1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুলিশকে বন্ধু বানানোর উদ্যোগ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২২ জানুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশ পুলিশে তৃণমূল পর্যায়ে কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে৷ জানানো হচ্ছে মানবাধিকারের বিষয়গুলোও৷ সম্প্রতি তল্লাশির নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ক’জনকে মারপিট ও হেনস্তার অভিযোগের পর, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ উদ্যোগ নেয়া হয়৷

Bangladesch Polizei Symbolbild
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman

গত ৯ জানুয়ারি রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী ও ১৫ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ীর মিরহাজিরবাগে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দাসকে তল্লাশির নামে নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ৷

এরপর ১৭ জানুয়ারি মিরপুরে একজন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী সচিবের ছেলের পকেটে ইয়াবা দিয়ে আটক করে বিপাকে পড়ে পুলিশের একজন এএসআই৷ সর্বশেষ বুধবার ঢাকায় ব্যাংক এশিয়ার একজন কর্মচারীকে নির্যাতন করে সাধারণ মানুষের রোষের মুখে পড়ে ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পায় এক পুলিশ সদস্য৷

এই পরিস্থিতিতে তল্লাশিসহ পুলিশ দায়িত্ব পালনকালে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কেমন আচরণ করবে – তা নিয়ে ‘কাউন্সেলিং' শুরু হয়েছে৷ দেরি হলেও, অবশেষে সুরু হয়েছে পুলিশকে ‘বন্ধু’ বানানোর উদ্যোগ৷

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘থানা থেকে শুরু করে পুলিশ লাইন, পুলিশ ক্যাম্প, বিভাগ – সবখানেই কাউন্সেলিং চলছে৷ দিনের শুরুতে পুলিশ সদস্যদের হাজিরা নেয়ার সময় সবাইকে একসঙ্গে করে সিনিয়র অফিসাররা এই কাউন্সেলিং করছেন৷''

মনিরুল ইসলাম

This browser does not support the audio element.

কাউন্সেলিংয়ে কী থাকছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘কোনো তল্লাশি চালাতে হলে কী নিয়ম মানতে হবে, কী ধরণের আচরণ করতে হবে, তা জানানো হচ্ছে৷ নাগরিকদের যেন সম্মান দেয়া হয়, তাঁদের প্রতি যেন ভদ্র আচরণ করা হয় আর নিয়মের যেন লঙ্ঘন করা না হয় – এ কথাগুলো আবারো বোঝানো হচ্ছে৷''

মনিরুল ইসলাম জানান, ‘‘সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের বিরূপ ধারণা হওয়ার আশঙ্কায় এই কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ তাদের বলা হচ্ছে, তল্লাশির সময় নাগরিকদের যেন ‘স্যার' সম্বোধন করা হয়৷ এছাড়া সাধারণ মানুষের অনুমতি নিয়ে আইন অনুযায়ী তল্লাশি করার কথাও বলা হচ্ছে তাদের৷''

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘‘পুলিশের পেশাগত প্রশিক্ষণে মানবাধিকারে বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত রয়েছে৷ তাই কাউন্সেলিংয়ের সময় মানবাধিকারের বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেয়া হচ্ছে৷''

প্রসঙ্গত, সিআরপিসি-র ১০৩ এবং ১৬৫ ধারা অনুযায়ী, তল্লাশি চালানোর আইনি অধিকার পুলিশের রয়েছে৷ তবে আইন বলছে, তল্লাশির সময় কমপক্ষে দু'জন গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে তল্লাশি চালাতে হবে৷ পুলিশ চাইলেই তার ইচ্ছামত নিজেরা তল্লাশি চালাতে পারে না৷

তবে নিয়ম মেনে পুলিশ যাকে তল্লাশি করতে চাইবে, সেক্ষেত্রে পুলিশকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সহযোগিতা করতে আইনত বাধ্য৷ অন্যথায় সরকারি কাজে অসহযোগিতার অভিযোগে ৩৫৩ ধারায় ঐ ব্যক্তিকে আটকের অধিকার রাখে পুলিশ৷ অন্যদিকে তল্লাশির ক্ষেত্রে পুলিশ নিয়ম না মানলে সেই ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মানহানি ও ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারবেন৷

অবশ্য পুলিশের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো, তল্লাশির নামে এক শ্রেণির পুলিশ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে, মূলত অর্থ আদায়ের জন্য৷ ‘‘এটা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন'', বলেন মনিরুল ইসলাম৷

পুলিশ কি আদৌ সাধারণ মানুষের বন্ধু হতে পারবে? জানান আপনার মতামত, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ