1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজআফ্রিকা

অর্থাভাবে ইথিওপিয়ায় পুষ্টিহীনতার চিকিৎসা বন্ধ: ডাব্লিউএফপি

২৩ এপ্রিল ২০২৫

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বা ডাব্লিউএফপি বলেছে, অর্থাভাবের কারণে এ সপ্তাহে ইথিওপিয়ায় অপুষ্টিতে আক্রান্ত সাড়ে ছয় লাখ নারী ও শিশুকে খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ করতে পারেনি।

ইথিওপিয়ার একটি হাসপাতাল
বিশ্ব খাদ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইথিওপিয়ায় ১ কোটিরও বেশি মানুষ চরম খাদ্যসংকটে ভুগছেনছবি: Eudardo Soteras/AFP/Getty Images

সংস্থাটির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরো লক্ষাধিক মানুষ সহায়তা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।

সংস্থাটির ইথিওপিয়া কার্যালয়ের প্রধান জ্লাটান মিলিসিচ রয়টার্সকে জানান, সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৫-২০টি দাতার কাছ থেকে অর্থ সহায়তা পায়। কিন্তু এ বছর অনেকেই তহবিল কমিয়ে দিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন সহায়তা স্থগিত করার পর সব ধরনের সহায়তা কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হয়। তবে সেখান থেকে ডাব্লিউএফপিকে ছাড় দেয়া হয়। তবে মিলিসিচ জানিয়েছেন, তা সত্ত্বেও ২০২৫ সালের জন্য এখনো খুব সামান্যই অর্থ এসেছে।

সংস্থাটির তথ্যমতে, ইথিওপিয়ায় ১ কোটিরও বেশি মানুষ চরম খাদ্যসংকটে ভুগছেন। এর মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ সংঘাত ও চরম আবহাওয়ার কারণে বাস্তুচ্যুত। এছাড়া প্রতিবেশী সুদান থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীরাও রয়েছেন।

মিলিসিচ বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই গত কয়েক মাসে রেশন কমিয়েছি। কিন্তু এখন কর্মসূচি কার্যত ভেঙে পড়ার মুখে। আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না। তাই এই সপ্তাহে আমরা সাড়ে ছয় লাখ অপুষ্ট শিশু ও নারীর চিকিৎসা বন্ধ করেছি। কারণ, আমাদের কাছে খাদ্যসামগ্রী বা অর্থ নেই।”

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির একজন মুখপাত্র পরে জানান, যাদের চিকিৎসা বন্ধ হয়েছে, তারা বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, উত্তরাঞ্চলের টিগ্রে ও আফার অঞ্চল। সংস্থাটি চিকিৎসা পুনরায় চালু করতে তহবিল সংগ্রহে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

ডাব্লিউএফপি বলছে, যদি জুন মাসের মধ্যে নতুন তহবিল না আসে তাহলে প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ খাদ্য সহায়তা হারাতে পারেন। এদের অনেকেই অপুষ্টিতে ভুগছেন।

মিলিসিচ বলেন, "আমি আশা করি আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা পাব এবং যথাসাধ্য চেষ্টা করব। কিন্তু যদি তারা কোনো সহায়তা না পান, তাহলে এর মারাত্মক পরিণতি হবে।”

২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে টিগ্রে অঞ্চলে গৃহযুদ্ধ এবং ২০২২ সালে দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ খরা ইথিওপিয়ার খাদ্যসংকটকে প্রচণ্ড জটিল করে তোলে। এ বছর আবারও ‘হর্ন অফ আফ্রিকা' অঞ্চলে খরার আশঙ্কা রয়েছে বলে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা আগেই সতর্ক করেছে।

জেডএ/এসিবি (রয়টার্স)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ