1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবশেষে খুলল মহাজোটের সব জট

৪ মার্চ ২০১৮

ম্যার্কেলপন্থি রক্ষণশীলদের সঙ্গে জোট মেনে নিল মধ্যবামপন্থি দল এসপিডি'র সদস্যরা৷ তাই মহাজোট গঠনে আর বাধা রইল না৷ ফলে চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলরের চেয়ারে বসতে যাচ্ছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷

Deutschland Ergebnis des SPD-Mitgliedervotums
ছবি: Reuters/H. Hanschke

এই জট খুলে যাওয়ায় আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যেই জার্মানিতে নতুন সরকার দায়িত্ব নিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে৷
গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় জার্মান জাতীয় নির্বাচন৷ এরপর থেকেই সরকার গঠনে শুরু হয় জোট আলোচনা৷
প্রথমে সবুজ দল ও ফ্রি ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হয়৷ এসপিডি শুরুর দিকে আবারো মহাজোট গঠনে কোনো আগ্রহ না দেখালেও পরবর্তীতে দলের বামপন্থিদের আপত্তি সত্ত্বেও রাজি হয় আলোচনায় বসতে৷
এ সব আলোচনার নানা ধাপ পেরিয়ে অবশেষে পাঁচ মাস পর সরকার গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত হলো৷
ম্যার্কেলের রক্ষণশীল সিডিইউ-সিএসইউ'র সঙ্গে আদৌ জোট গঠন করা হবে কি না এ প্রশ্নটিই ছিল এসপিডির রবিবারের চূড়ান্ত ধাপ৷
সামাজিক গণতন্ত্রী দলটির ৬৬ ভাগ সদস্য এই মহাজোটের পক্ষে ভোট দিয়েছেন৷ বাকি ৩৪ ভাগ করেছেন বিরোধিতা৷
বার্লিনে রবিবার সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাড়ে চার লাখ সদস্যের ভোটের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়৷
‘‘এসপিডি'র জন্য এটা সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না৷'' বলছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওলাফ শলৎস৷ ‘‘জোট আলোচনায় আমরা অনেক বিষয়েই আমরা একমত হতে পেরেছি৷ সে কারণেই মহাজোটের সিদ্ধান্ত বলবৎ রাখতে পেরেছি৷''
মহাজোট চুক্তি করতে এখন আর কোনো বাধা নেই৷ জার্মান সংসদ বুন্দেসটাগ ম্যার্কেলকে ১৯তম অধিবেশনের জন্য চ্যান্সেলর নির্বাচিত করবে৷ আগামী ১৪ মার্চ এই ভোট হবার কথা রয়েছে৷

জার্মান নেতা হিসেবে ১৩ বছরে এটি ম্যার্কেলের তৃতীয় মহাজোট গঠন
তবে এই মহাজোট আলোচনা প্রক্রিয়ায় নিজের অবস্থান হারিয়েছেন মার্টিন শুলৎস৷ কয়েকদিন আগে এসপিডি'র চেয়ারম্যান পদ হারান তিনি৷
ম্যার্কেল তাঁর মন্ত্রিদের নাম এরই মধ্যে ঘোষণা করে দিয়েছেন৷
কোয়ালিশন চুক্তির ক্ষেত্রে অনেক ছাড় ও অর্থ মন্ত্রণালয় হারানোর কারণে সিডিইউ দলের মধ্যে ক্ষোভের কথা বিলক্ষণ জানেন ম্যার্কেল৷ তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে সার্বিক সংশয় সম্পর্কেও তিনি সচেতন৷
দলীয় সম্মেলনে সমালোচকদের আক্রমণ প্রতিহত করতে তিনি তাই গত সপ্তাহেই সম্ভাব্য মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করেছেন৷ সেই তালিকায় বেশ কিছু চমক রেখেছেন তিনি৷
আগের তুলনায় আরও বেশি নারী এবং তরুণ মুখ উঠে এসেছে৷ বিশেষ করে ৩৭ বছর বয়সি তরুণ নেতা ও ম্যার্কেলের সমালোচক বলে পরিচিত ইয়েন্স স্পানকে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ দিয়ে অনেককেই অবাক করেছেন৷ মন্ত্রী হিসেবে স্পান আর প্রকাশ্যে ম্যার্কেলের সমালোচনা করতে পারবেন না, এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা৷
এদিকে, গত নির্বাচনে মাত্র ২০ শতাংশের মতো ভোট পেয়েও এসপিডি দল কোয়ালিশন চুক্তিতে নিজস্ব বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করে ও ১৫ জনের মধ্যে ছ'জন মন্ত্রীর পদ আদায় করতে পেরেছে৷
মহাজোটে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে স্পষ্ট বিভক্তি দেখা গেছে এসপিডি'তে৷ দলের অনেকেই মনে করেন, এই জোটে যাবার জন্য দলের সমর্থন কমে যেতে পারে৷
মহাজোটে যাবার পক্ষে সদস্যের ভোট দেবার জন্য ক্যাম্পেইনে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলের নারী নেত্রী আন্দ্রেয়া নাহলেস ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওলাফ শলৎস৷ অন্যদিকে, এসপিডি'র তরুণ অংশটির নেতা কেভিন ক্যুন্যার্ট ছিলেন এর বিপক্ষের ক্যাম্পেইনে৷
বিপক্ষে প্রচারণা চালালেও ক্যুন্যার্ট অবশ্য বারবারই বলেছেন যে, পার্টির সদস্যদের যে কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন৷

জেফারসন চেজ/জেডএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ