1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিবাসন – আমাদের চাওয়া-পাওয়া, আমাদের ভয়

ফল্কার ভাগেনার/এপিবি৮ ডিসেম্বর ২০১৪

সংখ্যা কিন্তু মিথ্যা বলে না৷ ২০১৩ সালে ৪ লাখ ৬৫ হাজার মানুষ জার্মানিতে স্থায়ীভাবে বসতি গেড়েছে, আগের যে কোনো বছরের তুলনায় তা অনেক বেশি৷ তাই হঠাৎই অভিবাসীদের দেশে পরিণত হয়েছে জার্মানি, এমনই ধারণা ডয়চে ভেলের ফল্কার ভাগেনার৷

Symbolbild Einwanderungsland Deutschland
ছবি: Getty Images

মাত্র কয়েক বছর আগেও জার্মানির সাংবাদিকদের কাছে একটা বিষয় নিয়ে লেখালেখি শুরু হয়েছিল, আর তা হলো জার্মানি থেকে প্রস্থান৷ ২০০৯ সালে ১ লাখ ৭৫ হাজার জার্মান নিজের দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি জমান৷ শ্রমিকরা ক্যানাডায়, শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে আর রন্ধনশিল্পে পারদর্শীরা দক্ষিণ আফ্রিকায়৷ এমনকি ইউরোপের অন্যান্য দেশেও অনেকে পাড়ি জমান৷ যাঁরা চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়ালেখা করেন, তাঁরা ভালো কর্মক্ষেত্রের সন্ধানে চলে যান নরওয়ে, যুক্তরাজ্য এবং সুইজারল্যান্ডে৷ কারণ একটাই, এ সব স্থানে উপার্জনের অঙ্কটা জার্মানি থেকে অনেক বেশি৷ এ ধরনের জার্মানদের উপরই তখন বেশি প্রতিবেদন করা হতো৷ উদ্দেশ্য – কী কারণে তাঁরা দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যান, সেটা বের করা৷ কিন্তু এটা ছিল কয়েক বছর আগের চিত্র৷

ডয়চে ভেলের ফল্কার ভাগেনারছবি: DW

বর্তমানে জার্মানির অবস্থা

বর্তমানে জার্মানিতে সাংবাদিকদের কাছে সবচেয়ে গরম খবর ‘অভিবাসন'৷ পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে যত অভিবাসী রয়েছে, তাঁদের প্রতি তিনজনের একজন জার্মানিতে অভিবাসী৷ ২০০৭ সালে যা ছিল প্রতি ৭ জনে একজন৷ ২০০৮ সালে ইউরোপে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়৷ তাই কাজের খোঁজে গ্রিস, পর্তুগাল, স্পেন থেকে অনেকেই চলে এসেছেন জার্মানিতে৷ তবে জার্মান ইন্ডাস্ট্রি আসলে এতদিন যা খুঁজছিল তা পেয়ে যায়, অর্থাৎ দক্ষ কিছু কর্মী, যা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অনেকটা ইতিবাচক পরিবর্তন আনে৷

অর্থনৈতিক উন্নয়নে অভিবাসীদের প্রয়োজন

২০০৮ সালে অর্থনৈতিক মন্দার পর ইউরোপের প্রতিটি কোণায় যখন বেকারত্বের হার চরমে পৌঁছে গিয়েছিল, সেখানে জার্মানিতে অর্থনীতি হয়ে উঠছিল শক্তিশালী৷ কেবল কর্মী সংখ্যার দিক থেকেই নয়, মানের দিক থেকেও জার্মানি হয়ে উঠল এক নম্বর৷ ছয় বছর আগের কথা, তখন অভিবাসীদের মাত্র ২৭ শতাংশের ছিল উচ্চ শিক্ষার সনদ, এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশে৷

জার্মান অভিবাসন নীতিও ভীষণ গোছানো৷ কেবল রাজনীতি নয়, চেম্বার অফ কমার্স, শহর এবং বিভিন্ন সম্প্রদায় দক্ষ জনশক্তি গড়তে কাজ করে যাচ্ছে৷ এ জন্য অভিবাসীদের মধ্যে দক্ষ ব্যক্তি থাকলে তাঁদের গড়ে তোলার জন্য রয়েছে তহবিল৷ ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমন একটি কর্মসূচি রয়েছে, যার নাম ‘মোবিপ্রো'৷ এই কর্মসূচির আওতায় ইউরোপের নানা দেশের ৯,০০০ তরুণ জার্মানিতে আসার আগ্রহ দেখিয়েছে, যা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি৷

জার্মানি দিন দিন বদলাচ্ছে৷ তবে জার্মানিতে সম্পর্কটা আসলে আদান-প্রদানের৷ আপনি যতটা দেবেন, ততটাই ফেরত পাবেন৷ অর্থাৎ জার্মানির প্রয়োজন দক্ষ কর্মী, আর এ কারণেই তাদের অভিবাসী প্রয়োজন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ