1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অরগ্যানিক চাষ করে উন্নয়ন

মারিন হ্যুটার/এসি১৭ নভেম্বর ২০১৫

মোলডাভিয়া ইউরোপের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে পড়ে৷ হয়তো সেই কারণেই এখানকার প্রকৃতি আজও সহজ, স্বাভাবিক, কিন্তু মাত্রাধিক কৃষিকাজ পরিবেশের বিপদ ঘটাচ্ছে৷ চেষ্টা চলেছে, চাষিদের অরগ্যানিক চাষবাস শিখিয়ে পরিস্থিতি বদলানোর৷

Bangladesch Reis Bauern Anbau Reisfeld
ছবি: picture-alliance/dpa

শীতের শুরুতে বাস উঠিয়ে আফ্রিকা যাওয়ার মুখে পেলিকানের দল৷ গ্রীষ্মে মোলডাভিয়া প্রজাতন্ত্রের দক্ষিণে দিন কাটিয়েছে তারা৷ বেলেউ হ্রদটি হল পাখিদের স্বর্গ৷ গ্রেট হোয়াইট ইগ্রেট বা সাদা সারসের মতো বিপন্ন প্রজাতিগুলিও এখানে নিরাপদ৷ কিন্তু হ্রদের কাছাকাছি যে সব জীবজন্তু পাওয়া যায়, তাদের সকলেই যে এই অঞ্চলের জন্য স্থানীয় ও স্বাভাবিক, এমন নয় – বলেন প্রাণীবৈচিত্র্য বিশেষজ্ঞ ওরেল লোজান৷ কিছু অভিবাসী প্রজাতি এই এলাকার উদ্ভিদপ্রকৃতির বিপদ ডেকে আনছে৷ প্রাণীবৈচিত্র্য বিশেষজ্ঞ ওরেল লোজান বলেন, ‘‘এটা সম্ভবত একটা পরিযায়ী পঙ্গপাল, মানে এক ধরনের কীট বা আপদ৷ আমরা যে এখানে এটাকে খুঁজে পাচ্ছি, তার অর্থ, এটা দক্ষিণের কোনো এলাকা থেকে এসেছে৷ যা কিনা পরিবেশ, সম্ভবত জলবায়ুর পরিবর্তন, বা বিশ্বের উষ্ণায়নের ফল৷''

বৈশ্বিক সমস্যাগুলির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোলডাভিয়ার আঞ্চলিক সমস্যা৷ কৃষিকাজ ক্রমেই হ্রদের ধার ঘেঁষে আসছে৷ ওরেল লোজান, প্রাণীবৈচিত্র্য বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘‘বলতে কি, হ্রদের পানি কমতে শুরু করে, খুব তাড়াতাড়ি, গত দশ বছরেই৷ এটা পলি পড়ার কারণে৷ ঐ পলি চাষের খেত থেকে আসছে মানুষের কাটা খাল ধরে৷''

কৃষিকাজ ও পরিবেশ

কৃষিকাজের উৎপাদন পদ্ধতি বস্তুত মোলডাভিয়ায় পরিবেশ ও প্রাণীবৈচিত্র্যের মান নির্দিষ্ট করে৷ মোট জমির তিন-চতুর্থাংশতে চাষ করা হয়, এ পর্যন্ত প্রধানত কৃত্রিম সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে৷ একটানা ভু্ট্টা বা সূর্যমুখী ফুলের চাষের ফলে জমি তার উর্বরতা হারায়, কাজেই আরো বেশি কৃত্রিম সারের প্রয়োজন পড়ে৷ ভিসিয়াস সার্কল বা দুষ্টচক্র৷

প্রো-রুরাল-ইনভেস্ট সংস্থার প্রধান ভিওরেল গেরচিউ এই পরিস্থিতি বদলাতে চান৷ তাঁর সংগঠন অরগ্যানিক পণ্য আর কৃষিকাজের প্রসার ঘটানোর চেষ্টা করছে৷ প্রো-রুরাল-ইনভেস্ট এনজিও-র ভিওরেল গেরচিউ বলেন: ‘‘দশ বছর পরে আমরা যদি বলতে পারি যে, মোলডাভিয়ার বিশ শতাংশ কৃষিজমিতে অরগ্যানিক চাষ চলেছে, তাহলে দারুণ হবে৷''

ইউরোপের দরিদ্রতম দেশগুলির একটিতে অরগ্যানিক কৃষিকাজ? মোলডাভিয়ার মানুষদের মাসিক রোজগার হল গড়ে ২২০ ইউরো৷ রাজধানী কিশিনাউ-তেও খুব বেশি মানুষ অরগ্যানিক খাবার কেনার সামর্থ্য রাখেন না৷ সেজন্য সরকার অরগ্যানিক কৃষিকাজে উৎসাহ দিচ্ছে৷ উদ্দেশ্য: ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি বাড়ানো৷

যেমন আরোনিয়া নামের ফলটি৷ এটি এক ধরনের কুল৷ খেতে খানিকটা কষ, কিন্তু নানা রোগ সারাতে পারে, জানালেন চাষিরা৷ একজন বললেন, ‘আমি নিজে ওর রস খেয়ে দেখেছি, যার ফলে আমাকে গত গ্রীষ্মে কোনোরকম ওষুধ খেতে হয়নি৷' অরগ্যানিক চাষি ভিটালি পিন্টেলাই বললেন: ‘ওটা এক ধরনের ওষুধ, খুবই কাজে লাগে৷ খুব ভালো বিক্রি হতে পারে বলে আমার ধারণা৷'

অরগ্যানিক

ভিওরেল গেরচিউ চাষিদের একটি অরগ্যানিক সিল দিয়েছেন, যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নে তা এখনও স্বীকৃত নয়৷ তা সত্ত্বেও ইতিমধ্যেই চেক প্রজাতন্ত্রে থেকে কেনার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে – চেক-দের সাথে ব্যবসা করতে পারলে চাষিদের পক্ষে তা ভালোই হবে৷ সেক্ষেত্রে এই সার্টিফিকেট কাজে লাগতে পারে৷ প্রো-বিও সংস্থার সিইও মার্টিন হুটার বললেন: ‘‘আমরা এখানে এসেছি কারণ আমরা আমাদের পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়াতে চাই; ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর চেক প্রজাতন্ত্রের বাজারে আরো বেশি প্রাক-উৎপাদনের প্রয়োজন পড়বে, আমরা সেটাও চাই৷''

ভিওরেল গেরচিউ আবার পথে নেমেছেন: রুরাল-ইনভেস্ট এ পর্যন্ত ২৮ জন অরগ্যানিক চাষির দেখাশোনা করে থাকে, পরামর্শ দেয়, সার্টিফিকেট দেয়, খদ্দেরের খোঁজ দেয়৷ মোনিকল কোম্পানিটিকে গেরচিউ সরকারি সাহায্য পাইয়ে দিয়েছেন, যাতে কোম্পানি থেকে জার্মানিতে একটি খাদ্যপণ্যের প্রদর্শনীতে প্রতিনিধি পাঠানো সম্ভব হয়৷ পণ্য বিক্রয়ের জন্য এ ধরনের যোগাযোগ অপরিহার্য৷ মোনিকল-এর দুমিত্রু ভিকল বলেন: ‘‘সেরা বাজারগুলো হল জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও সুইজারল্যান্ড৷ যুক্তরাজ্যেও অরগ্যানিক পণ্যের বিক্রি বেড়েছে৷''

‘‘তবে সবচেয়ে বড় মার্কেট হল জার্মানি'', বলেন আরেকজন৷

১৬০ জনের বেশি মানুষ এখানে কাজ করেন৷ ফসল তোলার সময় আরো শ'দেড়েক কর্মীর প্রয়োজন পড়ে৷ মোনিকল-এর প্রধান কীটনাশক ও কৃত্রিম সারবিহীন ফলের চাষ আরো বাড়াতে চান৷ প্রবৃদ্ধির এটাই সময় এবং সুযোগ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ