অবিলম্বে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের আলোচনায় বসতে বললো জার্মানি
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শীর্ষ নেতাদের ভাষণের পরেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পালা আসে৷ জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবার নিউ ইয়র্ক যেতে পারেন নি, পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে'কে৷ বক্তাদের তালিকায় তাঁর স্থান ছিল একেবারে পেছনের দিকে৷ গত বছরও তিনি জাতিসংঘে জার্মানির প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন৷ তখন ভাইস চ্যান্সেলার হিসেবে আগেই ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন৷
ভেস্টারভেলে সোমবার মধ্যপ্রাচ্য সংকট সম্পর্কে জার্মানির অবস্থান তুলে ধরেন৷ কিন্তু ততক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ নেতারা তল্পিতল্পা গুছিয়ে চলে গেছেন৷ ফলে তাঁদের আর ভেস্টারভেলের বক্তৃতা শোনা হলো না৷ অনেক আসন একেবারে খালি ছিলো৷ দর্শকদের আসনেরও প্রায় একই দশা৷
যাই হোক, ভেস্টারভেলে তাঁর ভাষণে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে আলোচনার টেবিলে ফিরে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, দুই পক্ষেরই নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে বটে, কিন্তু সংলাপের মাধ্যমে একটা বোঝাপড়ায় আসা মোটেই অসম্ভব নয়৷ উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস প্যালেস্টাইনকে জাতিসংঘের পূর্ণ মর্যাদার সদস্য পদের জন্য আবেদন পেশ করেন৷ আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা গোষ্ঠী বা কোয়ার্টেট দুই পক্ষের উদ্দেশ্যে এক মাসের মধ্যে আলোচনা শুরু করার জন্য চাপ দিচ্ছে৷ নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য হিসেবে জার্মানি এই প্রশ্নে কী অবস্থান নেবে, ভেস্টারভেলে তা অবশ্য বলেন নি৷ ঐতিহাসিক কারণে ইসরায়েলের নিরাপত্তা যে ফেডারেল জার্মান রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তির মধ্যে পড়ে, তা আবারো জোর দিয়ে বলেন ভেস্টারভেলে৷
নিজের দেশে, নিজের দলে, সরকারি জোটে রাজনীতিক হিসেবে ভেস্টারভেলের গুরুত্ব দিন দিন কমেই চলেছে৷ তাছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে ন্যাটোর লিবিয়া অভিযানের প্রশ্নে ভোটদানে বিরত থাকায় আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তিনি বেশ একঘরে হয়ে পড়েছেন৷ জার্মান সংবাদমাধ্যমের একাংশ তাঁর ভূমিকায় নতুনত্ব খুঁজতে তাঁর চোখে নতুন চশমার উল্লেখ করেছে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ