1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অর্থপাচারের মামলায় ড. ইউনূসের বিচার শুরু

১২ জুন ২০২৪

অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের মামলায় নোবেলজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।

ড. ইউনূস
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা এ মামলায় ১ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকছবি: Rehman Asad/AFP/Getty Images

ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুনকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশে ডিডাব্লিউ এর কনটেন্ট পার্টনার প্রথম আলো জানিয়েছে, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ জুলাই তারিখ ঠিক করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪।

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা এ মামলায় ১ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ৩০ মে মামলাটি করেন

দুদক বলেছে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে ব্যাংক হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৮ মে একটি ব্যাংক হিসাব খোলা হয় বলে জানানো হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনার লভ্যাংশ বিতরণে শ্রমিক ইউনিয়ন ও গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে একই বছরের ২৭ এপ্রিল একটি চুক্তি সই হয়েছিল। দুদকের দাবি, চুক্তিতে ৮ মে ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে বলে দেখানো হয়, যা বাস্তবে অসম্ভব। কাগজপত্র নকল করে এটা করা হয়েছে।

মুখোমুখি প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস

54:34

This browser does not support the video element.

দুদক আরও বলেছে, চুক্তি অনুযায়ী এবং গ্রামীণ টেলিকমের ১০৮ তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়। কর্মচারীদের লভ্যাংশের টাকা বিতরণ না করে তাঁদের না জানিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়।

১২ জুন অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হলো

ডিডাব্লিউ এর কনটেন্ট পার্টনার দ্য ডেইলি স্টার জানিয়েছে, অভিযোগ গঠনের পর আদালত থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. ইউনূস। তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগকে তিনি হয়রানি বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "মানি লন্ডারিং, আত্মসাৎ, প্রতারণা এই শব্দগুলোর সঙ্গে আমার কিছু আছে আমি তো জানি না! এটা আমি শিখি নাই কোনো দিন, কোনো দিন করি নাই। হঠাৎ করে প্রকাণ্ড রকমের শব্দগুলো আমার ওপর আরোপ করা হচ্ছে। সেটার বিচার হবে, সেটা বুঝতে পারছি না। সেটা কেন হয়, এটাই হলো হয়রানি আমার কাছে। আমার কাছে, আমার সহকর্মীদের কাছে বোধগম্য হচ্ছে না।"

তিনি বলেন, "একটা হলো যে, আমি রক্তচোষা, একটা হলো আমি সুদখোর, একটা হলো যে আমি দেশের শত্রু, আমি পদ্মা সেতুর অর্থ আটকে দিয়েছি, আমি চারদিকে ষড়যন্ত্র করে বেড়াই—এগুলো হলো হয়রানি। এই যে কথার কথা বলেই যাচ্ছে, বলেই যাচ্ছে।"

এডিকে/এসিবি (প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ