অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তিতে চাডের তরুণদের ডিজিটাল প্রচেষ্টা
২২ অক্টোবর ২০১৭
মধ্য আফ্রিকার পঞ্চম বৃহৎ দেশ চাড জর্জরিত অশিক্ষা, দরিদ্রতা, রাজনৈতিক অস্থিশীলতা, আমলাতন্ত্রের মতো দুরারোগ্য সামাজিক ব্যাধিতে৷ তবে এ দেশের অদম্য তরুণরা অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা মোকাবেলায় খুঁজছে ডিজিটাল উপায়৷
বিজ্ঞাপন
চাডের রাজধানী এনজামেনার পথে পথে দেখা মিলবে আফ্রিকার শতাব্দী প্রাচীন কোলাহল৷ তবে এরই মধ্যে মার্কেটের আশেপাশে দেখা যাবে কিছুটা বেমানান একদল তরুণের, যারা ল্যাপটপ, নোটখাতা আর লাল মোটর বাইক সঙ্গী করে দেশকে একুশ শতকের উপযোগী করে তুলতে কাজ করছে৷ মোসোসুক ডট কম চাডের প্রথম অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বড় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, এমনকি ব্যক্তি পর্যায়ে নিবন্ধিত হয়েও পণ্য কেনাবেচা করা যেতে পারে৷ ২৬ বছর বয়সি তরুণ আন্দ্রেয়াস কুমাটো এই প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা৷ তবে এখনও বাধা অনেক৷ সেনাবাহিনীর দৌরাত্ম্য, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, দরিদ্রতা আর সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে বাধা – সব মিলিয়ে তরুণদের এ এগিয়ে যাওয়া মোটেও সহজ নয়৷ তার উপর দেশটিতে মাত্র এক ভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন৷ কিন্তু এর কোনোটাই তরুণদের এগিয়ে যাওয়াকে থামিয়ে দিতে পারেনি৷ গত দু'বছর ধরে ব্যবসায়ীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে অনলাইন প্লাটফর্মটির নানা দিক তুলে ধরে এতে নিবন্ধিত হতে তাঁদের উৎসাহিত করছেন এ সব তরুণরা৷
খ্যাপা খুঁজে খুঁজে ফেরে...
বান্টাকো ছিল দক্ষিণ-পূর্ব সেনেগালের ছোট্ট একটি গ্রাম৷ ২০০৮ সালে গ্রামবাসীরা সেখানে সোনা আবিষ্কার করার পর মানুষজন চাষবাস ছেড়ে ‘গোল্ড রাশ’-এ মত্ত হয়েছেন – সঙ্গে জুটেছে বাইরে থেকে আসা বহু ভাগ্যাণ্বেষী৷
ছবি: DW/F. Annibale
সোনার খনি যখন কুটিরশিল্প হয়...
...তখন গালভরা ইংরেজিতে তার নাম দেওয়া হয় ‘আর্টিজিনাল গোল্ড মাইন’৷ ২০০৭/৮ সালে সোনা আবিষ্কৃত হবার পর বান্টাকো পুরোপুরি বদলে গেছে: দু’হাজার মানুষের গ্রামে আজ সাত হাজারের বেশি মানুষ থাকেন; বান্টাকোর ‘আর্টিজিনাল গোল্ড মাইনস’-এ প্রতিদিন কাজ করেন প্রায় তিন হাজার মানুষ – নিম্নমানের পাথরে স্বল্প পরিমাণ সোনা খুঁজে পাবার প্রচেষ্টায়৷
ছবি: DW/F. Annibale
কাজ চালানোর মতো সুড়ঙ্গ
সুড়ঙ্গগুলোয় যারা কাজ করেন, তাদের তত্ত্বাবধানে থাকেন গাঁয়ের মাতব্বররা৷ মুরুব্বিরা দেখেন, খনিশ্রমিকদের কাছে ডাকার-এর খনি মন্ত্রণালয়ের ইস্যু করা কার্ড আছে কিনা৷ খনিটা সরকারি নয়; গাঁয়ের লোকেরাই সোনার খনি চালান ও কাজকর্মের দেখাশোনা করেন৷
ছবি: DW/F. Annibale
খনি মজদুর
গিনি থেকে আসা মামাদু জানালেন যে, তিনি শুধু কাজের খোঁজে এখানে এসেছেন, কেননা তাঁর নিজের গাঁয়ে কোনো কাজ নেই৷ এখানে রোজগার করে তিনি বাড়িতে টাকা পাঠান৷ খনির কাজটা খুব সহজ নয় – এছাড়া শ্রমিকদের স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তার নিয়মকানুন, অধিকার বা সুযোগসুবিধা নিয়ে কেউ বিশেষ মাথা ঘামায় না৷
ছবি: DW/F. Annibale
‘বুমটাউন’
সোনার খনির শ্রমিকরা আসার আগে গাঁয়ে কোনো মোটর সাইকেল ছিল না৷ কিন্তু সোনার খনির কাজ শুরু হবার পরে ব্যাপারি আর শ্রমিকদের ৩৫ কিলোমিটার দূরের কেডুগু শহরে যাওয়া-আসা করার দরকার পড়ে – কাজেই আসে মোটর সাইকেল, যার কল্যাণে আজ বান্টাকোয় পুরনো প্লাস্টিকের বোতলে ভরে পেট্রোল বিক্রি করা হয়৷
ছবি: DW/F. Annibale
কোদাল-গাঁইতির দোকান
বান্টাকোর বড় রাস্তা বরাবর করোগেটেড টিনের ছাদ দেওয়া অসংখ্য দোকান গজিয়ে উঠেছে, যেখানে খনির কাজের জন্য শ্রমিকদের যা কিছু প্রয়োজন, তার প্রায় সবই বিক্রি হয়৷ দোকানিদের অনেকে দূর দূর থেকে এসেছেন এখানে দোকান খুলে ব্যবসা করতে৷ অথচ কিছুদিন আগেও এখানে দোকানপাট বলতে কিছু ছিল না৷
ছবি: DW/F. Annibale
চাষ ছেড়ে খনির কাজ
৪৫ বছর বয়সি ওয়ালি কাইতা তাতে দোষের কিছু দেখেন না: ‘সোনা পাওয়ার আগে গাঁয়ে পাকা বাড়ি বলতে প্রায় কিছু ছিল না৷ আমার ইট আর সিমেন্টের তৈরি বাড়িটাও বানানো হত না যদি আমি আজও চাযের কাজ করতাম৷’ সোনার খনি থেকে গাঁয়ের উপকার হয়েছে বলেই তিনি মনে করেন৷
ছবি: DW/F. Annibale
কুটিরশিল্পের পদ্ধতি
মাইনিং-এর আধুনিক যন্ত্রপাতি নিজেরাই পাথর থেকে সোনা আলাদা করে ফেলে; কিন্তু সেই সব দামি যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষমতা এখানকার খনিশ্রমিকদের নেই৷ কাজেই এখানে মান্ধাতার আমলের মেশিন দিয়ে ভিজে অবস্থায় পাথরগুলোকে ভেঙে, পরে সেগুলো শুকিয়ে, আর একবার ভেঙে দেখা হয়, কোথাও সোনা রয়ে গেছে কিনা৷
ছবি: DW/F. Annibale
সোনা ছাঁকা
দ্বিতীয়বার চূর্ণ করার পর পাথর আর বালি ছেঁকে দেখা হয়, কোথাও কোনো সোনা রয়ে গেছে কিনা৷ পরিবারের সবাই এ কাজে যোগ দেয়, এমনকি ছোটরাও, যদি তাদের স্কুলের ছুটি থাকে৷
ছবি: DW/F. Annibale
পরিবেশের কথা ভাবে কে?
গাঁয়ের এখন সুদিন চলেছে৷ কিন্তু গাঁ তবুও গাঁ-ই থেকে গেছে – যেমন এখানে ময়লা ফেলার কোনো ব্যবস্থা নেই৷ তাই এত হাজার মানুষের সৃষ্ট আবর্জনা গিয়ে পড়ছে কাছের ছোট খালটিতে৷ সোনা একদিন শেষ হবে; তখন বান্টাকো গ্রামের কী দশা হবে, তা নিয়ে ভাববার মতো সময় আপাতত কারো হাতে নেই...৷
ছবি: DW/F. Annibale
9 ছবি1 | 9
কুমাটো বলেন, ‘‘কিছু বিক্রেতারা ইন্টারনেট যে কি – সেটাই বোঝে না৷ আমরা তাঁদের বলি: এই যে আপনারা এখানে জিনিস বিক্রি করছেন, অন্য এলাকার কাউকে সেটা কীভাবে দেখাবেন? অথচ পণ্যগুলো তাঁদের দেখানো দরকার৷ তাই তারই একটা ব্যবস্থা করে দিচ্ছি আমরা৷ চাডের সব মানুষ আপনার পণ্য দেখতে পাবেন – তা আপনার দোকান বন্ধ থাকুক, রাত হয়ে যাক বা সেটা ছুটির দিন হোক৷''
বলা বাহুল্য, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলে এ পর্যন্ত ১২০ জনেরও বেশি বিক্রেতা এতে যোগ দিয়েছে৷
তাঁর প্রত্যাশা মোসোসুক ধীরে ধীরে হয়ে উঠবে আফ্রিকার ‘অ্যামাজন'৷ এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে সুইডেনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান টিগো-র উদ্যোগে আয়োজিত ডিজিটাল ইনোভেশন পুরস্কার জিতেছে মোসোসুক ডট কম, পেয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মার্কিন ডলার৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট পরিচালিত ইয়ং আফ্রিকান লিডার্স ইনেশিয়েটিভ প্রজেক্টের আওতায় ইলিনয়ের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে আন্দ্রেয়াস কুমাটো৷ এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজ দেশের তরুণদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন তিনি৷
তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের মূল বক্তব্য হলো, সরকার বা অন্য কেউ কিছু করে দেবে তার অপেক্ষায় বসে থাকা যাবে না – তোমার যা আছে তা নিয়ে কাজ শুরু করো আর সাহায্য লাগলে এসো৷''
সংকটে সম্ভাবনা
বিশ্বের সবচেয়ে কম আয়ুর দেশ চাড বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশও ৷ সমস্যা জর্জরিত এ দেশে নতুন উদ্যোগ শুরু সহজ কথা নয়৷ ২০১৫ সালে এনজামেনার মূল বাজারে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় ইসলামিক জঙ্গি গ্রুপ বোকো হারাম৷ ১৯৯০ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা রাষ্ট্রপতি ইদ্রিস ডেবির নেতৃত্বাধীন সরকারের লাগাম ছাড়া দুর্নীতিও বহুল সমালোচিত৷ ২০১৪ সালে অপরিশোধিত তেলের দাম ৫০ ভাগ নেমে যাওয়ায় দেশটির অর্থনৈতিক সংকটও প্রবল হয়েছে, বেকার হয়েছে পড়েছে অনেকে৷ ২০১৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় ছয় নম্বরে ছিল চাড৷ গত মাসে চাডের অধিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকবার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ দেশটির জন্য নতুন আরেক সমস্যা, উল্লেখ করে কুমাটো বলেন, তরুণদের জন্য বিষয়টি হতাশাজনক৷
আফ্রিকায় মানবাধিকারের ছবি
এক সময় আফ্রিকাকে বলা হতো ‘অন্ধকার মহাদেশ’৷ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই মহাদেশ সব দিক থেকে অনেক এগোলেও মানবাধিকার পরিস্থিতি এখনো খুব খারাপ৷ ছবিগুলো তারই প্রমাণ৷
ছবি: Adballe Ahmed Mumin
চলমান ছবি
এক রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় নিকিওয়ে মাসাঙ্গোর৷ চোখ খুলে দেখেন এক লোক তাঁর ওপরে৷ লোকটি বলল, চোখ ঢেকে রাখতে যাতে তাকে চেনা না যায়৷ তারপর সারা রাত ধরে চলল ধর্ষণ৷ দক্ষিণ আফ্রিকার এই নারীর বয়স এখন ৮৭ হয়ে গেলেও সেই রাতের কথা ভোলেননি মাসাঙ্গোর৷ তাঁর এ ছবি তুলেছেন জার্মান ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডসের ‘আফ্রিকায় মানবাধিকারের ছবি’ ক্যাটাগরির ফাইনালিস্ট লুঙ্গি মবুলওয়ানা৷
ছবি: Lungi Mbulwana
পুলিশের নির্মমতা
পুলিশের পা ধরে রেহাই চাইছেন এক ওকাডা মোটর সাইকেল ট্যাক্সি চালক৷ তাঁকে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদ নগ্ন হয়ে জানিয়ে আরো বড় বিপদ ডেকে এনেছেন তিনি৷ পুলিশ বেধড়ক পেটাতে শুরু করে৷ নাইজেরিয়া সরকার প্রধান সড়কগুলোতে ওকাডা নিষিদ্ধ করার পরও চালাতে যাওয়াই এই তরুণের প্রথম অপরাধ৷ রাস্তায় সরকারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কাজে ভীষণ কঠোর নাইজেরিয়ার পুলিশ৷
ছবি: Olufemi Ajasa
ইচ্ছা থাকলে শিক্ষা হয়
শিশুগুলো এখন স্কুল থেকে মাকোকোয় ফিরবে নৌকা চালিয়ে৷ ওদের ভাগ্য ভালো, কেননা দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার লেখাপড়া, আর খুব কষ্ট করে হলেও তা তারা করতে পারছে৷ ওদের মতো ভাসমান বস্তির অনেক ছেলেমেয়েই কিন্তু এ সুযোগ পায়না৷
ছবি: Oluyinka Ezekiel Adeparusi
হতভাগ্যের আবেগ
দক্ষিণ আফ্রিকার এই লোকটি ২০ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন কারাগারে৷ সেই কষ্ট আছে, আছে অহঙ্কারও৷ মুখে অনেকগুলো ট্যাটু৷ প্রত্যেকটি ট্যাটু তাঁর দল এবং নিজের মর্যাদার প্রতীক৷ যত জটিলতা, যত দুর্ভোগই থাকুক জীবনে তারপরও সুন্দর কিছু থাকেই- ছবিটি দেখে তা বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই!
ছবি: Theodore Afrika
সড়কে ন্যায়দণ্ড
মোবাইল ফোন চুরি করেছে- এই সন্দেহে একটু আগে মারধর করা হয়েছে তাঁকে৷ গণপিটুনির পর তাঁকে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ তারপর পুলিশ তাঁকে নিয়ে যায় হাসপাতালে৷ স্রেফ সন্দেহের বশে একজনকে নির্বিচারে পেটানোর অপরাধে কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ৷ সুবিচারের মানবাধিকার দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানীতে অনেক মানুষেরই নেই৷
ছবি: Lulama Zenzile
গৃহহারার কান্না
বিলাসবহুল হোটেল তৈরি করার জন্য ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ঘর৷ আফ্রিকার আরেক দেশ চাদ-এর রাজধানীতে সাত সন্তানের এই মায়ের অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে তাঁর অশ্রু৷ এভাবে গৃহহারা করা হয়েছে ৬৭০টি পরিরারকে৷ অথচ ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি পয়সাও দেয়া হয়নি কাউকে৷
ছবি: Salma Khalil Alio
সাংবাদিকের অধিকারের লড়াই
সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার এবং হত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সোমালিয়ার সাংবাদিকরা৷ আব্দাল্লে আহমেদ মুমিন ছবিটি তুলেছেন ধর্ষিতার সাক্ষাৎকার নেয়ার কারণে এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর সময়৷ ‘আফ্রিকায় মানবাধিকারের ছবি’ ক্যাটাগরিতে এই ছবিও স্থান পেয়েছে৷ প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষক ডয়চে ভেলে এবং জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন মন্ত্রণালয়৷ বুধবারই বিজয়ীদের হাত পুরষ্কার তুলে দেয়ার কথা৷
ছবি: Adballe Ahmed Mumin
7 ছবি1 | 7
তবে অর্থনৈতিক সংকট মোসোসুক-এর জন্য শাপে বর হয়েছে৷ ‘কুইন অফ বিউটি' ফ্যাশন শপের ম্যানেজার গিসেলে আল্লাহ রোউম জানান, এমনিতে বিক্রি কমে গেলেও অনলাইনে তাদের বিক্রি বেড়েছে৷ মোসোসুকের মাধ্যমে আমরা নতুন ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি – দেশে এবং দেশের বাইরেও৷
ডিজিটাল গোয়েন্দা
তরুণদের মধ্যে নাগরিক সচেতনতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতার বিকাশ ঘটাতে ইউনিসেফ-এর আর্থিক সহায়তায় আন্দ্রেয়াস কুমাটো চাডে প্রতিষ্ঠা করেছে এনিবডি ক্যান ডু নামের একটি সংস্থা, সংক্ষেপে যাকে বলা হয় এবিসিডি৷ দেশের নানা সমস্যার কথা সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরে সংশ্লিষ্টদের নজর কাড়ায় এ কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য৷ অনেক সময় এর মাধ্যমে তহবিল জোগাড় করা সম্ভব হয়৷ অনেকক্ষেত্রেই তা সম্ভব না হলেও চেষ্টা করা হয় নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে তা তুলে ধরার৷
১৯ বছর বয়সি সিনথিয়া অউনডুম জানায়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে যোনিচ্ছেদ, বাল্যবিয়ে, অপুষ্টি, স্কুলে অনুপস্থিতি ইত্যাদি নানা সমস্যা তুলে ধরা যায়৷ আরেক শিক্ষার্থী মেরভেইলে কালটুমা জানান, ‘‘অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ক্লাসেই আসে না৷ অনেক সময় শিক্ষকরা টাকার দাবি জানায়, অনেক সময় শরীর৷ অনেক শিক্ষার্থীরা ফ্রি সার্টিফিকেটের জন্য শিক্ষকদের সব দাবিই মেনে নেয়৷''
কুমাটো জানায়, দেশের এত সব সমস্যায় হতাশ হয়ে অনেকে দেশ ছেড়ে চলে যায়৷ ‘‘এটা সত্যি যে এখানে অনেক অবিচার, দুর্নীতি কিন্তু আমরা যদি এখানে না থাকি, কিছু না করি, তাহলে কে এ সব বদলাবে?''