1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিযানের মধ্যেই জনসংযোগ করছেন জার্মান মহাকাশচারী

২৩ জুলাই ২০১৮

মহাকাশ সম্পর্কে প্রায় সবারই আগ্রহ রয়েছে৷ এবার এক জার্মান মহাকাশচারী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে নিত্যনতুন খবর দিয়ে প্রায় তারকা হয়ে উঠেছেন৷ জনসংযোগের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করছেন তিনি৷

Deutschland Alexander Gerst zu Gast auf Kraftwerk-Konzert in Stuttgart
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Pfisterer

আলেক্সান্ডার গ্যার্স্ট ওরফে ‘অ্যাস্ট্রো আলেক্স' তারকা হয়ে উঠেছেন৷ অন্তত জার্মানিতে অনেক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে৷ গোটা বিশ্বেই তাঁর অনুরাগীরা ছড়িয়ে আছেন৷ তাঁদের মধ্যে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও রয়েছেন৷

সবাই আলেক্সান্ডার গ্যার্স্টকে ভালোবাসেন৷ তাতে বিস্ময়ের কোনো কারণ নেই৷ তিনি জার্মানির প্রথম মহাকাশচারী, যিনি নিজেকে ও নিজের বিষয়কে ঘিরে এই মাত্রার উৎসাহ সৃষ্টি করতে পেরেছেন৷

তাঁর এই সাফল্যের রহস্য কী? একদিকে ‘কুল', অন্যদিকে অত্যন্ত বিনয়ী তিনি৷ সেইসঙ্গে তিনি সব খবর টুইটার-এর মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করেন৷ টুইটারে ‘অ্যাস্ট্রো-আলেক্স' নামে তাঁর অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষেরও বেশি অনুসারী রয়েছেন৷ সবাই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে তাঁর যাত্রা নিয়ে আগ্রহী৷ অভিযানের নাম ‘হোরাইজনস'৷

এই নিয়ে দু'বার মহাকাশ যাত্রা করলেন গ্যার্স্ট৷ এবার তিনি কমান্ডার৷ এর আগে কোনো জার্মান মহাকাশচারী এমন দায়িত্ব পালন করেননি৷ গ্যার্স্ট বলেন, ‘‘এমন এক অসাধারণ স্পেস স্টেশন পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে মানুষ আমার উপর প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন, তাতে নিজেকে খুবই নগণ্য মনে হয়৷ অবশ্যই এর সঙ্গে গভীর দায়িত্ব জড়িয়ে রয়েছে৷''

তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা দু'বছর ধরে এই দায়িত্বের প্রস্তুতি নিয়েছেন৷ গ্যার্স্ট অসংখ্য মেডিকাল পরীক্ষা পাশ করেছেন৷ তাঁর অনুরাগীরাও সে সব দিনের স্বাদ পেয়েছেন৷ এমনকী পরীক্ষামূলক খাবারের সময়েও৷ সেই খাদ্যের স্বাদ তার চেহারার তুলনায় অনেক ভালো৷ গ্যার্স্ট বলেন, ‘‘যে খাবার আমি আগেই খেয়েছি, তার স্মৃতি উসকে দিতেই এটা করা হয়৷ তার ভিত্তিতে আমি এখন বেছে নিতে পারি৷ তার মধ্যে কিছু নতুন খাবারও রয়েছে৷ সেগুলির স্বাদ আমাকে সম্ভবত অনুমান করতে হবে৷''

আইএসএস-এ নতুন এই সব পদের মধ্যে জার্মানিতে গ্যার্স্ট-এর জন্মস্থানের বিখ্যাত চিজ নুডলসও রয়েছে৷ আইএসএস-এর বাসিন্দাদের অবশ্য কঠিন পরিশ্রম করতে হয়৷ গ্যার্স্ট ও তাঁর সঙ্গীরা প্রায় ৭০টি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালাচ্ছেন৷ সেগুলির মধ্যে প্রায় অর্ধেক জার্মানিতে প্রস্তুত করা হয়েছে৷ জার্মানির অনেক গবেষণা কেন্দ্রের প্রায় ১,০০০ মানুষ সেই কাজে তাঁকে সাহায্য করছেন৷ বোটানি থেকে রোবোটিক্স – বিষয়ের বৈচিত্র্যের অভাব নেই৷ তাদের মধ্যে একজন মহাকাশেও পৌঁছে যাচ্ছে৷ তিনি হলেন ‘সিমন' নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা৷

গ্যার্স্ট-এর প্রথম মহাকাশ অভিযানের মতো এবারও স্কুলের ক্লাসে বিশেষ এক প্রকল্প চালানো হচ্ছে৷ জার্মানির প্রায় ৮ হাজার স্কুল-পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আকাঙ্ক্ষা একটি টাইম ক্যাপসুলে পুরে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে৷ ৫০ বছর পর সেই আধার আবার খোলা হবে৷

তবে মহাকাশ সম্পর্কে খবর পেতে অনুরাগীদের এতকাল অপেক্ষা করতে হবে না৷ অ্যাস্ট্রো-আলেক্স গত ১২ই জুন সরাসরি মহাকাশ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন৷ এভাবে সাধারণ মানুষও তাঁর অভিযানের সাথী হয়ে উঠছেন৷

আনা সাকো/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ