1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ফিসক্যাল ক্লিফ’

২ জানুয়ারি ২০১৩

তথাকথিত ‘ফিসক্যাল ক্লিফ’ এড়ানো গেছে৷ মার্কিন সিনেটে এ সংক্রান্ত বিল পাস হওয়ার পর ‘হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভ’ও সেটা অনুমোদন করেছে৷ ফলে আপাতত শান্তি ফিরে এসেছে বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের মাঝে৷

ছবি: Verena Klein

কয়েক মাসের উৎকণ্ঠা, কয়েক সপ্তাহের বিতর্ক আর কয়েক দিনের আলোচনা শেষে এলো শান্তির সেই খবর৷ জানা গেল, মধ্যবিত্তদের করের হার বাড়ছে না৷ যিনি বেকার ভাতা পাচ্ছিলেন সেটা বন্ধ হবে না৷ সামরিক আর চিকিৎসা খাতে যে ব্যয় সংকোচ হওয়ার কথা ছিল সেটাও হচ্ছে না৷

মার্কিনিদের ভালো লাগার এ খবরটি জানতে অপেক্ষা করতে হয়েছে একেবারে শেষ মুহূর্তটি পর্যন্ত৷ দুশ্চিন্তায় অনেকে ঠিকমতো বড়দিনের ছুটি উপভোগ করতে পারেন নি৷ নতুন বছরের আগমনি পালনের আগ পর্যন্তও মার্কিনিরা নিশ্চিত হতে পারছিলেন না যে, ২০১৩ সাল তাঁদের জন্য কী বয়ে আনছে৷

এসব কিছুর জন্য তাঁরা দায়ী করছিলেন রাজনীতিকদের৷ কেননা মার্কিনিদের ধারণা, রাজনৈতিক কারণেই একটা চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছিল না৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: dapd

নতুন চুক্তি অনুযায়ী, যেসব দম্পতির বাৎসরিক আয় সাড়ে চার লক্ষ ডলার তাদেরকে অতিরিক্ত হারে কর দিতে হবে৷ প্রেসিডেন্ট ওবামা চাইছিলেন, যাঁদের আয় আড়াই লক্ষ ডলার তাঁদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপাতে৷

এদিকে, জার্মান চ্যান্সেলর তাঁর নতুন বছরের ভাষণে বলেছেন, ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালটা আরও কঠিন হবে৷ কারণ ইউরো সংকট মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেসব কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়ন করাটা চ্যালেঞ্জের হবে, বলে মনে করেন তিনি৷ তবে দীর্ঘমেয়াদী সুফলের জন্য এসব সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন ছিল বলেও মনে করেন ম্যার্কেল৷

তাঁর এই বক্তব্য জার্মান অর্থমন্ত্রী ভল্ফগাং শোয়েবলের কথার কিছুটা বিপরীত৷ কেননা মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই শোয়েবলে বলেছিলেন যে, ইউরোপ সংকটের চূড়ান্ত দেখে ফেলেছে৷

এদিকে, নতুন বছরের শুরুতে ইটালি থেকে কিছুটা ইতিবাচক খবর পেয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা৷ ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও মন্টি জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচনে জেতার চেষ্টা করবেন এবং তাঁর নেয়া সংস্কার কর্মসূচিকে যে রাজনৈতিক জোট সমর্থন জানাবে তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন৷ এই বক্তব্যের মাধ্যমে মন্টি আসলে পিয়ের লুইজি বার্সানি'র নেতৃত্বধীন জোটের সঙ্গে যাওয়ার আভাষ দিলেন৷ জরিপ বলছে, নির্বাচনে জেতার দৌড়ে এই জোট এগিয়ে রয়েছে৷

ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও মন্টিছবি: Reuters

যদি তাই হয়, অর্থাৎ যদি নির্বাচনে বার্সানির জোট জয়লাভ করে আর মন্টি তাদের সঙ্গে যোগ দেন এবং আবারও প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে খুশি হবেন ইইউ নেতারা৷ কেননা তাঁরা সেটাই চাইছেন৷ কারণ মন্টির সংস্কার কর্মসূচির কারণেই ইটালির অর্থনীতি সংকটের পথ থেকে উত্তরণের পথ পেয়েছে৷ এখন যদি মন্টির জায়গায় অন্য কেউ এসে চলমান সংস্কার কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করে তাহলে ইটালির অর্থনীতি আবারও সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে৷ আর এমনটা হলে পুরো ইউরোপের জন্যই তা হবে শঙ্কার৷ কারণ, ইটালির মতো বড় অর্থনীতির দেশকে বেইলআউট করার ক্ষমতা নেই ইইউ'র৷

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ইটালির অর্থনীতিতে সংকট দেখা দেয়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনিকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল৷ তাঁর জায়গায় ক্ষমতা নেন ইইউ'র সাবেক কমিশনার মারিও মন্টি৷

ইটালির নির্বাচনে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বার্লুসকোনি৷ তিনি ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন যে, নির্বাচনে তিনি জিতলে মন্টির কিছু কর্মসূচি তিনি বাদ দেবেন৷ বলা বাহুল্য, বার্লুসকোনির এই ঘোষণায় শঙ্কিত ইইউ নেতারা

জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ