থ্রিডি প্রিন্টিং ধীরে ধীরে এমন এক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, যেখানে খালি চোখে আসল আর নকলের মধ্যে তফাত বোঝার জো নেই৷ জার্মান বিজ্ঞানীরা এক বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকলের মান আরও উন্নত করে তুলেছেন৷
বিজ্ঞাপন
একটি আপেল – দেখলে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সেটি আসলে থ্রিডি কপি৷ নকল বলে চেনার কোনো উপায় নেই৷ এর পেছনে যে প্রিন্টিং প্রযুক্তি রয়েছে, তা অক্টোপাসের কাছ থেকে ধার নেওয়া৷ অক্টোপাস গোত্রের কাটলফিশ ভোল বদলের কাজে ওস্তাদ৷ পরিবেশ অনুযায়ী সে নিজেকে এমনভাবে ক্যামোফ্লাজ করে ফেলে যে, শত্রুরা তাকে চিনতেই পারে না৷ নতুন ধরনের ত্রিমাত্রিক প্রিন্টিং প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সে এক নিখুঁত আদর্শ৷
ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউট-এর ড.ফিলিপ উরবান নতুন এই সফটওয়্যার উদ্ভাবন করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সত্যি আমরা কাটলফিশ থেকে প্রেরণা পেয়েছি, কারণ সে কম রং নিয়েও নিখুঁতভাবে পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে মিশে যেতে পারে৷ তার ত্বকে ‘ক্রোম্যাটোফোর' নামের ক্ষুদ্র রংয়ের ঝুলি রয়েছে৷ তা দিয়ে সে পানির নীচে সব রকম রং মেলে ধরতে পারে৷ এমনকি তার ত্বকের কাঠামো ও বিন্যাসও ফুটে ওঠে৷ একইভাবে আমাদের সফটওয়্যার থ্রিডি প্রিন্টিং করে৷''
কয়েকটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির খবর
আজকাল প্রযুক্তি এত দ্রুত বদলায় যে কোনটা যে সর্বাধুনিক আর কোনটা নয়, সেটা বোঝা যায় না৷ তবে সব সর্বাধুনিক প্রযুক্তিই যে কাজের তা কিন্তু নয়৷ এই ছবিঘরে থাকছে কয়েকটি প্রযুক্তির কথা৷ পড়ে দেখুন তো কোনটা আপনার চাই?
ছবি: DW/Jennifer Fraczek
স্মার্টফোন যখন ক্যামেরা
শিরোনাম পড়ে মনে হতে পারে এ আর নতুন কি? স্মার্টফোনের সঙ্গে তো ক্যামেরা থাকেই৷ কিন্তু এখানে যার কথা বলা হচ্ছে সেটা হচ্ছে একটা লেন্স, যেটা ওয়াই-ফাই-এর মাধ্যমে স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত করা যায়৷ সেক্ষেত্রে স্মার্টফোনের স্ক্রিনটা হয়ে যায় ‘ভিউফাইন্ডার’৷ আরও জানা যাবে এই ভিডিওটি দেখলে http://www.youtube.com/watch?v=VgihmrJg7cw ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাঁকানো স্ক্রিনের টিভি
এটি স্যামসাং-এর ৫৫ ইঞ্চি আলট্রা-এইচডি টেলিভিশন৷ এর বিশেষত্ব, এটি বিশ্বের প্রথম ইউএইচডি টিভি যার স্ক্রিনটা বাঁকানো৷ কবে নাগাদ এবং কত দামে এই টিভিটি কিনতে পাওয়া যাবে সেটা এখনো জানায়নি স্যামসাং৷ সনিও সম্প্রতি বাঁকানো স্ক্রিনের টিভি এনেছে৷ সুতরাং বলা যায়, ভবিষ্যতটা বাঁকানো টিভির৷
ছবি: Reuters
হাওয়ায় লিখুন!
কলম দিয়ে লেখার জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম দরকার৷ কিন্তু শূন্যে বা হাওয়ায় লেখা যেতে পারে, এমনটা ভেবেছেন কখনও৷ ‘৩ডুডলার’ কলম দিয়ে সেটা সম্ভব৷ এটাকে বলা হচ্ছে বিশ্বের প্রথম থ্রিডি কলম৷ বিস্তারিত জানতে যেতে পারেন এই ওয়েবসাইটে http://www.the3doodler.com/ ৷
ছবি: the3doodler.com
গুগল গ্লাস
গুগলের এই চশমাটি নিয়ে আলোচনা কম হয়নি৷ ইন্টারনেট সংযোগের কারণে এই চশমা দিয়ে করা যাবে অনেক কিছুই৷ শোনা যাচ্ছে, আগামী বছরের কোনো এক সময় সেটা বাজারে আসতে পারে৷
ছবি: picture alliance/ZUMA Press
স্মার্টওয়াচ
স্মার্টওয়াচের কাজ শুধু সময় প্রদর্শনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়৷ এর কর্মকাণ্ড পিডিএ-র (ব্যক্তিগত ডিজিটাল সহযোগী) সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে৷ তবে স্মার্টওয়াচে পিডিএ-র সকল সুবিধা ছাড়াও রয়েছে ক্যামেরা, ম্যামোরি কার্ড এবং ওয়াইফাই সুবিধা৷ ইতিমধ্যেই বাজারে স্মার্টওয়াচ পাওয়া যাচ্ছে৷ গুগল আর অ্যাপলের স্মার্টওয়াচও শিগগিরই পাওয়া যাবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ল্যান্ডফোন + স্মার্টফোন
প্যানাসনিক এর ‘কেএক্স-পিআরএক্স১৫০’ প্রথমে দেখলে মনে হবে স্মার্টফোন৷ কিন্তু আসলে এটা ল্যান্ডফোন৷ জার্মানির বাজারে এই হাইব্রিড ফোনের দাম ১৯৯ ইউরো৷
ছবি: DW/D. Visevic
বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিভি
বলুন তো, এই টিভিটা কত ইঞ্চির? ১১০ ইঞ্চি মাত্র! সামস্যাং কোম্পানির এই টিভিটি বিশ্বের সবচেয়ে বড়৷ ২০১৪ সালের মার্চ এপ্রিল নাগাদ এটি বাজারে আসবে৷ কিনতে চান সেটা? দাম ৬২ হাজার ডলার মাত্র!
ছবি: imago/Stefan Zeitz
ট্যাবলেট, নোটবুক একসঙ্গে
কম্পিউটার জগতে নতুন খবরের মধ্যে রয়েছে ট্যাবলেট আর নোটবুকের সংযোগ৷ উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে ‘এসার অ্যাস্পায়ার পিথ্রি’-র কথা৷ এই যন্ত্রটিকে নোটবুক হিসেবে যেমন ব্যবহার করা যাবে, তেমন কি-বোর্ডটি ভাঁজ করে এটিকে বানানো যাবে ট্যাবলেট৷
ছবি: DW/Jennifer Fraczek
8 ছবি1 | 8
গবেষকরা প্রিন্টিং-এর ক্ষেত্রে যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, ক্যামোফ্লাজ করতে কাটলফিশ-এরও সেই একই সমস্যার মুখে পড়তে হয় – অর্থাৎ ত্বকের মধ্যে সীমিত সংখ্যার রং দিয়ে পারিপার্শ্বিকের নিখুঁত নকল করা৷ ড. উরবান বলেন, ‘‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, এই সিস্টেম মাত্র চারটি উপাদান ব্যবহার করতে ও একটি বস্তুর মধ্যে তার কম্বিনেশন করতে পারে৷ অথচ আমাদের আশেপাশের জগত রংয়ে ভরা৷ অর্থাৎ এই সব উপাদানকে এমনভাবে সাজাতে হয়েছে, যাতে ত্রুটিগুলি – মানুষের চোখে ধরা পড়ে না – এমন অংশে সরিয়ে দেওয়া হয়৷''
ডার্মস্টাট শহরে ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটের তৈরি ওয়েবসাইট-ভিত্তিক এই প্রিন্টার সফটওয়্যার আসলে এক ধরনের ‘ইউনিভার্সাল প্রিন্টার ড্রাইভার', যা সব থ্রিডি প্রিন্টারে কাজে লাগানো সম্ভব৷ প্রিন্টিং-এর পর বস্তুটি কেমন দেখাবে, ‘প্রিভিউ'-এর মাধ্যমে আগেই তা দেখে নেওয়া যায়৷ ফলে ভুলত্রুটি আগেই শুধরে নেওয়া যাবে৷ মনে রাখতে হবে, প্রিন্টিং-এর উপাদান এখনো খুব দামি, এক কিলোর দাম প্রায় ৪০০ ইউরো৷
ডার্মস্টাট শহরের বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণার জন্য সবচেয়ে নতুন প্রজন্মের থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করছেন৷ প্রিন্টারের ‘নজল' চার রকম বিশেষ কালি নিক্ষেপ করে৷ মূল বস্তুটির জন্য ম্যাজেন্টা, সায়ান, ব্লু ও হোয়াইট – মুদ্রনের জগতে যাকে সিএমওয়াইকে বলা হয়৷ এছাড়া ফাঁপা অংশকে মজবুত করতে বিশেষ উপাদান যোগ করা হয়৷ ড. উরবান বলেন, ‘‘তথাকথিত তরল ফটো-পলিমার-এর সাহায্যে প্রিন্ট করা হয়৷ এটা এক ধরনের কালি, যা ইংক-জেট প্রক্রিয়ায় স্প্রে করা হয়৷ সাধারণ ইংক-জেট প্রিন্টার যেমনটা করে থাকে৷ এরপর আল্ট্রা ভায়োলেট বা অতি বেগুনি রশ্মি দিয়ে কালিকে শক্ত করা হয়, একের পর এক স্তরে নকল বস্তুটি গড়ে তোলা হয়৷''
হাতের মুঠোয় স্বপ্নের মায়াজাল
কল্পবিজ্ঞান নয়, উইন্ডোস চশমা পরে হাত নাড়িয়ে ত্রিমাত্রিক জগতে প্রবেশ করা যাবে কিছুদিন পরেই৷ হাতের ঘড়িই হয়ে উঠছে স্মার্টফোনের সম্প্রসারিত সংস্করণ৷ প্রযুক্তির জগতে এসে চলেছে এমন একের পর এক চমক৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Elaine Thompson
মাইক্রোসফট-এর হলো-লেন্স
কম্পিউটার, ট্যাবলেট বা স্মার্টফোনের পর্দা নয়, চারিপাশের বাস্তব জগতের মধ্যেই থ্রিডি ভারচুয়াল কম্পিউটিং এনে দেবে মাইক্রোসফট-এর হলো-লেন্স৷ হলো-লেন্স প্রযুক্তিতে চশমা পরে শুধু আঙুলের ইশারায় আপনার পছন্দমতো ফুটে উঠবে সব কিছু৷ চাইলে এমনকি মঙ্গলগ্রহের বুকেও হেঁটে বেড়াতে পারবেন৷ উপরে ডানদিকে + চিহ্নে ক্লিক করে এখনই তার স্বাদ পেতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Elaine Thompson
সিস্টেম এক, ডিভাইস অনেক
এতকাল কম্পিউটার, ট্যাবলেট ও স্মার্টফোন ছিল পরস্পরের থেকে আলাদা৷ কিছু ক্ষেত্রে শুধু ‘সিনক্রোনাইজ’ করা যেত৷ ‘উইন্ডোস টেন’ এই সব ডিভাইসকেই একই সূত্রে বেঁধে ফেলতে চলেছে৷ ফলে স্মার্টফোনে কাজ শুরু করে ট্যাবলেট বা ল্যাপটপে সেটি শেষ করতে আর অসুবিধা হবে না৷
ছবি: Joe Raedle/Getty Images
স্মার্টফোনই হবে কম্পিউটারের প্রতিফলন
‘উইন্ডোস টেন’ এমনকি স্মার্টফোনের মধ্যেও কম্পিউটারের কাজ সেরে ফেলতে পারবে৷ মাইক্রোসফট অফিস তো থাকবেই, এছাড়াও পেশাগত অনেক কাজ সেরে ফেলা যাবে ফোনের মধ্যে৷ তবে স্মার্টফোনের বাজার দখলের ক্ষেত্রে এতকাল অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপেল-এর তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে মাইক্রোসফট৷ নতুন অপারেটিং সিস্টেম সেই প্রবণতা বদলাতে পারে কিনা, সেটাই দেখার জন্য অপেক্ষা করছে প্রযুক্তি জগত৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অ্যাপল-এর সাফল্য
ব্র্যান্ড হিসেবে অ্যাপল কোম্পানি এই মুহূর্তে তার সাফল্যের তুঙ্গে৷ বিশ্বের অন্য কোনো কোম্পানি একটি মাত্র কোয়ার্টারে ১৮ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করতে পারেনি, যেমনটা অ্যাপল সম্প্রতি করে দেখালো৷ নতুন আইফোন বিক্রির ফলেই এই অভাবনীয় আর্থিক সাফল্য এসেছে৷
ছবি: Getty Images/J. Sullivan
আইফোন
হার্ডওয়্যার ও অপারেটিং সিস্টেম – দুটোই নিজে তৈরি করে আসছে অ্যাপেল৷ বিশেষ করে আইফোন-এর ক্ষেত্রে ব্যবসার এই মডেল সার্থক প্রমাণিত হয়েছে৷ শুধু অসাধারণ ফিচার্সের কারণে নয়, অনেকের কাছে হালের আইফোন থাকাটা ‘স্ট্যাটাস সিম্বল’-ও৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ঘড়ির মধ্যেই জগত
আইফোন-এর সাফল্য আইওয়াচ-এর ক্ষেত্রেও ঘটবে বলে আশা করছে অ্যাপল কোম্পানি৷ একদিকে আইফোন-এর যোগ্য সঙ্গী হবে এই ঘড়ি, অন্যদিকে কবজিতে থাকার ফলে রক্তচাপ সহ শরীরের অন্যান্য অনেক ক্রিয়াও নিয়মিত মাপতে পারবে এই ডিভাইস৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Davey
সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড
সংখ্যার বিচারে অ্যাপল-এর তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে গুগল কোম্পানির অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম৷ বিশ্বে স্মার্টফোনের বাজারে তাদের আধিপত্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ আইফোনের তুলনায় অনেক সস্তায় বিক্রি হয় একাধিক কোম্পানির অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন৷
ছবি: Getty Images
চীন থেকে নতুন চ্যালেঞ্জ
অ্যাপল, গুগল বা মাইক্রোসফট-এর মতো অ্যামেরিকান কোম্পানির আধিপত্যে ভাগ বসাতে চায় চীনের ‘শিয়াওমি’ কোম্পানি৷ স্মার্টফোন সহ অন্যান্য ডিভাইস নিয়ে বিশ্বের বাজারে বড় আকারে প্রবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা৷ তাদের হালের ‘মি নোট’ স্মার্টফোন নাকি ‘আইফোন সিক্স’-কে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখে৷
ছবি: AFP/Getty Images
8 ছবি1 | 8
নেফারটিটি-র আবক্ষ মূর্তি থেকে এই সফটওয়্যার কয়েক হাজার স্তরের ছবি তুলেছে৷ সেগুলির সাহায্যে একের পর এক স্তর ‘প্রিন্ট' করা যায়৷ জটিল অ্যালগোরিদম-এর মাধ্যমে মূল বস্তুর অত্যন্ত বাস্তবসম্মত নকল গড়ে তোলা হয় – একেবারে উন্নততম হাই-রেজোলিউশন থ্রিডি প্রযুক্তিতে৷ এক বর্গ সেন্টিমিটারে প্রিন্টারটি ৯০ লাখ বিন্দু স্প্রে করে৷ গবেষকরা অবশ্য শুধু বস্তুর আকার ও তার সারফেস নকল করে সন্তুষ্ট নন৷ ড. উরবান বলেন, ‘‘শুধু আকার ও বিন্যাস ফুটিয়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য নয়৷ অন্যান্য ‘এফেক্ট'-ও নকল করতে চাই – যেমন বস্তুটির আলোকচ্ছটা, আলোর সামনে তার স্বচ্ছতার মাত্রা, প্রতিফলন ইত্যাদি৷ অর্থাৎ বস্তুটি ঘোরালে যাতে নানারকম রং সৃষ্টি হয়৷ আসলে আমরা আমাদের চারিপাশের জগত নকল করতে চাই৷''
আলোর সামনে স্বচ্ছতার মাত্রার ক্ষেত্রে গবেষকরা যে সাফল্য অর্জন করেছেন, তার জন্য তাঁরা গর্ব অনুভব করেন৷ শুধু বাইরের দৃশ্যমান স্তরেই রং ব্যবহার করা হয়৷
বস্তুর ত্রিমাত্রিক নকল প্রিন্ট করার প্রবণতা বেড়েই চলেছে৷ গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রিন্ট করা হয়৷ কখনো হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়া থেকে শিল্পসামগ্রী রক্ষা করা হয়, কখনো বা নতুন কোনো পণ্যের বিকাশের প্রক্রিয়া এভাবে আরও দ্রুত করে তোলা হয়৷