1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিষেকের বিদেশযাত্রার পর ‘দিদি-মোদী সেটিং' ফের জল্পনা

২৮ জুলাই ২০২৩

আদালত সিদ্ধান্ত জানানোর আগেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সস্ত্রীক বিদেশে গেলেন।

তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বিদেশ সফর নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী নেতারা। ছবি: Satyajit Shaw/DW

অভিষেকের এই বিদেশযাত্রা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন উঠছে। তুলছে বিরোধী নেতারা। তাদের মতে, এটা দিদি-মোদী গোপন সমঝোতার আরেকটি নিদর্শন।

ঘটনা হলো, অভিষেকের স্ত্রী কিছুদিন আগে বিদেশ যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইডির আপত্তিতে তাকে বিমানবন্দর থেকে ফিরতে হয়। অভিষেকের বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি তদন্ত করছে। কিন্তু এবার তার বা তার স্ত্রীকে দুবাই যেতে কোনোরকম বাধা দেয়নি তারা।

তাকে যাতে বিদেশ যেতে দেয়া হয়, তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিষেক। তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ আছে কি না, তা-ও ইডির কাছ থেকে জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। 

ইডি শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, তারা ২৬ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত অভিষেককে বিদেশ সফর করতে দিয়েছে। এরপর বিচারপতিরা বলেছেন, অভিষেক ও তার স্ত্রী রুজিরার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ তুলে নিতে হবে। বিদেশযাত্রার এক সপ্তাহ আগে ইডি-কে জানালেই চলবে। ফলে আদালতে স্বস্তি পেয়েছেন অভিষেক।

সমালোচনা

অভিষেক বিদেশ যাওয়ার পর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ''বোঝা যাচ্ছে, অভিষেক মোদীর ছাড়পত্র পেয়ে গেছেন। স্পষ্ট হয়ে গেছে যে সেটিং রয়েছে।''

প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান সোজাসাপটা বলেছেন, ''আমরা তো অনেকদিন ধরে বলছি, তৃণমূল ও বিজেপি-র গোপন বোঝাপড়া আছে। সেজন্যই ভাইপো নির্ধারিত দিনে বিদেশ চলে যান। এরপর আর সেটিং আছে তা বোঝানোর কোনো দরকার আছে কি?''

সিপিএমের সাংসদ ও আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, ''নিশ্চয়ই ইডির অনুমতি পেয়ে গেছে বলেই অভিষেক বিদেশে গেছেন। পাচ্ছিলেন না বলেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন।''

এদিন সুপ্রিম কোর্টে ইডি জানিয়ে দিয়েছে, তাদের অনুমতি নিয়েই বিদেশযাত্রা করেছেন অভিষেক। দেখা যাচ্ছে, বিকাশরঞ্জন একেবারে ঠিক কথাই বলেছিলেন।

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, আইন মেনেই অভিষেক বিদেশ গেছেন। তা-ও তার বিরুদ্ধে ‘কুরুচিকর' প্রচার চালানো হচ্ছে।

অন্যদিকে বিজেপি মুখপার্ শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ''আইন আইনের মতো কাজ করবে। কেউ কোথাও পালিয়ে বাঁচতে পারবেন না।''

অভিষেকের নাম আছে

আনন্দবাজার জানিয়েছে, ইডি-র সাম্প্রতিক একটি  রিপোর্টে অভিষেকের নাম রয়েছে। সেখানে কালীঘাটের কাকু বলে পরিচিত সুজয় ভদ্র সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনিই অভিষেকের বার্তা নিয়ে বর্তমানে জেলে থাকা সাবেক পর্ষদ কর্তা মানিক ভট্টাচার্যের কাছে যেতেন। সুজয় ভদ্র অভিষেকের অফিসেই কাজ করতেন।

সুজয় ভদ্রকেও কিছুদিন আগে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তার বাড়ি তল্লাশি করে প্রচুর নথিপত্রও পাওয়া গেছে বলে ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

জিএইচ/এসি (পিটিআই, টিভি৯, আনন্দবাজার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ