অবসরের বয়স নিয়ে উত্তাল ফ্রান্স
২৫ অক্টোবর ২০১০চলছে আন্দোলন
সার্কোজি সরকারের অবসর ভাতা সংস্কারের প্রতিবাদে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে শ্রমিক-শিক্ষার্থীরা৷ বিশেষ করে জ্বালানি খাতে ধর্মঘট চলছে৷ ফলে সেদেশের অনেক পেট্রোল পাম্প তেলবিহীন অবস্থায় রয়েছে৷ ফ্রান্সের পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্যারিসের ৩৫ শতাংশ পেট্রোলপাম্পে তেল নেই কিংবা কমপক্ষে একধরণের জ্বালানির সংকট রয়েছে৷ তবে, ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলের অবস্থা আরো করুণ৷ এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার দেশজুড়ে ধর্মঘটের আহ্বান জানিয়েছে৷ ছাত্রদের দাবি, অবসরের বয়স কোনভাবেই ৬০ এর বেশি করা যাবেনা৷ অন্যদিকে, সরকার অবসরের সর্বনিম্ন বয়স বাড়িয়ে ৬২ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ৬৭ করতে বদ্ধপরিকর৷
জ্বালানি সংকট
ভ্রমণিচ্ছু হাজার হাজার পরিবার জ্বালানি সংকটের কারণে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেনা৷ ফলে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী জঁ-লুই বর্লো গাড়ি চালকদের সতর্ক করে বলেছেন, সোমবার পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে৷ কেননা, অনেক তেল পরিবাহী ট্যাংকারের চালকরা রোববার কাজ করেনি৷ এছাড়া বিমান সংস্থাগুলো কোটি কোটি ইউরোর ক্ষতির কথা জানিয়েছে৷ সেদেশের রাসায়নিক উৎপাদকদের দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে দশ কোটি ইউরো৷
সংস্কার নিয়ে বিপত্তি
গত শুক্রবার ফ্রান্স সংসদের উচ্চকক্ষ অবসর ভাতা সংস্কার আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে৷ এর আগে সেদেশের সংসদের নিম্নকক্ষ এই খসড়া অনুমোদন করে৷ ফলে আগামী বুধবার এটি ফ্রান্সের জাতীয় বিধানসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে৷ সার্কোজি আশা করছেন, নভেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ পাবে অবসর ভাতা সংস্কার আইন৷
সার্কোজির সমর্থন কমছে
রোববার এক জরিপে দেখা গেছে, এই মুহূর্তে সেদেশের প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে কম৷ বর্তমানে সার্কোজির প্রতি ফ্রান্সের মানুষের সমর্থন ৩০ শতাংশের নিচে৷ ফলে ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সার্কোজি শিবিরের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে৷ এদিকে, সামাজিক দল ঘোষণা করেছে, তাদের প্রার্থী এই নির্বাচনে জিতলে অবসরের বয়স আবারো ৬০ বছর করা হবে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই