ফেডারেল পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ২০১২ সালে ১০ লক্ষেরও বেশি বিদেশি জার্মানিতে এসেছেন৷ স্পেনিশ, গ্রিক ও পর্তুগিজদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে৷ নতুন অভিবাসীদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই উচ্চ শিক্ষিত৷
বিজ্ঞাপন
নবাগতরা অবশ্য জার্মানিতে এসে নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হয়৷ তাদের মনে প্রশ্ন জাগে, কোথায় আমি একটি ভালো কাজের সুযোগ পাব, কোন কোন ডিগ্রি জার্মানিতে স্বীকৃত, নতুন জীবনযাত্রায় কীভাবে খাপ খাওয়াতে পারব, আমি কী এখানে থাকতে পারব? ইত্যাদি ইত্যাদি৷ এইসব প্রশ্নের দ্রুত সন্তোষজনক উত্তর খুঁজে না পেলে জার্মানি এমন সব মানুষকে হারাবে, যারা জনসংখ্যা হ্রাস, বার্ধক্যের হার বৃদ্ধি, বিশেষজ্ঞের অভাব ইত্যাদি রোধে সাহায্য করতে পারতো৷ এই আশঙ্কাই সমাজ গবেষক রাজনীতিবিদদের৷
আইনকানুনের মারপ্যাচ
নতুন অভিবাসীরা জার্মানিতে এসে জটিল আইনকানুনের মারপ্যাচে খেই হারিয়ে ফেলেন৷ কোন বিষয়ের দায়িত্ব কোন কর্তৃপক্ষের হাতে – তা বুঝে উঠতে পারেন না৷
অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রসচিব এর্ন্সট বুর্গবাখার ডয়চে ভেলের সাথে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা স্বীকার করে বলেন, জার্মানিতে অভিবাসীদের স্বাগত জানানোর চেয়ে প্রত্যাখ্যান করার একটা প্রবণতা চলে আসছিল বহুদিন ধরে৷ ‘‘সারা বিশ্বের মানুষদের জানা উচিত, যে তারা এখানে স্বাগত৷'' বুর্গবাখার জানান, জার্মানিতে কাজের অনুমতি পাওয়ার জন্য আয়ের নির্ধারিত পরিমাণ কমানো হবে৷ বিরোধী দল অবশ্য একে অন্তঃসার শূন্য প্রতিশ্রুতি বলে মনে করে৷
জার্মানির এক তৃতীয়াংশ মানুষ বিষণ্ণতায় ভোগেন
আবহাওয়া কি আপনার মনেও প্রভাব ফেলে?
ছবি: imago/CHROMORANGE
শরীর ও মনে আবহাওয়ার প্রভাব
জলবায়ু পরিবর্তন সারা বিশ্বেই প্রভাব ফেলেছে৷ জার্মানির মনোরোগ ক্লিনিকের হিসেবে আনুমানিক দুই কোটি ৫০ হাজারেরও বেশি জার্মান আবহাওয়ার কারণে মানসিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন৷ কোনো না কোনোভাবে তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার৷ তবে পুরুষদের তুলনায় মেয়েরাই বিষণ্ণতায় বেশি ভোগেন৷ অন্যদিকে, তরুণদের চেয়ে বয়স্করা যেমন বেশি ভোগেন, তেমনই সুস্থ মানুষদের চেয়ে অসুস্থদের সমস্যা বেশি হয়৷
ছবি: Fotolia/Adam Gregor
ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা
এখন আর আগের মতো সময় হিসেব করে কোনো কিছুই করা যেন সম্ভব হয়না, বাঁধ সাধে আবহাওয়া৷ অসময়ে বৃষ্টি, রোদ, ঝড়, ঠাণ্ডা বা গরম৷ আগে যেমনটা শোনা যেত বর্ষা, গরম বা শীতের অসুখ, এখন সারা বছরই মানুষের নানা অসুখ-বিসুখ লেগে আছে৷ তবে অসুখ কি শুধু শরীরের? না, মনকেও যে নানাভাবে আক্রান্ত করে এই উল্টোপাল্টা আবহাওয়া৷
ছবি: AFP/Getty Images
মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে
জার্মানিতে এবারের শীত সবাইকেই কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে৷ বলা যায়, এ বছর পুরো শীত ছিল প্রায় সাত মাস আর এখন জুন মাসেও মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে শীত পুরোপুরি ছেড়ে যায়নি৷ একদিন যদি একটু রোদের দেখা মেলে তো পরেরদিন আবার বৃষ্টি, অন্ধকার আর ঠাণ্ডা, সাথে প্রচণ্ড হাওয়া৷ এভাবেই চলছে গত কয়েকমাস থেকে৷ আর এই আবহাওয়ায় শরীর মন ঠিক রাখতে না পেরে মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে৷
ছবি: Fotolia/Creativa
বন্যা
গত কয়েক বছর থেকে অতি বৃষ্টির ফলে প্রায় প্রতিবছরই কম বেশি বন্যা হচ্ছে জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায়৷ যার ফলে গত কিছুদিনে জার্মানির বিভিন্ন অঞ্চলে নদীর পানি বেড়ে গেছে৷ কোলন এবং বন শহরে রাইন নদীর তীরে হাঁটতে যাওয়াও এখন একেবারেই বন্ধ৷ সেখানে ইতিমধ্যেই পড়ে গেছে ‘সাবধান’ লেখা সাইনবোর্ড৷
ছবি: picture-alliance/dpa
উইন্টার ডিপ্রেশন বা শীতকালের বিষণ্ণতা
বলা হয়, হেমন্ত থেকে বসন্ত পর্যন্ত শীতের বিষণ্ণতায় সময় কাটান জার্মানির মানুষ৷ শীতের পর যখন বসন্ত আসে, অর্থাৎ পাখির কিচিরমিচির, খানিকটা ঝকঝকে রোদের আলো দেখা দেয় দিগন্তে, তখন মানুষের চেহারায় আসে এক ধরণের উজ্জ্বলতা৷ সব কিছুতেই যেন তখন আনন্দের ছোঁয়া৷ গরমকে স্বাগত জানাতে মানুষ করে নানা পরিকল্পনা৷ কিন্তু এ বছর এখনও যে তার কিছুই বোঝা যাচ্ছে না!
ছবি: DW/S. Wünsch
ডাক্তারের মতামত
কয়েক বছর আগে অবসাদগ্রস্থ রোগীদের সমস্যার মধ্যে থাকতো মাথা ব্যথা বা ঘোরা, কম ঘুম হওয়া, বাতের ব্যথা, হাঁড়ে ব্যথা ইত্যাদি৷ এখন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এতটাই এলোমেলো সব যে, মানুষের সাধারণ মাথা ব্যথার সাথে যোগ হয়েছে মাইগ্রেনও৷ কাজ বা অন্য যে কোনো ব্যাপারেই কম আগ্রহ বা অমনোযোগ৷ অল্পতেই রেগে যাওয়া বা খাবারে অরুচি ইত্যাদি৷ কেউ কেউ আবার হার্টেরও সমস্যা বোধ করেন৷
ছবি: Fotolia/Peter Atkins
ছেলেরাও মাইগ্রেনের স্বীকার
এ ব্যথা সে ব্যথা নয়, রীতিমতো মাইগ্রেন৷ রাতে ঘুমের ভেতরই কখনও হয়ত এই ব্যথা শুরু হয়৷ মাইগ্রেনের সমস্যা আজকাল শুধু মেয়েদেরই নয়, প্রায় সময় ছেলেরাও অভিযোগ করেন এ সমস্যা নিয়ে, বিশেষ করে তাপমাত্রা এত ঘনঘন ওঠানামার কারণে৷ মাইগ্রেনের জন্য অনেককে কিন্তু নিয়মিত অসুধও খেতে হয়৷
ছবি: Fotolia/Amir Kaljikovic
ভিটামিন-ডি
আমাদের দেশে দেখেছি ছোট বাচ্চাদের গায়ে তেল দিয়ে রোদে শুইয়ে রাখা হতো ভিটামিন-ডি গ্রহণের জন্য৷ তবে বড়দের ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যেত না, রোদই সেটা পুষিয়ে দিত৷ কিন্তু এখন আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে অনেককে নিয়মিত ভিটামিন-ডি ট্যাবলেট খেতে হচ্ছে৷ জার্মানিতেও বাচ্চা হলে তাকে ভিটামিন-ডি ট্যাবলেট দুধের সাথে গুলিয়ে খাওয়ানো হয়৷ লক্ষ্যণীয়, রোদের অভাবে মানুষের মধ্যে আগের তুলনায় হাশিখুশি ভাবটাও যেন কমে যাচ্ছে৷
ছবি: DW/K. Hairsine
আগে থেকেই প্রস্তুতি
অনেকেই গত গরমের সময় সস্তায় কাপড়-চোপড় কিনে রেখেছেন এই গরমে পড়বেন বলে৷ কিন্তু তার যে তেমন কোনো সম্ভবনাই দেখা যাচ্ছে না৷ কাপড়গুলো ঝুলছে সেই আলমারিতেই৷ তাই সব প্রস্তুতিই এখন বৃথা৷
ছবি: DW/M.Braun
চলো যাই রোদের দেশে!
বিশ্বে জার্মানরা এমনিতেই ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে৷ আর এবার, লম্বা শীতের ডিপ্রেশনকে মোকাবিলা করতে ছটিতে যাওয়ার ইচ্ছে যেন আরো বেড়ে গেছে৷ ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো কিছুটা উষ্ণতা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশে যাওয়ার বিজ্ঞাপণ দিয়ে চলেছে৷ ইন্টারনেটেও রয়েছে আকর্ষণীয় অফার – তিউনিশিয়া, মালটা, স্পেন, ইটালি, মিশর, ব্রাজিল বা অন্যান্য দেশের সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার কত লোভনীয় হাতছানি!
ছবি: picture-alliance/Bildagentur Huber
বাগান প্রেমীরা বিষণ্ণ
বাগান প্রেমীরা বাগানে কাজ করতে পারছেন না, ফলে খুবই মনোকষ্টে আছেন তাঁরা৷ গত বছর ঠিক এ সময়ে বাগানে বাগানে ছিল প্রচুর ফুল আর ফল৷ যে ফুল ফোটার কথা ছিল গত এপ্রিল মাসে, সেগুলোই এই জুন মাসে অবশেষে একটু একটু করে ফুটতে শুরু করেছে৷
ছবি: picture-alliance/empics
বিষণ্ণতা থেকে নেশা
ঘরে বসে কিছু করার নেই, তাই কেউ কেউ মদ্যপানের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন৷ বেড়ে যাচ্ছে ধূমপান এবং অন্যান্য নেশাও৷ পছন্দের কিছু থাকুক আর না থাকুক, অনেকে সারাদিনই বসে থাকছেন টিভির সামনে আর খেয়ে চলছেন নানা রকম ফাস্টফুড বা অন্য কোনো তেলেভাজা জিনিস৷ ফলে ওজন তো বাড়েই, ডিপ্রেশনের মাত্রাও যায় বেড়ে৷ অনেকে আবার সহ্য করতে না পেরে বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথও৷
ছবি: Fotolia/lassedesignen
বিষণ্ণতা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী?
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. ভলকার ফাউস্ট বলেন, আবহাওয়ার কারণে বিষণ্ণ বা অবসাদগ্রস্থ মানুষদের সুস্থ থাকার জন্য কি করা দরকার, তা নিয়ে বহু আলোচনা হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন খুব কম৷ যেহেতু আবহাওয়ার ব্যাপারে মানুষের তেমন কিছু করার নেই, তাই তা মেনে নেওয়া ছাড়া তেমন কোনো উপায়ও নেই৷
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
প্রতিদিন কিছুটা ব্যায়াম করুন, হাঁটুন৷ তাহলে ভালো ঘুম হবে৷ ফিটনেস সেন্টারে যাওয়া সম্ভব না হলে টিভিতেই ব্যায়ামের অনুশীলন দেখে দেখে সাথে করুন৷ প্রতিদিন হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে পরে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে গা মুছে ফেলুন৷ গান শুনুন, ভালো বই পড়ুন৷ বন্ধুদের সাথে প্রাণ খুলে হাসুন, আড্ডা দিন, সিনেমা দেখুন৷ সোজা কথা, চিত্ত বিনোদনের জন্য যা করার এবং নিজের যা ভালো লাগে – সব করুন৷
ছবি: Fotolia/putilov_denis
বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন নেই
সব শেষে বলা যায়, কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না৷ যাতে মানুষের হাত নেই, তা ভেবে অসুস্থ হওয়ার কোনো যুক্তিও নেই৷ একথা মনে রাখলে যে কেউ কিছুটা হলেও সুস্থ বোধ করবেন, অন্তত মনের দিক থেকে৷ দেশের জন্য বা মানুষের জন্য কিছু করা সম্ভব হলে তার চেষ্টা করুন৷ তখন মন থাকবে নিজের আয়ত্বে, যেখানে বিষণ্ণতার তেমন কোনো জায়গা থাকবে না৷
ছবি: imago/CHROMORANGE
15 ছবি1 | 15
পয়লা জুলাই থেকে চাকরির ব্যাপারে একটি নতুন অধ্যাদেশ জারি হচ্ছে জার্মানিতে৷ এই বিধান অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলি থেকে আসা বিশেষজ্ঞদেরও চাকরির সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে৷ বিশেষ করে যে সব পেশায় লোকের অভাব রয়েছে৷ বছর খানেক ধরে নতুন এক আইন বলে বিদেশের পেশাগত ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে৷
স্বদেশে থেকেই তথ্য সংগ্রহ
স্বদেশে থেকেই জার্মানি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারাটা অভিবাসীদের জন্য বিশেষ জরুরি৷ এই লক্ষ্যে ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম ‘মেক ইট ইন জার্মানি'-তে একটি ইন্টারনেট পুল গড়ে তোলা হয়েছে৷ যাতে থাকে চাকরির বাজারের খবরাখবর৷ কোনো প্রশ্ন থাকলে সাহায্য পাওয়া যায় টেলিফোন-পরামর্শদাতার কাছে, প্রচলিত যে কোনো ভাষায়৷ ১০ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ এই সুযোগ সুবিধাটা গ্রহণ করেছে৷
জার্মানিতে কোনো কিছুর অনুমোদন পেতে হলে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার যাতায়াত করতে হয় অভিবাসীদের৷ ধীরে ধীরে এই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ তথ্যাদি ও দলিলপত্র কেন্দ্রীয়ভাবে সংগঠিত করা হচ্ছে৷
‘ওয়েল কাম সেন্টার'
হামবুর্গ নগর কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদের জন্য একটি ‘ওয়েল কাম সেন্টার' খুলেছেন৷ ২০০৯ সাল থেকে বিয়র্টে শ্টেলার এই কেন্দ্রের প্রধান৷ নবাগতদের তিনি মূল্যবান খদ্দের বলে মনে করেন৷ তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার করা হয়৷ ‘‘মাঝে মাঝে বিস্ময় প্রকাশ করে অনেকে প্রশ্ন করেন, এটা কী কোনো অফিস না অন্য কিছু?'' গর্বের সাথে জানান বিয়র্টে শ্টেলার৷ এই দৃষ্টান্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও গ্রহণ করছে৷ অন্যান্য শহরেও এই ধরনের কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে৷ যেমন মিউনিখ শহরের বিদেশিবিষয়ক দপ্তরে একটি ওয়েল কাম সেন্টার খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷
কোনো কোনো শহরে রাজনীতিকরাও কর্মপ্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে ইউরোপব্যাপী চাকরিতে আগ্রহী অভিবাসীদের খোঁজ করছেন৷ যাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগ্য কর্মীর অভাব কিছুটা পূরণ কার যায়৷
স্পেন থেকে আসছেন কর্মপ্রার্থী
লিঙেন শহরের লর্ড মেয়র ডিটার ক্রোনে স্পেনের শহর সাল্ট থেকে তরুণ কর্মপ্রার্থীদের সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছেন৷ সাল্টের তরুণদের মধ্য বেকারত্বের হার ৫০ শতাংশ৷ কিন্তু শহরটি থেকে যে সব প্রার্থীর জন্য সুপারিশ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলি তাঁদের কাজে লাগাতে পারবে না৷ কেননা এই তরুণ স্পেনিশরা যে পেশার জন্য লোক খোঁজা হচ্ছে, সেই পেশা শেখেননি৷
এইসব দেখেশুনে এখন নির্দিষ্ট পেশার জন্য শিক্ষিত অভিবাসী খোঁজা হচ্ছে৷ ‘‘কর্মপ্রতিষ্ঠানগুলিকে আমাদের জানাতে হবে, কোন ধরনের পেশার জন্য লোক খুঁজছেন তারা৷ তারপর আমরা কাজ শুরু করে দেই৷ স্পেনে আমাদের সহকর্মীদের অনুরোধ করি, কিছু যোগ্য প্রার্থীর নাম পাঠাবার জন্য৷'' বলেন মেয়র ক্রোনে৷
এক্ষেত্রে পারস্পরিক আস্থা থাকতে হবে৷ বিদেশ থেকে সস্তায় কর্মী আনা, বেকার সমস্যায় ভারাক্রান্ত দেশগুলির দুরবস্থার সুযোগ নেওয়া, এটা হতে পারে না৷ ডিটার ক্রোনে নিশ্চিত যে, তাঁর এলাকার সব প্রতিষ্ঠান এই দায়বদ্ধতার ব্যাপারে সচেতন৷ এই ধরনের মধ্যস্থতা এখন খুব ভালোভাবে চলছে৷ তাই পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ উদ্যোগটি চালিয়ে যাওয়া হবে৷