শরণার্থী সংকট নিরসনে নতুন আইনের কথা ভাবছে ইইউ৷ অভিবাসন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য একটি কেন্দ্রীভূত প্রক্রিয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
ইউরোপীয় কমিশন থেকে সম্প্রতি যে গোপন নথিপত্র ফাঁস হয়েছে তা থেকে অনুমান করা হচ্ছিল, অভিবাসনের জন্য সদস্য দেশগুলোকে একটি কেন্দ্রীভূত প্রক্রিয়া অনুসরণের প্রস্তাব দিতে চলেছে ইউরোপীয় কমিশন৷ ধারণা করা হচ্ছে, অভিবাসনের আবেদন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষের জ্ঞাতসারেই নেয়া হবে৷
তবে ডয়চে ভেলের ব্যার্ন্ড রিগার্ট ব্রাসেলস থেকে জানাচ্ছেন, বুধবার ইইউ-র যে সাপ্তাহিক বৈঠক হলো সেখানে এ বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি৷ বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রানস টিমারমানস৷ তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ মেয়াদে অন্য কিছু বিকল্পের কথা ভাবা হচ্ছে৷ বিকল্পগুলোর মধ্যে ব্যক্তিগত অভিবাসন আবেদনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য একটি কেন্দ্রীভূত ইউরোপীয় প্রক্রিয়া অনুসরণের বিষয়টিও রয়েছে৷ কিন্তু রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি নিয়ে এ মুহূর্তে কথা বলাটা বাস্তবসম্মত নয়৷ এ কারণে আজকের প্রস্তাবনায় এ বিষয়টি রাখা হয়নি৷''
অজানা গন্তব্যের দিকে ছুটছেন শরণার্থীরা
অন্তত দু’হাজারের মতো শরণার্থী গ্রিসের ইডোমেনি ক্যাম্প ছেড়ে চার ঘণ্টার মতো হেঁটে ম্যাসিডোনিয়ায় প্রবেশে সক্ষম হয়েছে৷ এ জন্য তাদের একটি নদী পাড়ি দিতে হয়েছে, যেখানে তলিয়ে গেছেন অন্তত তিনজন শরণার্থী৷
ছবি: DW/D.Tosidis
কোনো এক উপায়ের সন্ধানে
শিশু, পরিবারসহ শত শত শরণার্থী ইডোমিনি শরণার্থী শিবির থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন সোমবার সকালে৷ উদ্দেশ্য গ্রিস-ম্যাসিডোনিয়া সীমান্তের কোন অরক্ষিত অংশ থেকে ম্যাসিডোনিয়ায় প্রবেশ করা৷
ছবি: DW/D.Tosidis
সাহসিকতার পরিচয়
ম্যাসিডোনিয়ায় প্রবেশের আশায় এক উত্তাল নদী এভাবে পাড়ি দিয়েছেন শরণার্থীরা৷ কাঁটাতারের বেড়া নেই সীমান্তের এমন অংশ খুঁজে পেতে তাদের প্রানান্ত চেষ্টা৷
ছবি: DW/D.Tosidis
ভয়, আতঙ্ক
উত্তাল নদী পাড় হতে গিয়ে ভয় পাওয়া এক অল্প বয়সি শরণার্থীকে সাহায্যে এগিয়ে আসেন অন্য শরণার্থীরা৷
গ্রিক সীমান্তের গ্রাম চামিলোর, যেটি কিনা সীমান্ত থেকে মাত্র এক দশমিক পাঁচ কিলোমিটার দূরে, বাসিন্দারা এভাবেই পানি দিয়ে সহায়তা করেছেন লম্বা পথ পায়ে হেঁটে অতিক্রম করা শরণার্থীদের৷
ছবি: DW/D.Tosidis
চরম দুর্দশা
ক্লান্ত এবং দুর্বল শরণার্থীরা নদী পাড় হতে গিয়ে চরম দুর্দশায় পতিত হন৷
ছবি: DW/D.Tosidis
সতর্ক বার্তা
শরণার্থীদের মিছিল দেখার পর সম্ভবত পুলিশকে ফোন করেন ডানের এই স্থানীয় বাসিন্দা৷
ছবি: DW/D.Tosidis
সেনাবাহিনীর হুমকি
ম্যাসিডোনিয়া সীমান্তে শরণার্থীদের প্রথমাংশ প্রবেশের কিছু পরেই সেখানে হাজির হন সেদেশের সেনাবাহিনী৷
ছবি: DW/D.Tosidis
মার খাওয়া এবং পোড়া
এক আফগান শরণার্থী দাবি করেছেন, ম্যাসিডোনিয়ার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের পর পিটিয়েছে এবং গাল পুড়ে দিয়েছে৷
ছবি: DW/D.Tosidis
9 ছবি1 | 9
অভিবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আরো আলোচনা হবে৷ আলোচনা শেষে প্রস্তাবিত আইনের খসড়া ইউরোপীয় কমিশন মন্ত্রণালয় এবং সংসদের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে৷
ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপাতত যে দু'টি বিকল্প বিবেচনায় রেখেছে সেগুলোর একটিতে বলা হয়েছে, অভিবাসন প্রক্রিয়ার মৌলিক দিকগুলো একই থাকবে৷ ডাবলিন রেগুলেশনও কার্যকর থাকবে৷ শুধু জরুরি পরিস্থিতিতেই তার ব্যত্যয় হতে পারে৷ তাছাড়া অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যে দেশে প্রথম আসবে সে দেশকেই অভিবাসন প্রক্রিয়ার পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে৷ বাস্তবে এমনটি হওয়া কঠিন, কেননা, অভিবাসনপ্রত্যাশীরা প্রথমে গ্রিস না হয় ইটালিতে আসছেন৷ এই দু'টি দেশের পক্ষে এত অভিবাসনপ্রত্যাশীর দায়িত্ব নেয়া বাস্তবসম্মত নয় বলেই বিশ্লেষকরা মনে করেন৷
দ্বিতীয় বিকল্পে থাকছে ডাবলিন রেগুলেশন বাতিলের প্রস্তাব৷ টিমারমানস জানান, ‘‘কোন দেশ অভিবাসনের আবেদন সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার জন্য দায়ী হবে এ বিষয়ের শর্তাবলী আমরা বদলে নিতে পারি৷'' আর এই শর্ত পরিবর্তনের ভাবনা থেকেই বিবেচনায় আসছে অভিবাসনের আবেদন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গ্রহণের সম্ভাবনা৷
অভিবাসন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এই কেন্দ্রীভূত প্রক্রিয়া নিয়ে আপনার মত কী?
যেভাবে জার্মান শিখছেন উদ্বাস্তুরা
একদল রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী বন শহরের রাস্তা, বাজারঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন জার্মান ভাষাশিক্ষার কাজে৷ সেই সঙ্গে জার্মানির মানুষজন ও সংস্কৃতিও কিছুটা চেনা হয়ে যাচ্ছে৷ একেই বলে বোধ হয় ‘প্রোঅ্যাকটিভ’ পন্থায় ভাষা শেখা!
ছবি: DW/M. Hallam
উদ্বাস্তুদের জন্য ভাষাশিক্ষার পাঠক্রম
জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া এক কথা, এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা আরেক কথা৷ কারণ তার জন্য প্রয়োজন জার্মান ভাষা শেখা৷ সেটা তো শুধু ক্লাসরুমের বেঞ্চিতে বসেই নয়, বাস্তব ও ব্যবহারিক জীবনেও জার্মান ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু শেখা যায় – যেমন বন শহরের পথেঘাটে৷
ছবি: DW/M. Hallam
‘ইন্টেগ্রেশন কোর্স’
বিদেশি-বহিরাগতকে সমাজে অন্তর্ভুক্ত করা, সমাজের অংশ করে তোলাকে জার্মানে বলে ‘ইন্টেগ্রেশন’৷ এসিবি লিঙ্গুয়া ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য একটি বিশেষ ইন্টেগ্রেশন কোর্স চালু করেছে৷ সেই কোর্স অনুযায়ী পড়ুয়াদের মাঝেমধ্যে ক্লাসরুম ছেড়ে পথে বেরিয়ে অচেনা পথচারী বা দোকানিদের জার্মানে প্রশ্ন করতে বলা হয়েছে: ‘আচ্ছা, এটা কী ফল? ঐ সবজিটার নাম কী?’
ছবি: DW/M. Hallam
আনারসের আর্বি যেন কী?
দেখলে চিনতে পারার কথা৷ দামটা না লিখলেও চলে, কিন্তু ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে...৷
ছবি: DW/M. Hallam
পরীক্ষায় নকল নয়, তবে শর্টকাট চলে
ছাত্রদের বলে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ব্যবহার না করতে, বরং রাস্তা বা অন্যান্য খোঁজখবরের জন্য মানুষজনকে জার্মানে প্রশ্ন করতে৷ কিন্তু ধরুন যদি বাসাম-এর মতো কাউকে পাওয়া যায়, যে জার্মান আর আর্বি, দু’টো ভাষাই জানে, তাহলে তো পোয়াবারো!
ছবি: DW/M. Hallam
বেটোফেন যেন কবে জন্মেছেন?
লুডভিশ ফান বেটোফেন সম্ভবত বন শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত সন্তান৷ জন্মেছিলেন ১৭৭০ সালে, শহরের মূল চত্বরের কাছের একটি গলিতে বেটোফেনের জন্মের বাড়ি না দেখলে, বন-এ কিছুই দেখা হলো না৷ রাদওয়ান আয়ুজ ও তাঁর ছেলে আলি অতিকষ্টে বেটোফেনের জন্মের তারিখটা খুঁজে বার করেছেন৷
ছবি: DW/M. Hallam
রাস্তাঘাট চেনা
টিমকে হয়ত বলে দেওয়া হয়েছে, ‘ফ্রিডেন্সপ্লাৎস’, মানে শান্তির চত্বরে যাও৷ অথবা ৬০৮ নম্বর বাস কোথায় যাচ্ছে? পরের বাসটা আসবে কখন? বাসটা আবার থামে একটি উদ্বাস্তু আবাসের কাছে, যেখানে দলের অনেকের বাস৷
ছবি: DW/M. Hallam
বন থেকে চিঠি
কোথাও বসে পোস্টকার্ড লেখা হলো ক্লাসের নতুন কাজ৷ তার জন্যে পোস্ট অফিসে গিয়ে স্ট্যাম্প কিনে, পোস্টকার্ডে সেঁটে পোস্ট করতে হবে৷ স্ট্যাম্পের ‘রিসিট’ রেখে দিতে হবে৷
ছবি: DW/M. Hallam
পয়েন্ট মানেই ‘প্রাইজ’
এরপরেও ডয়চে ভেলের রিপোর্টার যে দলটির সাথে ছিলেন, তাঁরা খুব ভালো ফলাফল করতে পারেনি – সম্ভবত রিপোর্টারের কচকচানি, তার ওপর আবার রিপোর্টারকে কোনো প্রশ্নের উত্তর জিগ্যেস করা চলবে না, এই কারণে৷