চোখ মেলে পৃথিবীর আলো দেখলো নতুন এক শিশু৷ কিন্তু বাবা, মা, পরিবার – কেউ খুশি নয়৷ জন্মের পরপরই হত্যা করা হলো শিশুটিকে, ছুড়ে ফেলা হলো আস্তাকুড়ে৷
বিজ্ঞাপন
এভাবে প্রতি বছর শত শত ‘অনাকাঙ্ক্ষিত' অথবা আইনের দৃষ্টিতে ‘অবৈধ' সন্তানকে গোপনে হত্যা করা হচ্ছে পাকিস্তানে৷
দক্ষিণ এশিয়ার এই ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক এবং গর্ভপাত নিষিদ্ধ৷ ফলে যখনই কোনো অবিবাহিত তরুণী গর্ভধারণ করে, তার পরিবারকে গ্রাস করে আতঙ্ক৷ শেষ পর্যন্ত এর ফয়সালা হয় কোনো একটি ক্লিনিকে৷ নিজের পেটে ধরা সন্তানকে হয়ত নিজের হাতেই মৃত্যুর পথে ঠেলে দেন অশ্রুসিক্ত সেই কিশোরী মা৷
গুজরানওয়ালা শহরের এক মাতৃসদনের নার্স রাজিয়া জুলফিকার জানান, পাকিস্তানের ক্লিনিকগুলোতে প্রতিদিনই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে৷
‘শিশু কাঁদলে, তাকে কোলে তুলে নিন’
বাচ্চা কাঁদলে কোলে তুলে নেয়াটাই স্বাভাবিক, বিশেষ করে উপ-মহাদেশের বাবা-মা এবং পরিবারের মানুষদের কাছে৷ এ নিয়ে তাঁদের মনে কোনো প্রশ্ন নেই৷ কিন্তু জার্মানিতে? চলুন বিস্তারিত জানা যাক এই ছবিঘর থেকে৷
ছবি: Fotolia/st-fotograf
শিশুরা কাঁদে কেন?
যে কোনো শিশুই চিৎকার করে কেঁদে তার ভূমিষ্ঠ হওয়ার খবর জানিয়ে দেয়৷ তারপরও কারণে-অকারণেই ওরা কাঁদে৷ এই সুন্দর ভুবনের সাথে মানিয়ে নিতে ওদের যেমন কিছুটা সময় লাগে, তেমনই নতুন মা-বাবারও লাগে খানিকটা সময় সব কিছু গুছিয়ে নিতে৷ যা খুবই স্বাভাবিক৷
ছবি: Fotolia/S.Kobold
আমার কান্না কেউ কি শুনছে না?
মাঝে মাঝে শিশুরা চিৎকার করে ওঠে, বিশেষ করে কাছাকাছি অনেকক্ষণ কোনো শব্দ শুনতে না পেলে৷ অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই হয়ত তখন কাঁদে তারা৷ মজার ব্যাপার, ঐ মুহূর্তে কেউ কাছে গিয়ে কথা বললে বা কোলে তুলে নিলে সাথে সাথেই শিশুদের কান্না থেমে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাঙালি বাবা-মায়ের সন্তান
দেশে সন্তান জন্মের পর থেকেই সে বাচ্চা কোলে কোলে থাকে৷ বাচ্চা কাঁদুক আর না কাঁদুক৷ নতুন মা সারাক্ষণই তাঁর শিশুটিকে নিয়ে ব্যস্ত আর সেই শিশু সর্বক্ষণই পেয়ে থাকে মায়ের শরীরের উষ্ণতা৷ শিশুকে কোলে নেওয়ার জন্য বাবা-মা ছাড়াও আত্মীয়স্বজন থাকেন৷ এছাড়া, বাচ্চাকে শুধু দেখাশোনা করার জন্য আলাদা লোকও অনেক সময় রাখা হয়৷
ছবি: picture-alliance/Joker
জার্মান শিশু
জার্মানিতে কোনো শিশু কাঁদলেই চট করে কোলো তুলে নেওয়া হতো না কয়েক বছর আগ পর্যন্তও৷ শিশু কাঁদলে ওকে শুইয়ে রাখা হতো৷ এক সময় সেই ছোট্ট শিশু কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পরতো৷ কারণ, মা সারাক্ষণ বাচ্চাকে কোলো নিলে বাড়ির অন্য কাজ কে করবে? রাতে প্রতিদিন ঘড়ি ধরে একই সময়ে বাচ্চাকে বিছানায় শুইয়ে দেওয়া হতো ঘর অন্ধকার করে৷ বলা বাহুল্য জার্মানিতে গ্রীষ্মকালে প্রায় ১১টা পর্যন্ত বাইরে সূর্যের আলো থাকে৷
ছবি: Getty Images/Afp/Timothy Clary
সময় পাল্টেছে, বদলেছে চিন্তাধারা
একদিকে যেমন জার্মানির মতো উন্নত দেশগুলিতে প্রযুক্তি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তেমনই অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশেরও কিছু বিষয় গ্রহণ করতে শুরু করেছে তারা৷ শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. গেন কামেদা বলেন, পশ্চিমের সংস্কৃতিটা এমন যে শিশুরা মায়ের শরীরের উষ্ণতা কম পায়, কারণ এ দেশে বাচ্চারা বিছানায় বেশি সময় থাকে আর এটাই হয়ত শিশুদের রাতে কান্নাকটি করার বড় কারণ৷
ছবি: Yuri Arcurs/Fotolia
নতুন বাবা-মা
নতুন মা-বাবার নানা প্রশ্ন, শিশুটির কান্নার কারণ তাঁরা বুঝতে পারেন না৷ ক্ষুধা, শরীর খারাপ, ক্লান্ত নাকি আদর, কি চায় বেবিটি? আসলে শরীরের উষ্ণতা পেলে শিশুরা সব কিছুই ভুলে যায়, যদি না বড় কোনো শারীরিক কষ্ট থেকে থাকে, বলেন ডা. কামেদা৷ তাঁর পরামর্শ, পিতা-মাতা হলে অনেককিছুই বাদ দিতে হয়, তাই বাইরে গেলে শিশুকে কোলে করে সঙ্গে নেবার চেষ্টা করবেন – যাতে শিশুটি শরীরের উষ্ণতা পায়৷
ছবি: Fotolia/detailblick
ডাক্তারের পরামর্শ
নতুন বাবা-মায়ের জন্য ডাক্তার কামেদার আরো পরামর্শ, শিশুর কাছাকাছি থাকুন, শিশুকে সময় দিন, কোলে তুলে নিন৷ অল্প কিছুদিন পরেই দেখবেন, শিশু শুধু কাঁদেই না, বরং খুব শীঘ্রই তারা হাসতে শিখবে, হাসাবে মা-বাবাকেও৷
ছবি: Fotolia/st-fotograf
7 ছবি1 | 7
‘‘কয়েকদিন আগে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা একটি মেয়ে আমাদের ক্লিনিকে আসে৷ আমরা তাকে ভর্তি করতে চাইনি৷ কিন্তু তার পরিবার বার বার অনুরোধ করায় শেষ পর্যন্ত রাজি হই৷ তবে তাদের সাফ জানিয়ে দেই, বাচ্চাটাকে আমরা মারতে পারব না৷''
রাজিয়া জুলফিকার ডয়চে ভেলেকে জানান, জন্মের পর শিশুটিকে তারা ওই পরিবারের হাতে তুলে দেন৷ কেবল তারাই জানে, সেই নবজাতকের ভাগ্যে কি ঘটেছে, কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে৷
নিষেধ ভেঙে প্রেম
প্রায় ১৮ কোটি মানুষের দেশ পাকিস্তানে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক পুরোপুরি নিষিদ্ধ৷ ইসলামি শরিয়া আইনেও ব্যাভিচার একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷
রাজিয়া জুলফিকার বলেন, কড়া বিধিনিষেধের পরও পাকিস্তানে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়াচ্ছে মানুষ, বিয়ের আগেই যাচ্ছে শারীরিক সম্পর্কে৷
‘‘আমরা এমন এক সমাজে বাস করি, যেখানে আমাদের ছেলে-মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন আছে, তারা পশ্চিমা সিনেমা দেখছে৷ কখনো কখনো তারা সমাজের নিষেধ না মেনে প্রেমে জড়াচ্ছে, যা খুশি তাই করছে৷ কিন্তু পরিবার যখন বিষয়টি জানতে পারছে, ততদিনে হয়ত মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়েছে৷
অপরাধ ও শাস্তি
বেসরকারি সংস্থা এধি ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর পাকিস্তানের বড় শহরগুলোতেই অন্তত ১ হাজার ১০০ শিশুকে জন্মের পরপরই হত্যা করে আস্তাকুড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে৷ সারা দেশের তথ্য পাওয়া গেলে এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে৷
এধি ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক আনোয়ার কাজমি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘কিছুদিন আগে ছয় দিনের একটি শিশুকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে৷ গলায় ফাঁস পরানো অথবা কোনো জানোয়ার কিছু অংশ খেয়ে ফেলেছে – এমন লাশও আমরা পেয়েছি৷''
বিভিন্ন দেশের শিশুদের লেখা শেখার কৌশল
বিভিন্ন দেশে শিশুদের শেখার ধরণ ভিন্ন ভিন্ন৷ জার্মানিতে এই হেমন্তেই শিশুদের লেখা শেখার একটি নতুন নিয়ম চালু হয়েছে৷ কোন দেশের শিশুদের কীভাবে লেখায় হাতে-খড়ি হয়, চলুন সে বিষয়ে জানা যাক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চীন: যত তাড়াতাড়ি লেখা শেখা যায়, তত ভালো
চীনে তিন বছর বয়স হলে বাচ্চাদের কিন্ডারগার্টেনে পাঠানো হয় অক্ষরজ্ঞান শেখার জন্য৷ তবে শিশুরা ঠিকমতো লেখা শিখতে শুরু করে ছয় বছর বয়সে৷ পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বাচ্চাদের দশ হাজার অক্ষর শিখে ফেলতে হয়, যা বেশ কঠিন৷ পরে যা শিখতে হয় তার তেমন কোনো নির্ধারিত নিয়ম নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জাপান: স্কুল ফাইনাল শেষ হওয়া পর্যন্ত
ক্লাস ওয়ান শেষ হওয়া মানেই কিন্তু লেখা শেখা শেষ নয় জাপানে৷ সেখানে ক্লাস নাইন পর্যন্ত সিলেবাসেই থাকে নির্ধারিত কিছু অক্ষর শেখার নিয়মকানুন৷ জাপানে লিখতে পারার জন্য একজনকে মোটামুটি ২১০০ অক্ষর জানতে হবে৷ জাপানে লেখা জানার জন্য নিয়মিত অনুশীলন করতে হয়, তা না হলে কোনো না কোনো অক্ষর খুব সহজেই ভুলে যেতে পারে যে কেউ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মিশর: একটি ‘নতুন’ ভাষা
মিশরের বাচ্চাদের লেখা শেখার সাথে সাথে একটি নতুন ভাষাও শিখতে হয়৷ কারণ সেখানে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে৷ যার ফলে, সেখান থেকে শুদ্ধ আরবি ভাষাকে আলাদা করা বেশ অসুবিধা৷ এছাড়া, সেখানকার কোনো স্কুলে ক্লাসে প্রতি ৮০ জন করে ছাত্র থাকে৷ ফলত লেখাপড়ার মান নীচু হয়৷ এর জন্য অনেক ছাত্র কখনোই ঠিকমতো লিখতে বা পড়তে পারে না৷
ছবি: Fotolia/Ivan Montero
মরক্কো: শুধু আরবি ভাষা নয়
বেশি দিন আগের কথা নয়, যখন মরক্কোর স্কুলে বাচ্চারা শুধু আরবি ভাষা শিখতো৷ তবে ২০০৪ সাল থেকে এর পরিবর্তন হয়েছে৷ তখন থেকেই ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাদেরও হিব্রু ভাষার পাশাপাশি তামাসিখট ভাষাও শিখতে হয়৷ গ্রামাঞ্চলে অক্ষরজ্ঞান নেই এবং শুধু হিব্রু ভাষায় কথা বলে, এ রকম মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে৷ ২০১১ সাল থেকে তামাসিখট ভাষাকে সেখানকার স্বীকৃত ভাষা হিসেবে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷
ছবি: picture alliance/Ronald Wittek
পোল্যান্ড: শূন্য থেকে শুরু
পোল্যান্ডে স্কুল শুরু হয় ক্লাস ওয়ান থেকে নয়, শূন্য থেকে৷ স্কুলে যাবার আগেই প্রতিটি শিশুর শূন্য ক্লাসে বা কিন্ডারগার্টেনে যাওয়া বাধ্যতামূলক এবং তখন খেলার ছলে বাচ্চাদের অক্ষরজ্ঞান দেওয়া হয়৷ অবশ্য ঠিকমতো লেখা শেখা শুরু হয় ক্লাস ওয়ান থেকেই৷ তবে কোনো কোনো অক্ষর খুব ভালো করে শিখতে বা মনে রাখতে হয়, কারণ সেগুলোর উচ্চারণ প্রায় একই রকম৷ এক্ষেত্রে বাংলার ‘ন’ এবং ‘ণ’ অক্ষরের সাথে তুলনা করা যেতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/PAP
সার্বিয়া: ভাষা এক, লেখা দু’রকম
সার্বীয় ভাষা সিরিলিক এবং ল্যাটিন অক্ষরে লেখা হয়, তাই বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই একসাথে দু’রকম লেখা শিখতে হয়৷ ক্লাস ওয়ানে শিখতে হয় সিরিলিক অক্ষর, তারপর ল্যাটিন৷ কয়েক বছর পর ছাত্ররা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারা কোন ভাষাকে প্রাধান্য দিতে চায়৷
ছবি: DW/D. Gruhonjic
জার্মানি: শুনে শেখা
২০ বছর আগে থেকেই এই সিস্টেম বা মাধ্যমে বহু স্কুলে লেখা শেখানো হয়ে থাকে৷ শেখার সুবিধার জন্য বোর্ডে একটি জানালার ছবির পাশে শুধু ‘জ’ বা ঘড়ির পাশে ‘ঘ’ লেখা হয়৷ বাকিটা শিখতে হয় শুনে শুনে৷ সমালোচকদের অভিযোগ, এভাবে অনেক বাচ্চার পক্ষেই ঠিকমতো লেখা শেখা সম্ভব নয়৷ তবে এই নিয়মে পড়া শেখার ব্যাপারে কিন্তু তাড়াতাড়ি সাফল্য এসেছে৷
ছবি: Grundschule Harmonie
7 ছবি1 | 7
তিনি জানান, একটি ঘটনার কথা তিনি কখনোই ভুলতে পারবেন না৷ এক নারী তাঁর নবজাতক সন্তানকে এক মসজিদের সামনে রেখে এসেছিলেন৷ তিনি হয়ত আশা করেছিলেন, কেউ তাঁর সন্তানকে দেখে দয়াপরবশ হয়ে বাড়ি নিয়ে যাবে, তাকে বড় করে তুলবে৷
‘‘কিন্তু মসজিদের ইমাম বাচ্চাটাকে পাথর ছুড়ে মারতে বললেন৷ শিশুটির ছিন্নভিন্ন সেই দেহ আমি নিজে চোখে দেখেছি৷''
দোলনা
‘অনাকাঙ্ক্ষিত' এই শিশুদের হত্যা না করতে উৎসাহ দিতে ‘ঝোলা' নামে অনন্য এক প্রকল্প চালু করেছে এধি ফাউন্ডেশন৷ বাংলায় ‘ঝোলা' শব্দের মানে হলো দোলনা৷ একজন মা তাঁর ‘অনাকাঙ্ক্ষিত' শিশুটিকে হত্যা করার বদলে এধির দোলনায় রেখে যেতে পারেন এবং এ জন্য তাঁর পরিচয়ও প্রকাশ করতে হয় না৷
আনোয়ার কাজমি জানান, পাকিস্তানে তাদের তিনশরও বেশি ‘দোলনা কেন্দ্র' আছে, যেখানে এই শিশুদের রেখে যেতে পারেন তাদের বাবা-মায়েরা৷ এখানে আসতে তাঁদের ভয়ের কিছুই নেই, তারপরও সমাজের কথা ভেবে মানুষ অনেক সময় উৎসাহী হয় না৷
পাকিস্তানে গর্ভপাত নিষিদ্ধ হওয়ায় নবজাতক হত্যার সংখ্যাও বাড়ছে৷ কোনো বিবাহিত নারীর প্রাণ সংশয় তৈরি হলে কেবল তখনই তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়া হয়৷ তা না হলে কোনো অবস্থাতেই পাকিস্তানে ভ্রুণ হত্যার অনুমতি দেয়া হয় না৷
অন্যদিকে নবজাতক হত্যাও আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ, যদিও পাকিস্তানে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত' শিশুদের মেরে ফেলা অতটা গুরুতর অপরাধ বলে মনে করা হয় না৷