1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিশংসন বিল পাশ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪

সাতদিন সময় পেলেও সংসদীয় স্থায়ী কমিটি মাত্র দু'দিনইে বিচারপতিদের অভিশংসনে সংসদকে ক্ষমতা দেয়ার বিলটির বিশ্লেষণের কাজ শেষ করেছে৷ এটা নিয়ে কারুর সঙ্গে আলোচনা হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কমিটির প্রধান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত৷

Bangladesch Dhaka Verkehrsminister Suranjit Sengupta tritt zurück
(ফাইল ফটো)ছবি: DW

আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দু-একদিনের মধ্যেই তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে সংসদে৷ এই প্রতিবেদন পেশের পরই সংসদে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিল পাশ হবে৷ এই বিল পাশ হলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং সাংবিধানিক পদে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের অপসারণ করতে পারবে সংসদ৷ তবে এর আগে সংসদের আইন দ্বারা তদন্ত হবে৷ যদিও সেই আইন এখনো প্রণয়ন করা হয়নি৷

স্থায়ী কমিটির প্রধান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি বলেন, ‘‘কমিটি দু'দিন বিলটি চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছে৷ তাদের সাতদিনের সময় দেওয়া হয়েছিল৷ তার মধ্যেই কমিটির রিপোর্ট সংসদে দেওয়া হবে৷''

তিনি বলেন, ‘‘আমরা ১৯৭২-এর সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ হুবহু প্রতিস্থাপন করেছি আমরা৷ এখানে নতুন কিছু নেই৷ সে কারণে আলোচনারও দরকার নেই৷ তবে নতুন আইন করার সময় সকলের মতামত নেওয়া হবে৷'' সুরঞ্জিত বিলের ব্যখ্যা দিয়ে বলেন, ‘‘কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ ওঠে, তাহলেই কি তাঁকে অপসারণ করা হবে? তা নয়৷ এর জন্য ‘ফলো-আপ' আইন হবে৷ ঐ আইনে তদন্ত কমিটির বিধান থাকবে৷ সংশ্লিষ্ট, দায়িত্বশীল, প্রাসঙ্গিক লোকদের দিয়ে তা করা হবে৷ তাঁরা সংসদে বিষয়টি পাঠালে সংসদ শুধু অনুমোদন দেবে৷ অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির৷ তিনিই নিয়োগ দেন, সরাবেনও তিনি৷''

বিল পাশ হলে বিচারপতি এবং সাংবিধানিক পদে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের অপসারণ করতে পারবে সংসদছবি: picture-alliance/Dinodia Photo

তবে তড়িঘড়ি করে সংবিধান সংশোধনের এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা৷ ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘‘সংবিধান যেখানে থাকে, সেখানে সব সময় আমি সংখ্যাগরিষ্ঠ বললে চলে না৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অসাংবিধানিকও হতে পারে৷ তড়িঘড়ি ষোড়শ সংশোধনী পাস করা হলে সংবিধান, জনগণ ও তাঁদের প্রতি অশ্রদ্ধা জানানো হবে৷''তিনি বলেন, ‘‘তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে কেন এ কাজ করতে হবে? আলোচনা, বিচার-বিবেচনা করে তবেই সংবিধান সংশোধন করা উচিত৷''

এদিকে আইনজীবী এম আমীর-উল-ইসলাম বলেন, ‘‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে ১৯৭২-এর সংবিধানে সংসদকে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল৷ তখন সংসদ ছাড়া আমাদের সামনে কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না৷'' তাই তিনি বিচারপতি নিয়োগ ও অপসারণের ব্যাপারে একটি ‘চার্টার' তৈরির জন্য আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান৷

ওদিকে বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দল বৃহস্পতিবার ঢাকায় ষোড়শ সংশোধনীর প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে৷ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘‘সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ইতিমধ্যে সব কিছুর ১৬ আনা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে৷ এখন বিচারপতিদের অভিশংসন ক্ষমতা সংসদে নিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ সাড়ে ১৬ আনা করতে চায়৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ