1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিবাসীদের কাজের সুযোগ বন্ধ করবেন ট্রাম্প

৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

শিশু অবস্থায় অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসীদের সুরক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তবে এ জন্য ছয় মাসের সময় বেঁধে দেয়া হবে৷ মঙ্গলবারই আসতে পারে এ ঘোষণা৷

USA Washington Demontration vor dem Weißen Haus
ছবি: picture-alliance/AP Images/P. M. Monsivais

ডেফারড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস – ডাকা চালু হয় ২০১২ সালে৷ এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ওবামা প্রশাসন প্রায় ৮ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার দু'বছরের নবায়নযোগ্য অনুমতি দেয়৷ এই অনুমতির ফলে ১৬ বছরের কম বয়সে যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন, তাঁরা দেশটিতে কাজ এবং পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছেন৷

নির্বাচনি প্রচারণায় অভিবাসীদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোটারদের আকর্ষণ করেছেন ট্রাম্প৷ তাঁর অন্যতম অঙ্গীকার ছিল এই ডাকা কার্যক্রম বাতিল করা৷ ডাকাকে ‘অবৈধ ক্ষমা' ঘোষণা করে ক্ষমতায় আসামাত্রই তা বাতিলের ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি৷

কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই এই ইস্যু এড়িয়ে চলতে শুরু করেন ট্রাম্প৷ বরং সুর বদলে বার্তাসংস্থা এপিকে তিনি বলেন, এই প্রোগ্রামের অধীনে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা আপাতত ‘নিশ্চিন্ত' থাকতে পারেন৷ ফেব্রুয়ারিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ইস্যুটিকে ‘সবচেয়ে জটিল সমস্যা' বলেও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প৷ এমনকি সবসময় অভিবাসীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে আসলেও অভিবাসী তরুণদের প্রতিভাকে ‘অসাধারণ, অবিশ্বাস্য' বলে উল্লেখ করেন তিনি৷

অভিবাসীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলেও তরুণদের প্রতিভাকে ‘অসাধারণ, অবিশ্বাস্য' বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্পছবি: picture-alliance/AP Images/S. Walsh

এবার অবশ্য স্বেচ্ছায় নয়, অনেকটা রিপাবলিকান সহকর্মীদের চাপের মুখেই ‘ডাকা' ঘোষণা দিতে যাচ্ছে হোয়াইট হাউজ৷ তবে ট্রাম্প ‘ডাকা' নিয়ে যে সিদ্ধান্তেই আসুন না কেন, ব্যাপক ক্ষোভের মুখে তাঁকে পড়তেই হচ্ছে৷ আইওয়ার কট্টর রিপাবলিকান সিনেটর স্টিভ কিং ‘ডাকা' বাতিল না হলে তা রিপাবলিকানদের ‘আত্মহত্যার সামিল' হবে বলে মন্তব্য করেছেন৷

অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাট তো বটেই, খোদ নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির মধ্য থেকেই এ নিয়ে উঠেছে আপত্তি৷ সবচেয়ে সরব হাউজ স্পিকার পল রায়ান৷ একটি রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘এখানে তাঁদের বাবা-মারা তাঁদের নিয়ে এসেছেন, এই বাচ্চাদের আর কোনো দেশ নেই, বাড়ি নেই৷ আমি সত্যিকার অর্থেই বিশ্বাস করি, এই সমস্যার একটা আইনি সমাধান দরকার৷''

ডেমোক্র্যাটরা এরই মধ্যে চরম আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে৷ ‘‘এমন খবর যদি সত্যি হয়, নাগরিক অধিকার নিয়ে লড়াই মোকাবেলার জন্যও ট্রাম্প প্রশাসনকে তৈরি হবে'', টুইট করেছেন নিউ জার্সির সিনেটর বব মেনেনডেজ৷ 

তবে কংগ্রেস যাতে বিকল্প আইনি সমাধান খুঁজে নিতে পারে, সে লক্ষ্যেই ছ'মাসের সময় দেয়া হচ্ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের৷ এই সময়ের মধ্যে কংগ্রেস বিকল্প কিছু করতে ব্যর্থ হলে কী হবে, তা অবশ্য এখনও পরিষ্কার নয়৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্পের ঘনিষ্ট কিছু কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এপি জানিয়েছে, ঘোষণা দেয়ার আগ পর্যন্ত কোনো কিছুই চূড়ান্ত বলে ধরে নেয়া ঠিক হবে না৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অতীতের মতোই এবারও যে কোনো সময়ই সিদ্ধান্ত পালটে ফেলতে পারেন৷

এডিকে/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ