বিরাট বাজেটের ৬৬ শতাংশ আসবে রাজস্ব আয় থেকে৷ সেটা কেমন করে? বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘‘টাকা কোথা থেকে আসবে সে চিন্তা আমরা করিনি৷’’
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থ যা-ই লাগবে তা জোগাড় করা হবে৷ ‘‘মানুষকে বাঁচাতে হবে, কমর্সংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে৷ গ্রামের অর্থনীতিসহ সামষ্টিক অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার করতে হবে৷ অর্থ যাই লাগবে সেটা জোগাড় করা হবে৷’’
করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী, এর ৬৬ শতাংশ অর্থ রাজস্ব আয় থেকে আসবে, যা অবাস্তব ঠেকেছে অনেক অর্থনীতিবিদের কাছে৷
আগে ব্যয়, পরে আয়
করোনার প্রকোপ শুরু হবার পর থেকে দেশের আমদানি, রপ্তানিসহ সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে৷ মহামারি কেটে গেলেও এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব থাকবে অনেকদিন, এমনটিই বলে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা৷ এমনকি রাজস্ব বোর্ড বিদায়ী অর্থবছরেও লক্ষ্যমাত্রার অনেক কম রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে৷ অথচ বাজেটে এনবিআরের কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এবার বাড়ছে ৯.৮১ ভাগ৷
প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘মানুষ রক্ষার বাজেট’ বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী৷ ‘‘আমরা প্রথমে টাকা খরচ করবো; পরে আয় করবো৷ আগে মানুষকে বাঁচাতে হবে৷ তারপর টাকা জোগাড় করবো,’’ বলেন তিনি৷
এছাড়া অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৮.২% হবে বলে যে লক্ষ্য ঠিক করেছেন, তাকেও বর্তমান পরিস্থিতিতে অবাস্তব বলেছেন অর্থনীতিবিদরা৷
‘‘সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে অতীতের অর্জনের ধারাবাহিকতায় আমরা বাজেটে ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপির লক্ষ্য ধরেছি,’’ বলেন কামাল৷
মোবাইল খরচ বাড়ছে, কমতে পারে সোনার দাম
নতুন বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন পণ্যের উপর শুল্ক ও কর কমানোর পাশাপাশি সরকারি আয় বাড়াতে মোবাইল ব্যবহারে ব্যয় বৃদ্ধিসহ বিলাস পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/F. K. Godhuly
মোবাইল ব্যবহারে খরচ বাড়ছে
মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের করে সেবা গ্রহণের বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, বার্তা পাঠানো এবং ডেটা ব্যবহারের খরচ বেড়ে যাবে।
ছবি: Reuters/D. Balibouse
সিগারেট-বিড়ির খরচ আরো বাড়ছে
সিগারেটের চারটি স্তরের মধ্যে তিনটি স্তরের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, একটি স্তরের দাম অপরিবর্তিত থাকছে৷ ফলে বেশিরভাগ সিগারেটের দাম বাড়বে। এছাড়া হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন ও ফিল্টারযুক্ত বিড়ির সব স্তরের দাম বাড়ানো হয়েছে।
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T. Talbot
পেঁয়াজ-লবণ আমদানিতে শুল্কারোপের প্রস্তাব
নতুন বাজেটে পেঁয়াজ এবং শিল্পের জন্য লবণ আমদানিতে শুল্কারোপের যে প্রস্তাব রাখা হয়েছে তাতে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বিলাস পরিবহণ খরচ বাড়ছে
চার্টাড বিমান ও হেলিকপ্টার ভাড়ার উপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে৷ কার ও এসইউভির নিবন্ধন খরচও বাড়ছে, দ্বিগুণ হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চ সার্ভিসের মূসক৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
প্রসাধন সামগ্রীর দাম আরো বাড়বে
সব প্রসাধন সামগ্রীর ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাবে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাবে।
ছবি: Colourbox
সোনার দাম কমতে পারে
স্বর্ণ আমদানির ওপর বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কমতে পারে সোনার দাম।
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Adhikary
কৃষি যন্ত্রের দাম কমবে
পাওয়ার রিপার,পাওয়ার টিলার, অপারেটেড সিডার, কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার, রোটারি টিলারের মত কৃষিযন্ত্রের ব্যবসায়িক পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেওয়ায় প্রস্তাব করায় এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/A. Widak
স্থানীয় পণ্যের দাম কমতে পারে
মহামারিতে স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতি সচল করতে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২-এর কয়েকটি ধারায় পরিবর্তন আনা প্রস্তাব করা হয়েছে। যার অংশ হিসেবে স্থানীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ওপর আগাম কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে।
ছবি: Prokritee
কিট, পিপিই ও মাস্কের দাম কমানোর উদ্যোগ
কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিটের আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসা এবং পিপিই ও সব ধরনের মাস্ক উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ে মূসক অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে কমছে এসব পণ্যের দাম।
ছবি: CARE Bangladesh/Md. Rajoan Talukder
টেক্সটাইল শিল্প বিকাশে উদ্যোগ
দেশের টেক্সটাইল শিল্পের বিকাশের জন্য পলিয়েস্টার, রেয়ন ও অন্যান্য সব সিনথেটিক সুতার ওপর মূসক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে প্রতি কেজিতে দাম ৬ টাকা সুর্নিদিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে৷ সব ধরনের কটন সুতার ওপর কর প্রতি কেজিতে ৪ টাকা থেকে কমিয়ে ৩ টাকা করা হয়েছে।
ছবি: AP
10 ছবি1 | 10
ধনীরা কেন এত সুযোগ পাচ্ছেন?
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ বা সিপিডি৷ তারা হিসেব করে দেখিয়েছে, ব্যক্তি পর্যায়ে সরকার যে ছাড় দিয়েছে, তাতে নিম্নবিত্তের কর কমবে ৫ হাজার টাকা, অথচ ধনীদের কর কমবে সর্বোচ্চ দুই কোটি ৩৮ লাখ টাকা৷ তাদের প্রশ্ন, ধনীদের কর ছাড় দেয়া বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ কেন দেয়া হয়েছে?
‘‘এ বছর একজন ঋণখেলাপি, একজন করখেলাপিকেও ছাড়া হবে না, কারণ, এখন সবাই ত্যাগ স্বীকার করছে—এ ধরনের একটি মনোভাব নিয়ে এগোনো যেতো,’’ বলেন অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান৷ ‘‘তার বদলে আমরা দেখলাম কালোটাকায় ছাড় দেয়ার মতো একটি পদক্ষেপ নেওয়া হলো৷’’
সিপিডি জানিয়েছে, স্বাধীনতার পরে সব সময় কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে৷ অথচ এ পর্যন্ত মাত্র ১৬ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে৷ আর এর প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা হয়েছে সবশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে৷
‘‘যখন আয় বৈষম্য বাড়ছে, রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ যথেষ্ট নয়, তখন ধনীদের কর ছাড়ের যুক্তি কী?,’’ প্রশ্ন করেন সিপিডির আরেক গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান৷
ব্যবসায়ীর খুশি, তবে...
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটকে আশাব্যঞ্জক বলছেন ব্যবসায়ীরা৷ ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা ডিসিসিআই বলছে, তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকার এ অর্থবছরে ব্যক্তি পর্যায়ের করসীমা কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন করহার পাঁচ ভাগ করার যে প্রস্তাব করেছে, তা সাধুবাদ পাবার যোগ্য৷
এছাড়া সর্বোচ্চ করহার ২৫ ভাগ প্রস্তাব করায়, করদাতাদের ওপর করের বোঝা কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করে তারা৷
বেসরকারি খাতের অনিবন্ধিত কোম্পানির করপোরেট কর কমানো, জরিমানা ছাড়া ভ্যাট ও ট্যাক্স পরিশোধের সময় বাড়ানো, নতুন শিল্পে কর অবকাশ সুবিধা দেয়া, ১% এআইটি কমানো, এসব ছাড়াও ভুয়া বিনিয়োগের ওপর ৫০% হারে কর আরোপের প্রস্তাব করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তারা৷
তবে উৎসে কর শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়ানোয় রপ্তানিমুখী শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে শঙ্কা জানিয়েছে তারা৷ লোকাল এলসির মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার ক্ষেত্রেও উৎসে দুই শতাংশ কর প্রয়োগ করা হয়েছে এবার যা আগে ছিল না৷ একে এক শতাংশ করার আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই৷
জেডএ/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, প্রথম আলো)
নয় মের ছবিঘরটি দেখুন...
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব
এরইমধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে৷ রপ্তানি ও প্রবাসী আয় কমেছে ব্যাপকভাবে৷ দেখা দিয়েছে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব বাড়ার শঙ্কা৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
রপ্তানি ধস
লকডাউনের কারণে ইউরোপ ও অ্যামেরিকায় ব্যবসা বাণিজ্য, মানুষের কেনাকাটা কার্যত বন্ধ৷ এসব দেশের ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো তাই বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছে, কয়েকশো কোটি ডলারের কার্যাদেশ বাতিল করেছে৷ এর প্রভাবে এপ্রিলে রপ্তানি আয় নেমে এসেছে মাত্র ৫২ কোটি ডলারে, যা আগের বছরে একই মাসের চেয়ে ৮২.৮৫% কম৷ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার হিসেব বলছে চলতি বছর সারা বিশ্বেই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ৩২% পর্যন্ত কমতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yu Fangping
প্রবাসী আয়ে টান
এপ্রিলে প্রবাসীদের টাকা পাঠানোর পরিমাণ ছিল ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৪ ভাগ কমেছে৷ প্রবাসী আয়ের সিংহভাগই আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে৷ জ্বালানি তেলের দাম কমায় তাদের অর্থনীতি বিপর্যয়ে পড়েছে৷ সেইসব দেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা৷ এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি বছর বাংলাদেশের রেমিট্যান্স গত বছরের চেয়ে ২২ শতাংশ কমে যাবে, বলছে বিশ্বব্যাংক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AP Photo/R. Abd
চাকুরির অনিশ্চয়তা
দেশের ভিতরে যে লকডাউন পরিস্থিতি চলছে তার কারণেও বিভিন্ন শিল্প কারখানা ও সেবাখাতগুলোর কার্যক্রম প্রায় বন্ধ৷ এসব প্রতিষ্ঠানে যারা চাকুরি করছেন, যেসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা রয়েছেন তাদের কর্মসংস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকছে৷ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক চীনে করোনার প্রকোপ শুরুর পর বলেছিল, বাংলাদেশের প্রায় নয় লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারাতে পারে৷ তবে এখন তৈরি পোশাক খাতেই অনেক শ্রমিকের চাকুরি হারানোর শঙ্কা রয়েছে৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
খাদ্য নিরাপত্তা
গত বছরের মে থেকে চলতি বছরের এপ্রিল, এই সময়ে বাংলাদেশে চাল উৎপাদন হয়েছে ৩.৫৩ লাখ মেট্রিক টন৷ নতুন বছরে তা ১০ লাখ মেট্রিক টন বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসডিএ৷ সরকারের খাদ্য গুদামে ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে৷ বোরো মৌসুমে আরো ২০ লাখ মেট্রিক টন ধান-চাল সংগ্রহ করবে সরকার৷ সেক্ষেত্রে খাদ্যাভাব দেখা দেয়ার আশংকা তেমন নেই৷ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মানুষের হাতে খাদ্য কেনার টাকা থাকবে কিনা৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
দারিদ্র্য বাড়ছে
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা সোয়া তিন কোটির বেশি৷ এর বাইরে গত দেড় যুগে আড়াই কোটি মানুষ দারিদ্র্যতা থেকে বেরিয়ে এসেছেন৷ উপার্জন না থাকলে দ্রুতই তারা আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারেন৷ ব্র্যাকের সাম্প্রতিক এক জরিপেও দেখা গেছে করোনার প্রভাবে দেশের নিম্নবিত্তের আয় ৭৫ ভাগ কমে গেছে, হতদরিদ্র বা যাদের দৈনিক আয় ১৬০ টাকার কম এমন মানুষের সংখ্যা ৬০ শতাংশ বেড়ে গেছে৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
সরকারের প্রণোদনা
অর্থনীতি বাঁচাতে বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশের সরকারও আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, যার আকার ৯৫ হাজার কোটি টাকার বেশি৷ এর বড় একটি অংশ দেয়া হবে বৃহৎ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প আর কৃষি খাতে ঋণ হিসেবে৷ পাশাপাশি লক-ডাউনের কারণে যারা কাজ হারিয়েছেন তাদের ব্যাংক হিসাব তৈরি করে এককালীন নগদ অর্থ প্রদানের কথা বলা হয়েছে৷ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বাড়ানোরও৷
ছবি: Reuters/A. Rahman
টাকার সন্ধান
বাজেটের ঘাটতি মেটাতে এরিমধ্যে ব্যাংক থেকে সারাবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ঋণ করে ফেলেছে সরকার৷ নতুন ঋণ নেয়া হচ্ছে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির কাছ থেকে৷ বিভিন্ন খাতের ব্যয় কমিয়েও অর্থ সংস্থানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷ সবশেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা ছাপিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেয়া যেতে পারে৷ তবে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে, এমন আশঙ্কায় টাকা ছাপানোর পক্ষে নন কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ৷
ছবি: DW
মন্দার শঙ্কা
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে মহামন্দার আশংকা করছেন অর্থনীতিবিদরা৷ এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশেও৷ এরইমধ্যে চলতি বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবি৷ মন্দার ধাক্কা বাংলাদেশ কতটা সামলাতে পারবে তা বৈশ্বিক পরিস্থিতির পাশাপাশি নির্ভর করছে সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার উপরে৷