সরকার আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো সত্ত্বেও জার্মানি থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে রাজি ব্যর্থ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
ফেডারাল অভিবাসন ও উদ্বাস্তু কার্যালয় বিএমএএফ-এর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ বছর ‘‘স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তনের'' সংখ্যা গতবছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক, যদিও জার্মান সরকার প্রত্যাখ্যাত রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের দেশে ফেরার জন্য আর্থিক ও অপরাপর সুযোগ-সুবিধা যথাসাধ্য বাড়িয়েছেন৷
‘ডি ভেল্ট' পত্রিকার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ২৮,০০০-এর কম ব্যর্থ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী স্বেচ্ছায় স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন, যেখানে ২০১৬ সালে স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তনকারীদের সংখ্যা ছিল ৫০,০০০-এর বেশি৷
‘বাম্ফ'-এর পরিসংখ্যান থেকে আরো দেখা যাচ্ছে যে, ব্যর্থ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের সরকারিভাবে স্বদেশে ফেরত পাঠানোর সংখ্যাও ২০১৬ সালে ২৫,০০০-এর বেশি ছিল, কিন্তু ২০১৭ সালে তা কমে ২২,০০০-এর কিছু ওপরে দাঁড়িয়েছে৷
প্রত্যাখ্যাত অভিবাসীদের ‘ডিপোর্টেশান' বা স্বদেশে ফেরত পাঠানোর দায়িত্ব বর্তমানে একক রাজ্যগুলির উপর ন্যস্ত, বার্লিনের কেন্দ্রীয় সরকারের উপর নয়৷
‘ইনসেন্টিভ' বাড়ানো সত্ত্বেও
জার্মান সরকার বর্তমানে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া চেষ্টা করছেন৷ তা সত্ত্বেও দৃশ্যত (সম্মতি সহকারে) ‘রিপ্যাট্রিয়েশান' বা (বিনা সম্মতিতে) ‘ডিপোর্টেশান', উভয়েরই সংখ্যা কমেছে৷
চলতি বছরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের ঘোষণা করেন যে, সরকার প্রত্যাখ্যাত রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ও অন্যান্যদের দেশে ফেরার জন্য আর্থিক সহায়তা আরো বৃদ্ধি করছেন৷ নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী যারা ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে স্বেচ্ছায় স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন, তারা পরিবার পিছু ৩,০০০ ইউরো এবং একক ব্যক্তিরা ১,০০০ ইউরো করে অনুদান পাবেন৷
ডেমেজিয়ের মাত্র গত সপ্তাহে বলেন যে, পরিকল্পনার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ‘‘ইতিবাচক'' হয়েছে৷ এছাড়া তিনি অভিবাসীদের জন্য আরো বেশি ‘আটক ও প্রত্যবর্তন' কেন্দ্র খোলার ডাক দেন, যাতে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া দ্রুততর হতে পারে৷
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে উদ্বেগ এবং উদ্যোগ
জার্মানিতে প্রতিদিনই বাড়ছে অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেলও বলেছেন, বছর শেষে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে৷ জার্মানির ওপর চাপ এত বেশি না রেখে, ইইউভুক্ত অন্য দেশগুলোকেও শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/L. Zavoral
সমালোচনা ও চাপের মুখে ম্যার্কেল
অভিবাসন প্রত্যাশীদের ব্যাপারে ম্যার্কেল সরকারের উদ্যোগ ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি৷ তারপরও জার্মানিতে ম্যার্কেল সমালোচিত৷ সরকার বিরোধীদের একটা অংশ মনে করে, ম্যার্কেল প্রশাসন ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করে সংকট ঘণীভূত করছে৷ জার্মানিতে শরণার্থী বিরোধী ক্ষোভও দেখা দিয়েছে৷ সব মিলিয়ে শরণার্থী ইস্যু নিয়ে বেশ চাপে আছে ম্যার্কেল সরকার৷
ছবি: Reuters/H. Hanschke
সবচেয়ে বড় সংকট!
ক’দিন আগেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় সংকট মনে করা হতো গ্রিসের অর্থনৈতিক বিপর্যয়কে৷ সেই বিপর্যয় এখনো কাটেনি৷ তবে আতঙ্কে আরো বড় হয়ে উঠেছে শরণার্থী সংকট৷ জার্মানিতে প্রতিদিনই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা বৃদ্ধির চাপ৷ জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল একাধিকবার বলেছেন, ইউরোপে গ্রিসের চেয়ে বড় সংকট হয়ে দেখা দিতে পারে শরণার্থী ইস্যু৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Dilkoff
করণীয়
বর্তমান হারে চলতে থাকলে ২০১৫ সালে আগত শরণার্থীর সংখ্যা যে বছর শেষে ৮ থেকে ১০ লাখ দাঁড়াবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ রবিবার ম্যার্কেল বলেছেন, এতদিন শরণার্থীদের স্বাগত জানিয়ে এলেও এ হারে চাপ বাড়তে থাকলে আগামীতে জার্মানির পক্ষে খুব বেশি ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে না৷ ইইউভুক্ত অন্য সব দেশকে তাই দ্রুত আরো উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ এ লক্ষ্যে জরুরি বৈঠক আয়োজনের জন্য ইইউ-র প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি৷
ছবি: Reuters/I. Fassbender
নড়েচড়ে বসছে ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন শরণার্থী সংকট মোকাবিলার জন্য দু’সপ্তাহের মধ্যে সদস্য দেশগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকের আয়োজন করবে৷ ইইউ-ও মনে করে, ব্যাপক হারে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন সংকটকে ভয়াবহ করে তুলছে৷
ছবি: Getty Images/Afp/A. Tzortzinis
জার্মানিতে শরণার্থী বিরোধী ক্ষোভ
জার্মানির কিছু অঞ্চলে শরণার্থীদের প্রতি ক্ষোভ, অসন্তোষ বেশ বেড়েছে৷ শরণার্থী শিবিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেই চলেছে৷ এ পর্যন্ত ১০০টি এমন ঘটনা ঘটেছে৷ গত সপ্তাহান্তে ড্রেসডেনের কাছের হাইডেনাউ শহরে শরণার্থীবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে৷ সংঘর্ষে ৩০ জন পুলিশ আহত হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Meyer
সাধারণ মানুষ শরণার্থীদের পাশে
জার্মানির অধিকাংশ মানুষই শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল৷ নানা স্থানে সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছায় শরণার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে৷ ড্রেসডেনে শরণার্থীবিরোধী বিক্ষোভের পর ৫ হাজার মানুষ নেমে আসে রাস্তায়৷ শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় যুদ্ধ কিংবা অভাবের তাড়ণায় মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়া থেকে আসা অসহায় মানুষদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন তাঁরা৷ ওপরে শরণার্থীদের জন্য আয়োজিত এক মেলার ছবি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/L. Zavoral
কেউ খাওয়াচ্ছেন স্যুপ
ভিলহাইমের এই তরুণী ঘরে তৈরি ভেজিটেবল স্যুপ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন শরণার্থী শিবিরে৷ নিজে উপস্থিত থেকে সেই স্যুপ খাইয়েছেন শরণার্থীদের৷
ছবি: picture-alliance/dpa/G. Fischer
কেউ শেখাচ্ছেন ভাষা
ছবির এই দুই অভিবাসনপ্রত্যাশী এসেছেন সোমালিয়া থেকে৷ বায়ার্নের থানহাউসেনে পৌঁছানোর পর জার্মান ভাষাও শিখতে শুরু করেছেন৷ সাবেক এক জার্মান শিক্ষক নিজের উদ্যোগে স্কুল খুলে ভাষা শেখাচ্ছেন শরণার্থীদের৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Puchner
নাচো-গাও
ড্রেসডেনে নব্যনাৎসি বিরোধী সংগঠন ‘ড্রেসডেন নাৎসিফ্রাই’ শরণার্থীদের জন্য অভিবনব এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল৷ অনুষ্ঠানে অভিবাসনপ্রত্যাশী এবং তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল জার্মানরা একসঙ্গে নেচেছেন, গেয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Willnow
প্রবাসেই সুখী
অনেক শরণার্থীই শুরু করেছেন নতুন জীবন৷ শঙ্কা, উৎকণ্ঠা, অনিশ্চয়তা সরিয়ে সুযোগ পেলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দও করছেন তাঁরা৷ সিরিয়া থেকে আসা এই পরিবারটি অবসর সময়ে চলে যায় সমুদ্র সৈকতে৷ প্রবাসেও তাঁরা বেশ সুখী৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Marks
10 ছবি1 | 10
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, বহিষ্কারের সংখ্যা আর বাড়ছে না, তার কারণ, ২০১৬ সালে অপ্রত্যাশিত সংখ্যক ব্যর্থ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নিজের উদ্যোগে জার্মানি পরিত্যাগ করেছেন৷ তাদের মধ্যে অনেকেই বলকান দেশগুলি থেকে আগত ইউরোপীয়, যারা ২০১৫ সালের উদ্বাস্তু সংকটের সময় তথাকথিত বলকান রুট ধরে মধ্যপ্রাচ্যের উদ্বাস্তুদের সঙ্গে জার্মানিতে এসে পৌঁছন৷
(রাজ)নীতির ফারাক
বহিষ্কার নিয়ে জার্মানির মুখ্য দু'টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতভেদ রয়েছে৷ ডেমেজিয়ের যে আরো বেশি ডিটেনশান সেন্টারের ডাক দিয়েছেন, সামাজিক গণতন্ত্রী বিধায়ক বুর্কহার্ড লিশকা তাকে একটি ‘‘ছল'' বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে, বহিষ্কারের পদ্ধতিতে স্থিতি আনার জন্য ফেডারাল সরকারের তাঁদের নিজেদের দায়িত্ব স্বীকার করা উচিত – একমাত্র তখনই গ্রহণযোগ্য হারে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটবে৷
অপরদিকে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের বিধায়ক আর্মিন শুস্টার বলেছেন যে, সরকার যদি ‘‘যারা জার্মানিতে সমস্যা সৃষ্টি করছে – যেমন অপরাধীদের'' অবিলম্বে বহিষ্কার করতে পারতেন, তাহলে পরিস্থিতি এতটা সমস্যাকর হতো না৷ যারা থাকার আশা নেই জেনেও জার্মানিতে আসছেন, এই পদক্ষেপ তাদেরও খানিকটা নিবৃত্ত করত, বলে শুস্টারের ধারণা৷
এসি/ডিজি (ডিপিএ, কেএনএ)
জার্মানিতে উদ্বাস্তুদের থাকার ব্যবস্থা
২০১৫ সালে তিন লাখ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী জার্মানিতে আসবেন, বলে ধরে নিয়েছিল ফেডারাল অভিবাসন দপ্তর৷ এখন সে সংখ্যা সাড়ে চার লাখ হবার সম্ভাবনা৷ সেক্ষেত্রে উদ্বাস্তুদের থাকার ব্যবস্থা কোথায় হবে, তাই নিয়েই চিন্তা...
ছবি: Picture-Alliance/dpa/P. Kneffel
প্রাথমিক অভ্যর্থনা কেন্দ্রে প্রথম তিন মাস
রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে রাখার জন্য এই ‘রিসেপশান সেন্টারগুলি’ আছে – যেমন রাইনল্যান্ড প্যালেটিনেট রাজ্যের ট্রিয়ার শহরে৷ উদ্বাস্তুরা জার্মানিতে পৌঁছনোর পর তাঁদের সাধারণত এ ধরনের প্রাথমিক অভ্যর্থনা কেন্দ্রে রাখা হয়৷ সেখানে তিন মাস থাকার পর তাঁদের কোনো শহর কি জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Tittel
টাউন হলে ক্যাম্পবেড
প্রাথমিক রিসেপশান সেন্টারগুলো পুরোপুরি ভর্তি, কাজেই সাময়িক বাসস্থান হিসেবে অন্যান্য ভবন কাজে লাগানো হচ্ছে৷ নর্থ রাইন ওয়েস্ট ফালিয়া রাজ্যের হাম শহরের টাউন হলে ৫০০ উদ্বাস্তুর থাকার আয়োজন করা হয়েছে৷ ৭০০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের হলটিতে বেড়া দিয়ে দিয়ে আলাদা আলাদা ‘ঘরের’ ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ প্রত্যেকটি ‘ঘরে’ ১৪টি ক্যাম্পবেড রাখা চলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Fassbender
ক্লাশরুমে রাত্রিবাস
উদ্বাস্তুর স্রোতে শহরগুলি নাজেহাল! আখেন শহরকে গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে ৩০০ উদ্বাস্তুকে রাখার ভার নিতে হয়৷ একমাত্র সমাধান: উদ্বাস্তুদের শোয়ার জন্য ইন্ডা গিমনাজিয়ুম নামের একটি স্কুলের ক্লাশরুমে ম্যাট্রেস পাতা৷
ছবি: Picture-Alliance/dpa/R. Roeger
তাঁবুতে বাস
বর্তমানে জার্মানিতে ক্রমেই আরো বেশি সাময়িক উদ্বাস্তু শিবির সৃষ্টি করা হচ্ছে – তাঁবু গেড়ে৷ স্যাক্সনি আনহাল্ট রাজ্যের হালব্যারস্টাট শহরে এ ধরনের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প সৃষ্টি করে আরো অনেক বেশি উদ্বাস্তুদের রাখা সম্ভব হয়েছে৷
ছবি: Picture-Alliance/dpa/J. Wolf
ড্রেসডেনের টেন্ট ক্যাম্প
উদ্বাস্তুদের জন্য একটি সুবিশাল টেন্ট ক্যাম্প বা ‘তাঁবু শিবির’ সৃষ্টি করা হয়েছে স্যাক্সনি রাজ্যের রাজধানী ড্রেসডেন শহরে৷ শৌচাগারের সামনে লম্বা লাইন পড়ে, খাবারের জন্যও অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়৷ এখানে আপাতত ১৫টি দেশ থেকে আগত মোট এক হাজার মানুষের বাস৷ আগামীতে আরো শ’খানেক মানুষ এখানে থাকতে বাধ্য হবেন৷
ছবি: Picture-Alliance/dpa/A. Burgi
কনটেইনারে বাস
তাঁবুর বদলে উদ্বাস্তুদের কনটেইনারে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে কোথাও কোথাও৷ ট্রিয়ারে ২০১৪ সাল থেকেই এই পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে৷ আজ সেখানে এক হাজারের বেশি উদ্বাস্তু বাস করেন৷
ছবি: Picture-Alliance/dpa/H. Tittel
উদ্বাস্তু আবাসের উপর আক্রমণ
বাডেন ভুর্টেনব্যার্গ রাজ্যের রেমকিঙ্গেন শহরে গত জুলাই মাসের ১৮ তারিখে একটি অগ্নিকাণ্ড ঘটে৷ অজ্ঞাত আততায়ীরা যে বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়, সেখানে উদ্বাস্তুদের রাখার কথা ছিল৷ উদ্বাস্তুদের প্রতি এ ধরনের বিরূপ মনোভাব এখন অন্যত্রও পরিলক্ষিত হচ্ছে, বিশেষ করে জার্মানির পূর্ব এবং দক্ষিণাঞ্চলে৷
ছবি: Picture-Alliance/dpa/SDMG/Dettenmeyer
নতুন আবাসন গড়ার কাজ চলেছে
উদ্বাস্তুদের বসবাসের জন্য একাধিক পৌর এলাকায় নতুন বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে, যেমন বাভেরিয়ার একেনটাল শহরে৷ এখানে মোট ৬০ জন মানুষ বাস করতে পারবেন৷ আগামী বছরের সূচনাতে এখানে প্রথম উদ্বাস্তুরা বসবাস করতে পারবেন, বলে আশা করা হচ্ছে৷