1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে ইউনূস

৩ মার্চ ২০১১

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল জয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস অবশেষে ঢাকায় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন৷ কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল ইউনূসকে অব্যাহতি আদেশ দেয়৷ এই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন ইউনূস৷

বাংলাদেশ এবং বিদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় প্রফেসর ইউনূসছবি: AP

বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মুহাম্মদ ইউনূসের করা রিট আবেদনের ওপর এক দফা শুনানি হয়েছে৷ এতে নোবেল বিজয়ীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন ড. কামাল হোসেন৷

অপর বার্তা সংস্থা বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করছেন ডক্টর কামাল হোসেন৷ তিনি শুনানিতে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ড. ইউনূসের অব্যাহতি অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন৷

শুনানির সময় ক্ষদ্রঋণের জনক আদালতেই উপস্থিত ছিলেন৷ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিচারপতি মো. মমতাজউদ্দিন আহমেদ ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানি শুরু হয়৷ দুপুর একটায় শুনানি মুলতবি করা হয়েছে৷ দুপুরের পর আবারো শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে৷

২০০৬ সালে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল জয় করেন প্রফেসর ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংকছবি: AP

এর আগে, বুধবার ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷ এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে অনির্দিষ্টকালের জন্য মুহাম্মদ ইউনূসের নিয়োগের ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ '৮৩-এর ১৪(১) ধারা অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন নেওয়া হয়নি৷ তাই ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে মুহাম্মদ ইউনূসের বহাল থাকা বৈধ নয়৷

বলাবাহুল্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই অব্যাহতি আদেশ জারির পর এর বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ের ঘোষণা দেন ইউনূস৷

এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন আগামী ৮ মার্চ এই বিষয়ে ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ ওয়াশিংটনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস৷ নরওয়ে সরকার ইউনূসকে অব্যাহতির খবরে দুঃখ প্রকাশ করেছে৷

উল্লেখ্য ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস৷ সে সময় ব্যাংকের মালিকানায় সরকারের শেয়ার বেশি থাকলেও ১৯৮৬ সালে এতে পরিবর্তন আসে৷ তখন ব্যাংকটিতে সরকার, কৃষি ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংকের শেয়ার দাঁড়ায় ২৫ শতাংশ৷ বাকি শেয়ারের মালিক গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণীরা৷ ২০০৬ সালে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল জয় করেন ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ