ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছে৷ এ জন্য সময় লেগেছে তিন বছর৷ মূলত অভিবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্ন এবং প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে সাইটটি তৈরি করা হয়৷ তিন সপ্তাহ আগে প্রকাশের পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার মানুষ এটি ‘ভিজিট’ করছেন৷