প্রোমোটাররা যখন লাভের আশায় অফিসবাড়ি বানিয়ে তা ভাড়া দিতে পারেন না, তখন তারা কী করেন? তখন অন্য প্রোমোটাররা এসে সেই অফিসবাড়িকে ফ্ল্যাটবাড়ি বানান৷ ঠিক এমনটাই ঘটেছে জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট শহরের নিডাররাড এলাকায়৷
বিজ্ঞাপন
সেটা নগর উন্নয়নের একটা পন্থা হতে পারে, কিন্তু অফিস এলাকাকে আবাসিক এলাকায় পরিবর্তন করার কাজটা সময়সাপেক্ষ৷ প্রোমোটারদের ধৈর্য ধরতে হয়৷ যেমন ফ্রাংকফুর্ট সিটি থেকে নিডাররাড এলাকাটি গাড়িতে মাত্র দশ মিনিট৷ তা সত্ত্বেও একটি বহুতল অফিসবাড়ি পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে খালি পড়ে ছিল৷
বাড়ি তৈরির প্রোমোটার আটিলা ও্যজকান এই পরিস্থিতি বদলাতে চেয়েছিলেন: কেউ যদি অফিস না খুলতে চায়, তাহলে এখানে মানুষজনের বাস করতে বাধা কোথায়? ও্যজকান-এর যুক্তি হল: ‘‘এই নিডাররাড এলাকাটি আশির দশকে নতুন অফিস-পাড়া হিসেবে গড়ে ওঠে, কিন্তু সে পরিকল্পনা সফল হয়নি৷ অপরদিকে ফ্রাংকফুর্টে বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট খুঁজে পাওয়া দুষ্কর৷ কাজেই বিকল্পের খোঁজ চলেছে৷ নিডাররাড সেই ধরনের একটি বিকল্প৷''
সেরা শিক্ষার্থীদের রাজ্যসভা ভবনে থাকার সুযোগ
জার্মানির মিউনিখ শহরের কেন্দ্রস্থলে বাভেরিয়ার রাজ্যসভা ভবনে সেরা শিক্ষার্থীরা বিলাসবহুল জীবনযাত্রার সুযোগ পাচ্ছেন৷ সংসদ সদস্যদের কাছাকাছি থেকে অনেক কিছু শেখারও সুযোগ পাচ্ছেন তাঁরা৷
ছবি: Andreas Praefcke
৫০ জন সেরা শিক্ষার্থী
জার্মানির মিউনিখ শহরের কেন্দ্রস্থলে বাভেরিয়ার রাজ্যসভা ভবনে ৫০ জন সেরা শিক্ষার্থী বিলাসবহুল জীবনযাত্রার সুযোগ পাচ্ছেন৷ এঁদের মধ্যে এই দু’জন ভাগ্যবান শিক্ষার্থীও রয়েছেন৷
ছবি: Gerhard Brack
বিশাল প্রাসাদ
বিশাল প্রাসাদের লোহার গেট দিয়ে ঢুকছেন কালো ব্রিফকেস বগলে নিয়ে স্যুট পরা কোনো এক রাজনীতিবিদ৷ তাঁর গাড়ির পাশেই সাইকেল দাঁড় করিয়ে মাথায় বেসবল ক্যাপ পরে কোনো একজন ছাত্র প্রাসাদের ঐ একই গেট দিয়ে ঢুকছেন নিজের থাকার ঘরে৷
ছবি: Bayerischer Landtag
রাজকীয় ব্যাপার
প্রাসাদের ঝকঝকে মেঝেতে লাল কার্পেট, দেয়ালে সব বড় বড় পেইনটিং আর লম্বা করিডোর পেরিয়ে ছাত্রদের যেতে হয় নিজেদের ঘরে৷
ছবি: Bayerischer Landtag
দ্বিতীয় রাজা মাক্সিমিলিয়ন
১৮৫২ সালে বাভেরিয়ার দ্বিতীয় রাজা মাক্সিমিলিয়ন ছাত্রদের জন্য একটি ফাউন্ডেশন গঠন করেন৷ তাঁর লক্ষ্য ছিল মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়া৷ ছাত্ররা বাবা-মায়ের আর্থিক সাহায্য ছাড়া এবং পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা রোজগারের কোনো চিন্তা না করে পুরো মনোযোগ যেন লেখাপড়ায় খরচ করতে পারে৷
ছবি: picture alliance/akg
‘এক্সক্লুসিভ’ ছাত্রদের হোস্টেল
এই লক্ষ্য নিয়েই দ্বিতীয় রাজা মাক্সিমিলিয়ন সেরা ছাত্রদের জন্য এই বৃত্তির সুযোগ করে দেন৷ এটা জার্মানির ‘এক্সক্লুসিভ’ ছাত্রদের হোস্টেল৷ ছাত্র আন্দ্রেয়াস বলেন, ‘‘কারো প্রতিভা থাকলে এখানে তারা তাদের সে চাহিদা পূরণের সুযোগ পায়৷’’
ছবি: Fotolia/mylivi
বৃত্তি পাওয়ার প্রধান শর্ত
সংসদ সদস্যদের পাশে থেকে নিজেদের যোগ্য মানুষ হিসেবে তৈরি করার সুযোগ পাওয়ার জন্য এই ছাত্রাবাসে থাকার সুযোগ পাওয়া একেবারে সহজ ব্যাপার নয়৷ ‘‘এখানে বৃত্তি পাওয়ার প্রধান শর্ত, আবিট্যুর, অর্থাৎ স্কুল ফাইনালের ফলাফল হতে হবে ১,০ গ্রেড এবং নিজ স্কুল থেকে সুপারিশ করা চিঠি৷
ছবি: Bayerischer Landtag
চেয়ারম্যান হান্সপেটার বাইসার
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছেও ছাত্রদের প্রমাণ করতে হয় যে, তাঁরা শুধু স্কুলে মেধাবী ছাত্রই নন, তাঁরা অন্য ছাত্রদের চেয়ে ব্যক্তিত্ব সম্পন্নও৷ এছাড়া, থাকতে হবে সামাজিক সচেতনতাবোধ এবং বিভিন্ন কর্মতৎপরতায় নিয়োজিত করার মানসিকতা’, বলেন এই ছাত্রাবাস কমিটির সম্মানিক চেয়ারম্যান হান্সপেটার বাইসার৷
ছবি: Gerhard Brack
বিশাল ডাইনিং হল
হান্সপেটার বাইসার নিজেও একসময় এই বৃত্তি পেয়ে এই হোস্টেলেই ছিলেন৷ তিনি প্রতিদিন ঠিক দুপুর একটায় প্রাসাদের বিশাল ডাইনিং হলে বসার পর, ছাত্ররা যাঁর যাঁর আসন নেন৷ সবাইকে যে প্রতিদিন খাবার টেবিলে হাজির হতে হবে, তেমন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই৷ প্রতিবছরই কয়েকজন করে নতুন ছাত্রকে এই বিশেষ ছাত্রাবাসে থাকার জন্য বৃত্তির সুযোগ দেওয়া হয়৷
ছবি: Bayerischer Landtag
লোভনীয় লাইব্রেরি
ছাত্রী ইভা মনে করেন, ছাত্রাবস্থায় এমন রাজকীয়ভাবে থাকা খাওয়া বা জীবনযাপন অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো৷ তিনি আরো বলেন, পরীক্ষার আগে বেশিরভাগ সময়ই লাইব্রেরিতে কাটে, এখানেই অন্যদের সাথে আলোচনা হয়৷
ছবি: Bayerischer Landtag
মিউনিখের ম্যাক্সমিলেনিউম স্ট্রিট
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব যেমন ফ্রান্স ইয়োসেফ স্ট্রাউস, যিনি দীর্ঘদিন বাভারিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তিনি এবং পদার্থবিদ্যায় নোবেল বিজয়ী ভ্যার্নার হাইসেনব্যার্গ-ও এই বিশেষ ধরণের বৃত্তি পেয়ে ছাত্রাবস্থায় এই বিলাসবহুল হোস্টেলে থাকতেন৷
ছবি: Andreas Praefcke
10 ছবি1 | 10
অফিসপাড়ার ভেতরে অফিসবাড়ির মধ্যে বাস? এখনও সেটা ব্যতিক্রম৷ সাবেক অফিসবাড়ি থেকে বাসের উপযোগী ফ্ল্যাটবাড়ি তৈরি করাটা খুব সহজ কাজ নয়: প্রোমোটার আটিলা ও্যজকান বাড়ির নকশা অনুসরণ করেননি৷ সুবিশাল অফিসের এক-এক তলা মিলিয়ে সর্বসাকুল্যে ১৯৬টি খুদে ফ্ল্যাট তৈরি করেছেন৷ বাড়ির কাঠামোর উপরে তাঁকে কোনো খরচ করতে হয়নি৷ বিপদটা অন্যত্র৷ ও্যজকান ব্যাখ্যা করলেন: ‘‘আমরা জানি না, বাড়িটা কী ধরনের মালমশলা দিয়ে তৈরি৷ সেটা অবশ্য এখানে-সেখানে স্যাম্পল নিয়ে দেখা সম্ভব – সেই মালমশলায় কাজ হবে, না বাড়ির খোলনলচে পালটাতে হবে৷ এ সবই ব্যয়সাপেক্ষ, কাজেই এ সব ফ্ল্যাট তৈরির খরচ বেড়ে যাবে৷''
আটিলা ও্যজকানের মতো যারা ফ্রাংকফুর্টের নিডাররাড এলাকায় বিনিয়োগ করতে চান, তাদের সে ঝুঁকি নিতে হবে৷ অফিসবাড়ি ভাড়া দিয়ে যে বসতবাড়ির চেয়ে অনেক বেশি মুনাফা করা যায়, এ নিয়ম নিডাররাডের বেলায় খাটে না৷ স্থপতি একার্ট ফন শোয়ানেনফ্লুগ বলেন: ‘‘অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, নিডাররাড অফিসপাড়ায় অফিসবাড়ির ভাড়া স্থানীয় বসতবাড়ির ভাড়ার চেয়ে অনেক নীচে নেমে গেছে৷ কাজেই যারা অফিসবাড়ি থেকে বসতবাড়ি বানানোর কাজ করেন, তাদের পক্ষে এটা সুখবর বৈকি৷''
টাওয়ারের রাজা: জার্মান স্থপতি ওলে শেয়ারেন
জার্মান স্থপতি ওলে শেয়ারেন বর্তমান স্থাপত্যশিল্পের অন্যতম তারকা স্থপতি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন৷ তিনি চীনে থাকেন, আর সেখানে বসেই তিনি সব ভবনের নকশা করেন, যেগুলো পুরস্কারের সাথে সাথে কিছু সমালোচনাও কুড়িয়েছে৷
ছবি: OMA
বছরের সেরা আকাশচুম্বী ভবন
চীনের জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভি-র সদরদপ্তর বেইজিং-এর সিসিটিভি টাওয়ারে৷ দুটি টাওয়ার নিয়ে ৪৪ তলা এই ভবনটি এ বছরের সেরা আকাশচুম্বী ভবনের খেতাব পেয়েছে৷ কাঁচ ও ইস্পাতের তৈরি ভবনটির প্রধান ডিজাইনার জার্মান স্থপতি ওলে শেয়ারেন৷
ছবি: OMA by Iwan Baan
সমালোচকদের চোখে শেয়ারেন
৪২ বছর বয়সি শেয়ারেন লন্ডনে পড়ালেখা করেছেন৷ তাঁর বয়স যখন ২১-২২ বছর, তখনই তারকা স্থপতি রেম কুলহাসের সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন তিনি৷ আর এখন নিজ স্থাপত্য রাজ্যের রাজা শেয়ারেন৷ তিনি এখন চীনে থাকেন এবং সেখানে থেকেই স্থাপত্য কাজগুলো করে থাকেন৷ এ কারণে সমালোচকরা তাকে ঘরের শত্রু বিভীষণ হিসেবে উল্লেখ করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পরিবর্তনের স্মারক
শেয়ারেন মনে করেন, তাঁর ভবনগুলো চীনকে ধীরে ধীরে পশ্চিমা স্থাপত্যের প্রতিনিধি হিসেবে তুলে ধরছে৷ কেননা কাঁচের তৈরি সিসিটিভি টাওয়ারের দেয়ালগুলো স্বচ্ছ্বতার প্রতীক আর দুটি টাওয়ার যে লুপ দিয়ে যুক্ত, সেটি পশ্চিমা বিশ্বের সাথে আলোচনায় আগ্রহের প্রতীক৷ বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই মিডিয়া ভবনে ১৪ হাজার কর্মী কাজ করে৷
ছবি: OMA Photo by Buro-OS
স্থাপত্য যেগুলো আকাশ ছুঁয়ে ফেলতে চায়
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বিশ্ব বিখ্যাত পেট্রোনাস টাওয়ারের পাশে ‘আংকাসা রায়া’ নামে একটি আকাশচুম্বী ভবন নির্মাণে হাত দিয়েছেন শেয়ারেন৷ ভবনটি দেখতে এমন হবে, মনে হবে যেন আকাশ ছুঁতে চায়৷
ছবি: OMA Photo by Buro-OS
প্রতিফলক স্থাপত্য
শেয়ারেন বলেন, ভালো স্থপতিরা বরাবরই তাঁদের কাজে পরিবেশের প্রতিফলন দেখাতে চান৷ এ কারণে নতুন ভবন ‘আংকাসা রায়া’-য় কয়েকটি তলায় বাগান রাখবেন তিনি, যা মালয়েশিয়ার প্রকৃতির প্রতিফলন ঘটাবে৷ সেইসাথে একটি আধুনিক নামাজ ঘর রাখার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর৷
ছবি: OMA Photo by Buro-OS
ব্যাংককের সুউচ্চ ভবন
থাইল্যান্ডে এই কাঁচের তৈরি ভবনটির কাজ শেষ হবে ২০১৬ সালে৷ ‘মাহা নাখন’ নামের এই ভবনটিতে থাকবে ৭৭ তলা এবং ব্যাংককের সবচেয়ে উঁচু ভবন হবে এটি৷ শেয়ারেন এমনভাবে এটি তৈরি করছেন দেখলে মনে হবে এর কিছু কিছু অংশ কেউ ঠুকরে খেয়েছে৷ তাঁর লক্ষ্য, ভবনটি ভূমিকম্প-রোধক হিসেবে তৈরি করা৷
ছবি: OMA
সম্পদশালীদের জন্য হালকা কিছু
‘মাহা নাখোন’ ব্যাংককের সবচেয়ে বিশাল অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে পরিণত হবে৷ এটা এমনভাবে তৈরি করা হবে যাতে আলাদা আলাদা অ্যাপার্টমেন্টগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘুরতে পারে৷ ফলে সেখানে থাকা অধিবাসীদের মনে হবে যে তাঁরা ব্যাংককের উপরে ভেসে আছেন৷ দামি এই প্রকল্পটি গ্রহণের জন্য অনেকেই শেয়ারেনকে ধনীদের স্থপতি হিসেবে সমালোচনা করে থাকেন৷
ছবি: OMA
অকল্পনীয় বাড়ি
সিঙ্গাপুরের রাজধানী থেকে দূরে নিম্ন আয়ের মানুষদের থাকার জন্য ‘ইন্টারলেস প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন শেয়ারেন৷ সেখানে ৩১টি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক নিয়ে তাদের ‘লেগো’-র মতো প্রথমে আলাদা করে, পরে আবারো নতুনভাবে সাজিয়ে নতুন ব্লক তৈরি করেছেন তিনি৷ নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য এই বাড়িগুলো আসলেই অকল্পনীয়৷
ছবি: Ole Scheeren
বেশি স্বচ্ছ
শেয়ারেনের সফলতার মধ্যে একটাই বিফলতার গল্প, সেটা হলো বেইজিং বুক বিল্ডিং নিয়ে৷ ১৫টি ফুটবল মাঠের সমান জায়গা নিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ঐ গ্রন্থাগারের পরিকল্পনা ছিল৷ বুক শেলফের আকারে কাচ দিয়ে স্বচ্ছ ভাবে তৈরির কথা ভাবছিলেন শেয়ারেন৷ কিন্তু চীনের নেতাদের এই পরিকল্পনা পছন্দ না হওয়ায়, তাঁরা এ প্রকল্প বন্ধ করে দেয়৷
ছবি: OMA
9 ছবি1 | 9
এই ‘‘পরিবর্তনের'' পরাকাষ্ঠা হল এই অফিস টাওয়ার-টি৷ বাড়িটিতে আজ মোট একশো'টি আংশিক আসবাব সম্বলিত ফ্ল্যাট রয়েছে৷ ফ্ল্যাটের জানলা খুললে অনেকদূর চোখ যায়৷ কাজেই ফ্ল্যাটগুলোর চাহিদা ভালোই৷ রোজকার বাজার করার সুপারমার্কেট কিংবা হোটেল-রেস্তোরাঁরও কোনো অভাব নেই: ধীরে ধীরে একটা গোটা আবাসিক এলাকা গজিয়ে উঠেছে৷ বিশেষজ্ঞরা সে বিষয়ে বিশেষ সুখী নন৷ ফন শোয়ানেনফ্লুগ মনে করেন: ‘‘তবে এ থেকে দ্রুত সাফল্যের আশা না করাই ভালো৷ বরং তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে, এমনটা ধরে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ, কেননা লক্ষণীয় প্রগতি ঘটতে ঠিক ততোটাই সময় লাগবে৷''
বিনিয়োগকারীরা অবশ্য আশা রাখেন যে, শীঘ্রই মোট ছ'হাজার মানুষ এখানে বাস করবেন এবং এলাকাটি জমজমাট হয়ে উঠবে৷ কারণ হিসেবে ও্যজকান জানালেন: ‘‘প্রকল্পটি সফল হবে, কেননা এর কাছেই প্রায় এক লাখ মানুষ চাকুরি করেন৷ অথচ এই এলাকায় বসতবাড়ি প্রায় নেই বললেই চলে৷ নিডাররাডের কাছেই রয়েছে ফ্রাংকফুর্ট বিমানবন্দর ও একটি বড় হাসপাতাল৷''
পৌর কর্তৃপক্ষও এখন চাকুরিজীবী পরিবারবর্গের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজে উৎসাহ দিচ্ছেন৷ তবুও আপাতত দেখে বোঝার উপায় নেই যে, ডেলি প্যাসেঞ্জারদের শহরতলি নিডাররাড সত্যিই তাদের স্থায়ী বাসস্থান হয়ে উঠতে চলেছে কিনা৷