মধ্য অ্যামেরিকার বেলিজ প্রাণিসম্পদ রক্ষার যথেষ্ট উদ্যোগ নিচ্ছে৷ কিন্তু তার বিপুল ব্যয়ভার বহন করা কঠিন৷ চোরাশিকারীদের হাত থেকে প্রাণীদের রক্ষা করাও এক বড় চ্যালেঞ্জ৷ এক উদ্যোগের আওতায় সেই প্রচেষ্টা সফল করে তোলার কাজ চলছে৷
বিজ্ঞাপন
মধ্য অ্যামেরিকার দেশ বেলিজ-এর জঙ্গল নানা প্রজাতির প্রাণীতে সমৃদ্ধ৷ সেখানকার চিকিবুল জঙ্গলে চলছে খাদক ও খাদ্য হওয়ার লড়াই৷ প্রায় ১,৭০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার এই জঙ্গলকে বেলিজ-এর অলঙ্কার বলা হয়৷
ন্যাশানাল পার্ক রেঞ্জাররা জঙ্গলের সুরক্ষায় নিয়োজিত৷ বিপজ্জনক এই কাজের স্বার্থে তাঁদের অস্ত্র নিয়ে ঘুরতে হয়৷ ক্যামেরায় তাঁদের মুখ দেখানো নিষেধ৷ একমাত্র দলের নেতা আমাদের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত৷ পার্ক ম্যানেজার ডেরেক চ্যান বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমার দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে৷ আমি সৈন্য অথবা রেঞ্জারদের সঙ্গে টহল দিচ্ছিলাম৷ জঙ্গলে লোকে আমাদের দিকে গুলি চালিয়েছে৷ কখনো তাদের দেখা যায়, কখনো যায় না৷ প্রাণীদের সুরক্ষার কাজে এসে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সামনে পড়তে হয়৷''
আমরা গুয়াতেমালা থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে৷ সীমানা জঙ্গলের মধ্য দিয়ে চলে গেছে৷ প্রতিবেশী দেশের চোরাশিকারীরা বেআইনিভাবে বেলিজ-এ ঢুকে জঙ্গলে লুটপাট করে৷ তারা স্থানীয় গাছপালা ও প্রাণী মারে, চুরি করে, সোনার খোঁজ করে, বেআইনি মারিইয়ুনা প্ল্যান্টেশন চালায়৷ ডেরেক চ্যান বলেন, ‘‘এই পথে মানুষের কোনো কার্যকলাপ চলছে কিনা, তা দেখতে আমরা এসেছি৷ যদি দেখি কেউ নেই, তখন আর এখানে টহল দেবার প্রয়োজন নেই৷''
প্রাণিসম্পদ রক্ষায় নতুন উদ্যোগ
05:18
সদ্য কাটা ডালপালা দেখে বোঝা যাচ্ছে, যে সম্প্রতি এখানে কেউ এসেছিল৷ পায়ের ছাপও চোখে পড়ছে৷ বেশ গভীর সেই ছাপ৷ অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি ভারি কিছু নিয়ে হেঁটে গেছে৷ সম্ভবত জঙ্গল থেকে বেআইনি কিছু সঙ্গে নিয়ে৷ আজ রেঞ্জাররা অপরাধীকে ধরতে পারেননি৷
প্রাকৃতিক স্বর্গীয় পরিবেশে অপরাধ এক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা৷ সম্প্রতি গোলাগুলির সময়ে গুয়াতেমালার এক তরুণ নিহত হয়েছে৷ কয়েক সপ্তাহ আগে প্রাচীন মায়া সভ্যতার এক প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটে এক পুলিশ কর্মীকে গুলি করা হয়৷ সরকার জঙ্গলের সুরক্ষায় অনেক বিনিয়োগ করেছে বটে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে তা মোটেই পর্যাপ্ত নয়৷
বেলিজ চিড়িয়াখানায় দর্শকরা দেশের প্রাণিসম্পদের বৈচিত্র দেখার সুযোগ পান৷ সেখানে শুধু দেশীয় প্রাণী রাখা হয় – যেমন বেলিজ-এর জাতীয় প্রাণী টেপির৷ জাগুয়ারও রয়েছে, যা সাধারণত শুধু দেশের বনে-জঙ্গলেই দেখা যায়৷
হানা সেন্ট লিউস মার্টিনেস দেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বন পরিচালন দপ্তরে কাজ করেন৷ তিনি বায়োফিন নামের উদ্যোগের হয়েও সক্রিয় রয়েছেন৷ বেলিজ-এর প্রাণিবৈচিত্র কর্মসূচির আর্থিক ব্যয় নির্ধারণের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷ হানা বলেন, ‘‘সুরক্ষার কাজ মোটেই সস্তার নয়৷ আমরা বনেজঙ্গলে প্রাণীদের বসবাসের জায়গার সুরক্ষার জন্য কখনো মূল্য ধরে দিই না৷ বায়োফিন এর ব্যয়ভার বিশ্লেষণ করে বায়োডাইভার্সিটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সাহায্য করতে চায়৷''
ধ্বংস হচ্ছে আমাজন
আমাজনের রেইনফরেস্ট ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে৷ গাছ কাটা এবং জঙ্গল পোড়ানোর কারণে কেবল এই বছরেই ধ্বংস হয়েছে ৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার বন৷
ছবি: Reuters
দগ্ধ পৃথিবী
২০১৩ সালে ব্রাজিলের রেইনফরেস্ট উজারের চিত্রটা আরো পরিষ্কার হয়ে গেছে৷ ওয়ারশ শহরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ব্রাজিলের পরিবেশমন্ত্রী ইসাবেলা টেইশেইরা উল্লেখ করেন, এ বছরের নভেম্বরের মধ্যে আমাজনের ৫,৮৪৩ বর্গ কিলোমিটার বন উজাড় হয়েছে৷ ২০১২ সালে যেখানে ৪,৫৭১ বর্গ কিলোমিটার বন উজাড় হয়েছিল৷ ২০০৪ সালে আমাজনের ২৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার বন উজাড় হয়েছিল, যা একটি রেকর্ড৷
ছবি: picture alliance/Wildlife
গমের জন্য কাঠের বাণিজ্য
সয়া এবং গম চাষ আমাজনের রেইনফরেস্ট উজাড়ের জন্য অনেকটা দায়ী৷ ব্রাজিলের পারা রাজ্যের বন এ কারণে সবচেয়ে বেশি উজাড় হয়েছে৷ ২০১২ সালের আগস্ট থেকে ২০১৩-র জুন পর্যন্ত সেখানে ১৩৬ ভাগ বন ধ্বংস হয়েছে৷ পারার কাছের নভো প্রোগ্রেসো শহর গড়ে তুলতে ৪০০ হেক্টর জমি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল৷
ছবি: Reuters
শহরগুলোর বাঁধ
আমাজনে ব্রাজিলের ২০ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র পাঁচ ভাগ আদিবাসী থাকলেও, সেখানে বাঁধ নির্মাণ ক্রমেই বেড়ে চলছে৷ আমাজন অঞ্চলে টেলেস পিরেস পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৫ সালে চালু হওয়ার কথা৷ এর মধ্যে মাত্র একভাগ আমাজনের অধিবাসীদের জন্য ব্যবহৃত হবে৷ ব্রাজিলের জাতীয় শক্তি কেন্দ্র ২-৩০ সালের মধ্যে এ ধরনের কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে৷
ছবি: Reuters
ভালো ব্যবসা?
বন উজাড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সেখানকার কাঠ৷ অবৈধভাবে উজাড় হওয়া আমাজন এখন চারণ ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী, কেউ যদি ঐ জমিতে উৎপাদনশীল কাজ করে তাহলে প্রতি পাঁচ বছরের জন্য জমি ‘লিজ’ নিতে পারবে৷ প্রসঙ্গত, উজাড় হওয়া জমির প্রতি হেক্টরের দাম ৩ হাজার ইউরো করে৷
ছবি: Reuters
গাছ যেখানে প্রধান পণ্য
গত বছর ব্রাজিল সরকার ঘোষণা করে যে, ২০২০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ৪,০০০ বর্গ কিলোমিটার বন রেইনফরেস্ট ধ্বংস রোধের৷ কিন্তু স্বর্ণ সন্ধানকারী এবং কৃষি কোম্পানিগুলোর কারণে গাছের সংখ্যা বাড়ছে না৷
ছবি: Reuters
ধ্বংসের পথ
৩,০০০ কিলোমিটার ‘ট্রানস-আমাজনিকা’ মহাসড়কটি ব্রাজিলের সাথে প্রতিবেশী দেশ পেরু ও বলিভিয়ার সংযোগ স্থাপন করছে৷ ৪০ বছর ধরে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে৷ চলছে এটির সংস্কার কাজ, যা এখনো শেষ হয়নি৷ তবে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এই সড়ক সংস্কারের বিপক্ষে৷
ছবি: Evaristo Sa/AFP/GettyImages
স্বর্ণের সন্ধানে
স্বর্ণের খোঁজে যারা আমাজন চষে বেড়ায়, তারা অনেক সময় নিজেদের এলাকা থেকে নানা ধরনের রোগ বহন করে নিয়ে আসে৷ সেই সব রোগের সংক্রমণে স্থানীয় ‘ইয়ানোমামি’ গোষ্ঠী আক্রান্ত হয়৷ শুধু তাই নয়, এ পর্যন্ত কয়েকশ’ ইয়ানোমামি মারাও গেছে৷ এ বছরের জুনে তাই ব্রাজিলের সেনাবাহিনী ভেনেজুয়েলা সীমান্তের ৯৫ লাখ হেক্টর জমি থেকে অবৈধ স্বর্ণ সন্ধানকারীদের আস্তানা তুলে দেয়৷
ছবি: Fiona Watson/Survival
চারকোলের উৎস
কৃষ্ণ স্বর্ণ: ‘আল্টো রিও গুয়ামা’ সংরক্ষিত এলাকার মধ্যাঞ্চলের দৃশ্য এটি৷ অবৈধভাবে কেটে ফেলা গাছগুলোকে চারকোলে পরিণত করা হয়৷ এ বছরের সেপ্টেম্বরে একটি পুলিশ হেলিকপ্টার থেকে এই ছবিটি তোলা হয়েছে৷ ব্রাজিলের পারা রাজ্যে অবস্থিত সংরক্ষিত এই এলাকাটিতে ‘নোভা এসপেরাঙ্কা’ সম্প্রদায়ের বসবাস৷
ছবি: Reuters
8 ছবি1 | 8
চিকিবুল জঙ্গল এই প্রকল্পের অন্যতম মূল অঞ্চল৷ চালু হয়ে যাওয়া সংরক্ষণ প্রকল্পগুলির আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে হানা পথে বেরিয়েছেন৷ তিনি ‘লাস কুয়েবাস' নামের গবেষণা কেন্দ্রে চলেছেন, যেখানে টিয়া জতীয় পাখির ব্রিডিং করানো হয়৷
এক ডজনেরও বেশি স্কার্লেট ম্যাকাউ পাখির বংশবৃদ্ধি করানো হয়েছে এখানে৷ জঙ্গলে চোরাশিকারিরা প্রায়ই তাদের বাসা ভেঙে লুটপাট করে৷ তাদের দেখাশোনা করার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের একজন চিকো৷ জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া পর্যন্ত সে পাখিদের দেখাশোনা করে৷ গবেষণা ও ফিল্ড অ্যাসিস্টেন্ট চিকো বলেন, ‘‘যথেষ্ট তহবিল থাকলে তাদের আরও বেশি করে জঙ্গলে রাখার চেষ্টা করতে পারি৷ জানি, তহবিল জোগাড় করা খুব কঠিন, তবে একেবারে অসম্ভব নয়৷''
অর্থাভাব সব জায়গায় বড় সমস্যা৷ বায়োফিন-এর হানা সেন্ট লিউস মার্টিনেস বলেন, ‘‘আমাদের খুবই উদ্ভাবনশীল হতে হয়৷ কোথা থেকে অর্থ আসছে, তা কী ভাবে চিহ্নিত করতে হয় এবং বায়োডাইভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট-এর জন্য কোথা থেকে অর্থ আসবে, তা জানতে হয়৷''
চিকিবাল অরণ্যে এই উদ্যোগের সূচনা ঘটেছে৷ বেলিজ-এর ৪০ শতাংশ সংরক্ষিত এলাকা৷ তার সুরক্ষার ব্যয় কম নয়৷
কাটিয়া ড্যোনে/এসবি
বিপদে আছে বাঘ
বাঘ ভয়ংকর, বাঘ হিংস্র, বাঘের থাবার কবলে পড়লে কারো রক্ষা নেই – সবই ঠিক৷ তারপরও সারা পৃথিবীর বাঘই পড়েছে ভীষণ বিপদে৷ ‘আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস’-এ পাওয়া তথ্য বলছে, এখনই ব্যবস্থা না নিলে ধীরে ধীরে বিলুপ্তও হয়ে যেতে পারে বাঘ৷
বাঘ হারিয়ে যাচ্ছে
সারা বিশ্বেই বাঘের সংখ্যা খুব দ্রুত কমছে৷ এক শতক আগে যেখানে এক লাখের মতো বাঘ ছিল, সেখানে এখন আছে মাত্র ৩ থেকে ৪ হাজার বাঘ! আটটি উপ-প্রজাতির মধ্যে তিনটি একেবারে উধাও৷ তাছাড়া শুধুমাত্র সুমাত্রা, সাইবেরিয়া, রয়েল বেঙ্গল, মালয়, ইন্দোচীন এবং দক্ষিণ চীনের বাঘই টিকে আছে৷ ছবির এই বাঘটাও এখন আর জঙ্গলে নেই, শুধু চিড়িয়াখানাতেই আছে এরা৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Joe
বাঘ থাকবে কোথায়?
বাঘের বিচরণ ছিল এমন জঙ্গলের প্রায় ৯৩ শতাংশই এখন মানুষের দখলে৷ কোথাও শুরু হয়েছে চাষবাস৷ কোথাও গড়ে উঠেছে জনবসতি৷ এ অবস্থা চলতে থাকলে বসবাসের জায়গার অভাবেই হয়ত বাঘ ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাবে৷ ছবির এই সাদা রঙের বিরল বেঙ্গল টাইগারের হয়ত আর চিহ্নই থাকবে না৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/W. Layer
রয়েল বেঙ্গল টাইগারেরও মহাবিপদ
জলবায়ু পরিবর্তন বাঘের জন্যও বড় রকমের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বাংলাদেশ ও ভারতের অংশের সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারদের তো বিপদ দিন দিন বাড়ছে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা যত বাড়ছে, ততই ছোট হয়ে আসছে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ঘর’ সুন্দরবন৷ বাংলাদেশের সুন্দরবনে যেমন আর মাত্র ১০০টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার অবশিষ্ট আছে৷
ছবি: picture-alliance/AP/J. Kundu
শিকারের সময়...
শিকারের সময় বাঘ একা থাকতে পছন্দ করে৷ সাধারণত রাতেই খাদ্যের খোঁজে শিকারে বের হয় বাঘ৷ অন্ধকারে শিকার তাকে দেখবে না, চুপি চুপি সামনে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘাড়টা কামড়ে ধরা যাবে – এ সব আবার বাঘমামা খুব ভালো বোঝে!
ছবি: Getty Images/N. Asfouri
সাঁতারু বাঘ
বাঘের হাত থেকে বাঁচতে পানিতে ঝাঁপ দেয়া রীতিমতো আহাম্মকি৷ বাঘের পানি খুব পছন্দ৷ সাঁতারেও খুব পটু সে৷ সুতরাং পানিতে ঝাঁপ দেয়া শিকারকে ধরা বাঘের জন্য কোনো ব্যাপারই নয়৷
ছবি: Imago
বাঘের প্রিয় খাবারের তালিকায় মানুষ নেই...
বাঘ কিন্তু মানুষের মাংস খেতে পছন্দ করে না৷ বাঘের প্রিয় খাবারের তালিকায় হরিণ, মহিষ, ভালুক, কুকুর, চিতা, কুমির, এমনকি অজগর সাপও আছে, কিন্তু মানুষ নেই৷ তারপরও কেন বাঘ মানুষ শিকার করে? ভয়ে৷ যখন মনে হয়, মানুষ তাকে আক্রমণ করতে পারে তখন নিজেকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে উল্টো নিজেই আক্রমণ করে বসে বাঘ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Scheidemann
বংশবৃদ্ধির সময়
যেসব অঞ্চলে আবহাওয়া একটু গরম, সেখানে নভেম্বর থেকে এপ্রিল – এই সময়টাই বাঘের প্রজননের জন্য আদর্শ সময়৷ শীতপ্রধান দেশে শীতেই বাচ্চা নেয় বাঘ৷ বাচ্চা সাধারণত ১০৩ দিন মায়ের পেটে থাকে৷ বাঘিনী একসঙ্গে তিন থেকে চারটি বাচ্চা দেয়৷ বয়স আট সপ্তাহের মতো হলেই বাঘের ছানারা মায়ের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে৷ দেড় বছরের মাথায় ছানা বাঘ একা একা শিকার শুরু করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/G. Fischer
বাঘের সবচেয়ে বড় শত্রু
বাঘের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ কিন্তু মানুষ৷ মানুষই তাদের চক্ষুশূল৷ হবে না কেন! জঙ্গল দখল করে করে বাঘের বসবাসের জায়গা ছোট করছে মানুষ৷ নানা ছুতোয় বন্দুক নিয়ে বাঘ শিকারও করে মানুষ৷ বাঘের সবচেয়ে বড় শত্রুও তাই মানুষ৷