অভিযোগে জর্জরিত পাকিস্তান ক্রিকেট দল
২৫ জানুয়ারি ২০১১দলে রয়েছেন আবদুর রাজ্জাক ও শহিদ আফ্রিদির মত অভিজ্ঞ অল রাউন্ডার৷ তাছাড়া মান অভিমান পর্ব শেষ করে আবারও দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ইউনুস খানকে৷ বোলিং এও দেখা যাচ্ছে একসময়ের সাড়া জাগানো ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারকে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও পাকিস্তান দলকে নিয়ে তেমন কোন আশা দেখা যাচ্ছে না৷ এর কারণ দলের ভেতর রেষারেষি এবং শৃংখলার অভাব৷ বিশ্বকাপের আর মাত্র যখন একমাসও বাকি নেই তখনও কেউ জানেন না দলের কান্ডারি কে? তার ওপর আবার অধিনায়কত্ব নিয়ে কোচ ওয়াকার ইউনুসের সঙ্গে বোর্ড বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে৷
একদিকে ম্যাচ ফিক্সিং কেলেংকারি, তার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বিরোধ সব মিলিয়ে দলটি এখন একেবারেই অগোছালো৷
তারপরও মাঝে মধ্যেই কিন্তু পাকিস্তান দলের সাফল্য দেখা যায়৷ এর কারণ মূলত খেলোয়াড়দের সহজাত প্রতিভা৷ বলাই হয়, পাকিস্তান দলে প্রতিভার কখনো অভাব দেখা যায়নি৷ কিন্তু দলটিতে কখনো শৃংখলাও দেখা যায়নি৷ ১৯৯২ সালে ইমরান খান দলটিকে এক সুতোয় গাঁথতে পেরেছিলেন বলেই সব হিসাব নিকাশ উল্টে দিয়ে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল৷ '৯৯ এর বিশ্বকাপেও ওয়াসিম আকরামের নেতৃত্বে পাকিস্তান ফাইনালে উঠেছিল৷ কিন্তু এরপর থেকে বিশ্বকাপে তাদের খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে৷ উল্লেখ্য, এবার স্বাগতিক দেশ হওয়ার কথা ছিল দেশটির৷ কিন্তু নিরাপত্তা জনিত কারণেই বাদ পড়ে পাকিস্তান৷ দেখা যাক, এবারের বিশ্বকাপে সেই বঞ্চনার জবাব দিতে পারে কিনা তারা৷
স্কোয়াড: আবদুর রাজ্জাক, আবদুর রহমান, আহমেদ শেহজাদ, আসাদ শফিক, কামরান আকমল (উই), মিসবাহ উল হক, মোহাম্মদ হাফিজ, সাইদ আজমল, শহিদ আফ্রিদী, শোয়েব আখতার, সোহেল তানভির, উমর আকমল (উই), উমর গুল, ওয়াহাব রিয়াজ, ইউনুস খান৷
সাফল্য: চ্যাম্পিয়ন ১৯৯২, রানার্স আপ ১৯৯৯৷ ওডিআই অবস্থান: ৬৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী