1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবশেষে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে খসড়া চুক্তি

৩ এপ্রিল ২০১৫

৮ দিন আলোচনার পর পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে খসড়া চুক্তি হয়েছে ছয় বিশ্বশক্তির৷ ইরানে শুরু হয়েছে আনন্দ৷ ইসরায়েল উদ্বিগ্ন৷ বারাক ওবামাসহ অনেক বিশ্বনেতাই মূল চুক্তির একটি কাঠামো নিয়ে ঐকমত্যকেইবলছেন ‘ঐতিহাসিক অর্জন'৷

Lausanne Atomverhandlungen Abschlußstatement Javad Zarif
ছবি: Reuters/B. Smialowski

টানা আট দিনের আলোচনা শেষে অবশেষে একটা সমঝোতা হয়েছে লোসান-এ৷ সুইজারল্যান্ডের এই শহরে ইরানের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানির সঙ্গে ইরানের আলোচনা গত ৩১ মার্চই শেষ হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় সময় বাড়ানো হয়৷ আট দিন পর দু-পক্ষ খসড়া চুক্তিতে সম্মত হয়েছে৷

এ চুক্তি অনুযায়ী ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা ধীরে ধীরে কমাবে৷ চুক্তিতে বলা হয়েছে, ইরান তার পারমাণবিক শক্তি দুই তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনবে৷ এছাড়া পরমাণু গবেষণাও ধীরে ধীরে বন্ধ করা হবে৷ চুক্তি অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)৷ সবকিছু চুক্তি অনুযায়ী হলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা পর্যায়ক্রমে তুলে নেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে খসড়া চুক্তি নিয়ে এখনো দু পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলবে৷ আলোচনা শেষে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মূল চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে৷

খসড়া চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার খবর পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই খুশিতে মেতেছে ইরান৷ তেহরানের রাস্তায় শত শত মানুষ গাড়ির হর্ন বাজিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছে৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অনেকে৷ ফেসবুকে এক দল তরুণী উল্লাস প্রকাশের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে, যেখানে হাততালি বাজাতে বাজাতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানির উদ্দেশ্যে তাঁরা বলছেন, ‘‘ধন্যবাদ রোহানি''৷

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানিছবি: Persianu

ইরানে জনমনে উল্লাসের ঢেউ লাগলেও বিশ্বনেতৃবৃন্দ এখনো খসড়া চুক্তি নিয়ে সতর্কভাবেই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অতীতে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েট ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, এটাও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে৷ খসড়া চুক্তিটিকে ‘ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত এক ‘ঐতিহাসিক সমঝোতা' হিসেবেও অভিহিত করেছেন তিনি৷ তবে ওবামা পাশাপাশি এ-ও বলেছেন, ‘‘খসড়া চুক্তির সাফল্য সম্পর্কে এখনি নিশ্চিত হওয়া যাবেনা৷''

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ খসড়া চুক্তিকে স্বাগত জানালেও এর দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছেন৷ ব্রিটেনও তা-ই মনে করে৷ তবে রাশিয়া বিষয়টিকে দেখছে একটু অন্যভাবে৷ তারা বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্কট নিরসনে ইরানের প্রভাব এবং ভূমিকাকে গুরুত্ব দেয়া হলেই কেবল এ চুক্তি বিশ্বশান্তি স্থাপনে ভূমিকা রাখতে পারবে৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু প্রত্যাশিতভাবেই এই চুক্তির চরম বিরোধিতা করেছেন৷ শুরু থেকেই তাঁর ঘোষিত অবস্থান ছিল, এমন এক চুক্তি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলবে৷

এসিবি/এসবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ