1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অরণ্যে হাইটেক

করনেলিয়া বরমান/এসি১৭ অক্টোবর ২০১৪

ফরাসি গায়ানা-র কুরু-তে রয়েছে ইএসএ অর্থাৎ ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র৷ আরিয়ান ৫ অথবা এটিভি লঞ্চ করা হয় এখান থেকে৷ এখন স্বপ্ন দেখা হচ্ছে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য মালবাহী – এমনকি মানুষবাহী রকেটের৷

ATV-5 ESA Ariane 5
ছবি: ESA

গভীর জঙ্গলের মধ্যে হাইটেক: কুরু-তে ইউরোপের মহাকাশযাত্রা কেন্দ্র৷ তিন দশকের বেশি সময় ধরে এখানে থেকে রকেট পাঠানো হচ্ছে মহাকাশে৷ এলাকাটি বিষুবরেখা থেকে মাত্র ৫০০ কিলোমিটার দূরে৷ যার ফলে এটি রকেট উৎক্ষেপণের পক্ষে একটি আদর্শ স্থান৷ প্রতিটি রকেট এখানে অতিরিক্ত ‘প্রোপালশন' বা প্রচালনাশক্তি পায়৷ কারণ পৃথিবীর অক্ষদণ্ড থেকে উপরিভাগের দূরত্ব বিষুবরেখাতেই সর্বোচ্চ৷ যে কারণে কুরু থেকে উড়লে রকেটগুলির অপেক্ষাকৃত কম জ্বালানি লাগে৷

‘আরিয়ান ৫' রকেটটি ভারি বস্তু বহণ করতে পারে – যেমন একসঙ্গে দু'টি কৃত্রিম উপগ্রহ কিংবা অন্যান্য ভারি সাজসরঞ্জাম৷ এ ধরনের পরিবহন রকেটকে বলে অটোমেটেড ট্রান্সফার ভেহিকেল বা এটিভি৷ এটিভি-তে কোনো মানুষ থাকে না এবং এগুলি পুনরায় ব্যবহার করারও কোনো উপায় নেই৷ এটিভি-র জন্য একটি আলাদা রকেট সৃষ্টি করা হয়েছে, যা ২১ টন মাল পৃথিবীর নিকটবর্তী কোনো কক্ষপথে পৌঁছে দিতে পারে৷

রুশ প্রোগ্রেস ক্যাপসিউল ছাড়া ইউরোপীয় এটিভি হলো ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন আইএসএস-এ মালপত্র পাঠানোর একমাত্র যান, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইএসএস-এর সঙ্গে ‘ডক' করতে পারে৷ স্পেস শাটল বা মহাকাশফেরি বন্ধ করে দেওয়ার পর আর আইএসএস থেকে কোনো ভারি মাল ভূপৃষ্ঠে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি – যদিও তার পরিকল্পনা ছিল৷ এবার স্পেস শাটল-এর অভাব পূরণ করে দিয়েছে এটিভি৷ ব্রেমেন-এ ইতিমধ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলেছে, মহাকাশযানটিকে কী ভাবে আইএসএস থেকে মালপত্র ফেরৎ আনার উপযোগী করে তোলা যায়৷

সেজন্য এটিভি মহাকাশযানের সর্বাগ্রে যে বস্তুটির প্রয়োজন পড়বে, সেটা হলো একটি উত্তাপ-প্রতিরোধী আস্তরণ, যা তাকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় ঘর্ষণে জ্বলে-পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে৷ আর চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই তা করা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷ তার প্রযুক্তি এখনই হাতে এসে গেছে৷ ‘অ্যাটমস্ফেরিক রিএন্ট্রি ডেমনস্ট্রেটর' বা এআরডি নামধারী তাপ-প্রতিরোধী ক্যাপসিউলটিকে নব্বইয়ের দশকের শেষেই মহাকাশে পরীক্ষা করা হয়েছিল৷

সফলভাবে ভূপৃষ্ঠে প্রত্যাবর্তনের পরেও যে স্বপ্নটি থেকে যায়, তা হলো, চালক সহ, মানুষ সহ, যাত্রী সহ মহাকশযাত্রা৷ আরিয়ান ৫ এবং এটিভি, উভয় যানই এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যে, তাতে মানুষ পাঠানো সম্ভব৷ তবে তার জন্য মহাকাশযানের ব্যাপক রদবদলের প্রয়োজন পড়বে, যা কিনা ব্যয়সাপেক্ষ৷ কাজেই স্বপ্ন সফল হতে হতে আরো কিছু বছর সময় লেগে যাবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ